আইনি নোটিস কো-অর্ডিনেশনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি, ধর্মঘটের দিন অনুপস্থিত কর্মীদের মাইনে কাটার বিষয়টি শেষ পর্যন্ত আদালতে গড়াতে পারে।
ধর্মঘটের দিন কাজে যোগ না-দেওয়ার অভিযোগে এক দিনের বেতন কাটার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে ধর্মঘটী কর্মচারীদের চাকরির মেয়াদ এক দিন কমিয়ে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। এ বার সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তাদের আইনি নোটিস ধরাল সিপিএম প্রভাবিত সরকারি কর্মী সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটি। কর্মীদের পক্ষ থেকে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকার যে-ভাবে ধর্মঘটের দিন অনুপস্থিত কর্মীদের মাইনে কাটার নির্দেশ দিয়েছে, তা সম্পূর্ণ বেআইনি। কো-অর্ডিনেশন কমিটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, চিঠির সন্তোষজনক জবাব না-পেলে কর্মচারীরা আদালতে যাবেন।
কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ধর্মঘটের দিন ছুটি নেওয়ার ব্যাপারে প্রথমে মুখ্যসচিব এবং পরে অর্থসচিবের জারি করা দু’টি নির্দেশই বেআইনি। তাই যে-সব অফিসার বেতন কাটার নির্দেশ দিচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” তিনি বলেন, “আমরা আইনজীবীর চিঠি পাঠিয়েছি। এতে সরকার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলে ভাল। না হলে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব।” কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্যদের পক্ষে সরকারের বেশ কয়েকটি দফতরে চিঠি পাঠিয়েছেন আইনজীবী অর্ণব রায়। তাঁর কথায়, “ধর্মঘটের দিন না-আসার জন্য রাজ্য সরকার যে-ভাবে মাইনে কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা বেআইনি এবং সরকারি কর্মচারীদের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ।” অর্ণববাবুর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে থাকা ভূমি ও ভূমিরাজস্ব দফতরের এক যুগ্মসচিব রাজ্যের প্রত্যেক জেলাশাসককে মাইনে কাটা এবং চাকরির মেয়াদ এক দিন কমিয়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর সার্ভিস বুকেও দাগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি নির্দেশের উপরে ভিত্তি করে মাইনে কাটার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের অধীন বিভিন্ন স্বশাসিত সংস্থাতেও। যা সম্পূর্ণ বেআইনি। ওই সব সংস্থা এবং জেলাশাসকদের কাছে আইনি নোটিস পাঠানো হচ্ছে। মহাকরণের এক কর্তার কথায়, “যা বলার, চিঠির উত্তরেই বলা হবে।” |