নয়াগ্রামে তৃণমূল কর্মী খুনে ব্লক কংগ্রেস নেতা-সহ ধৃত ৫
শ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রামে বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষে তিরবিদ্ধ এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর পরে ব্লক কংগ্রেস সভাপতি অসিত দাস-সহ ৫ জনকে ধরেছে পুলিশ। শুক্রবার ধৃতদের ৫ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালত। অসিতবাবু-সহ দলীয় কর্মীদের ‘মিথ্যা মামলা’য় ফাঁসানো হয়েছে অভিযোগ করে ঘটনার সিআইডি তদন্ত দাবি করেছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি স্বপন দুবে।
তৃণমূলের তরফে মোট ১০ জনের নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। ‘পলাতক’দের মধ্যে রয়েছেন সিপিএমের নয়াগ্রাম জোনাল কমিটির সম্পাদক হিমাংশু ত্রিপাঠির ছেলে সৌরভও। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষের জন্য কংগ্রেস ও সিপিএমকে মিলিত ভাবেই অভিযুক্ত করা হয়েছে। যদিও পুরো ঘটনাই কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের ‘ঘরোয়া বিবাদ’ বলে দাবি সিপিএম নেতৃত্বের। হিমাংশুবাবুর দাবি, সৌরভ বা সিপিএমের কেউই বৃহস্পতিবারের ঘটনায় জড়িত নন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, নয়াগ্রামের আমলাডাংরি গ্রামে সিপিএম পরিচালিত নয়াগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির একটি পুকুরে ‘লিজ’ নিয়ে মাছ চাষ করতেন সিপিএমেরই লোকজন। ‘লিজে’র মেয়াদ ফুরোনোর পরেও সিপিএমের লোকজন পুকুরের দখল ছাড়তে চাইছিলেন না বলে অভিযোগ। রাজ্যে পালাবদলের পরে সিপিএমের লোকজনদের একাংশ ইতিমধ্যে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এ দিকে, তৃণমূলের লোকজন ওই পুকুরেরই ‘দখল’ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তা নিয়েই বৃহস্পতিবার সংঘর্ষ বাধে কংগ্রেস-তৃণমূলে। অন্তত ১০ জন আহত হন। বুকে তিরবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী কাদন হাঁসদা (৩৮) মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান। বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁর দেহ ফিরিয়ে আনা হয় মেদিনীপুরে। পর্যটনমন্ত্রী রচপাল সিংহ এবং তৃণমূল বিধায়ক সুলতান সিংহ মেদিনীপুরে এসে মরদেহে মাল্যদান করেন। রচপালের অভিযোগ, “স্থানীয় কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের মদতে সিপিএমের গুন্ডারাই হামলা চালিয়েছে।” তবে সিপিএম বা কংগ্রেস অভিযোগ মানেনি। এ দিন বিকেলে মরদেহ নিয়ে আমলাডাংরি গ্রামেও যান তৃণমূলের মন্ত্রী-নেতারা।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.