মাতঙ্গিনী মহিলা সমিতির সদস্যা দেবলীনা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে খুন ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা রয়েছে নন্দীগ্রাম থানায়। সিআইডি-র দাবি, নন্দীগ্রাম ভূমি উচ্ছেদ কমিটির ২০০৭ সালের আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভাবে জড়িত ছিলেন বলে জেরায় স্বীকার করেছেন দেবলীনা। বৃহস্পতিবার দেবলীনাকে ১০ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করছে সিআইডি।
রবিবার নোনাডাঙা উচ্ছেদ কমিটির অবস্থান বিক্ষোভ থেকে দেবলীনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নন্দীগ্রাম থানার দু’টি মামলায় তারা ওই মহিলাকে জেরা করতে চায় বলে বৃহস্পতিবার আদালতে আর্জি জানায় সিআইডি। তার পরেই ১০ দিন দেবলীনাকে সিআইডি-র হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। সিআইডি-র দাবি, ২০০৭ সালে ভূমি উচ্ছেদ কমিটির আন্দোলন সংগঠিত করার জন্য তিনি নন্দীগ্রামেই ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন দেবলীনা। ওই সময় বিভিন্ন নাশকতা ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন কি না, ধৃতকে জেরা করে তা জানার চেষ্টা চলছে বলে জানান তদন্তকারীরা।
বৃহস্পতিবার রাতে ভবানী ভবনে দেবলীনা জানান, ‘মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো’র প্রতিবাদে তিনি সিআইডি লক-আপে অনশন করবেন। তবে ডিআইজি সিআইডি (অপারেশনস) কারিয়াপ্পা জয়রামন শুক্রবার বলেন, “বৃহস্পতিবার রাত থেকে উনি স্বাভাবিক খাবার খেয়েছেন।” |