তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থানের দাবিতে পথে নামছে বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের যুব সংগঠন যুব লিগ। চাকরির পরীক্ষা নিয়েও পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) বেকার যুবক-যুবতীদের সঙ্গে ‘বঞ্চনা ও প্রতারণা’ করছে এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রতিশ্রুতি পালন করছেন না, এই অভিযোগে সোমবার টালিগঞ্জে পিএসসি দফতরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে তারা। কিন্তু পুলিশ এখনও ওই এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। যুব লিগ নেতৃত্ব শুক্রবার জানিয়েছেন, পুলিশ গ্রেফতার করতে চাইলেও তাঁরা সমাবেশ করবেন। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্যের সব সরকারি দফতরে নিয়োগ পিএসসি-র মাধ্যমেই হবে, বাম আমলে ২০০৮ সালে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পিএসসি তালিকা পাঠালেও কোনও নিয়োগ হয়নি। আবার বেশ কিছু ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক ড্রাফ্ট দিয়ে আবেদন করা সত্ত্বেও পিএসসি অ্যাডমিট কার্ড পাঠায়নি। যুব লিগের রাজ্য সম্পাদক অনির্বাণ চৌধুরী এ দিন বলেন, “পিএসসি যেমন বেকার যুবক-যুবতীদের প্রতারণা করছে, আবার মুখ্যমন্ত্রীও বছরে দু’লক্ষ নিয়োগের প্রতিশ্রুতি রাখছেন না। পিএসসি-র দফতরের সামনে প্রতিবাদে বঞ্চিত সকলকেই যোগ দিতে আবেদন করছি।”
|
নতুন বছরে অসংগঠিত শ্রমিকদের সুরক্ষা যোজনায় বাড়তি সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু শুক্রবার মহাকরণে বলেন, “সরকার নতুন বছরে এই যোজনায় নথিভুক্ত হওয়া অসংগঠিত শ্রমিকদের ‘সামাজিক মুক্তি কার্ড’ দেবে। এটি একটি ‘স্মার্ট কার্ড’। এর মাধ্যমে অসংগঠিত শ্রমিকেরা নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি অসংগঠিত শ্রমিকদের একটি সমাবেশে সামাজিক মুক্তি কার্ড চালু করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। শ্রমমন্ত্রী জানান, অসংগঠিত শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তা বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগে অসংগঠিত ক্ষেত্রে নথিভুক্ত কোনও শ্রমিকের স্বাভাবিক মৃত্যু হলে রাজ্য সরকার তাঁর পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিত। তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ এক লক্ষ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে দেড় লক্ষ টাকা। একই ভাবে বাড়ানো হয়েছে অবসর ভাতা এবং চিকিৎসা, শিক্ষা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্যের পরিমাণও। |