সংস্কৃতি যেখানে যেমন |
বর্ষবরণ |
আগামী শুক্রবার বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে রাতভর অনুষ্ঠিত হবে বাংলা নববর্ষবরণ। নাট্যসংস্থা ‘ঋত্বিক’ আয়োজিত ওই অনুষ্ঠান শেষ হবে পরদিন শনিবার ভোরে ১৪১৯ বঙ্গাব্দের প্রথম দিনের সূযোর্দয়ের পর। ‘ঋত্বিক’-এর এ বারের পঞ্চমবর্ষের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে কলকাতার ৫টি নাট্যসংস্থার ৫টি নাটক বহরমপুরের রবীন্দ্রসদনে মঞ্চস্থ হবে। ওই নাটক গুলি হল ‘অন্য থিয়েটার’-এর ‘জগাখিচুড়ি’, ‘নান্দীপট’-এর ‘আমি নন্দ বলছি’, ‘সন্দর্ভ’-এর ‘ঘোড়া’, ‘নির্বাক অভিনয় অ্যাকাডেমি’র ‘মণি কাহিনি’ ও ‘নটরঙ্গ’-এর ‘কবয়ঃ’। নাটক ছাড়াও সদনের মঞ্চে থেকে পরিবেশন করা হবে বাউল সংগীত ও নাটকের গান। বাংলা নাট্য জগতের ১৫ জন গুণী ব্যক্তিত্বকে সম্বর্ধনা দেওয়া হবে। দুই নাট্য ব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী ও তীর্থঙ্কর চন্দ এই অনুষ্ঠানে বহরমপুরের অতিথি হয়ে আসছেন।
|
নবাঙ্কুর নৃত্যায়ন |
বেথুয়াডহরির ‘নবাঙ্কুর নৃত্যায়ন’-এর তৃতীয় বর্ষের সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হল গত রবিবার। বেথুয়াডহরির কাঁঠালবেড়িয়ার মাঠে ওই অনুষ্ঠান হয়।
|
নাট্য কোজাগরী |
গত ২৭ মার্চ বিশ্বনাট্য দিবস উপলক্ষে নাট্য কোজাগরী নামে পালিত হল শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরি হলে। আয়োজক সংস্থা ‘শান্তিপুর সাংস্কৃতিক’। রাতভর ওই অনুষ্ঠানে ৩টি নাটক মঞ্চস্থ হয়। এ ছাড়াও ছিল দু’টি পুতুল নাটক। মুখাভিনয় ও নাটকের গান পরিবেশিত হয়।
|
সঙ্গীত মেলা |
আগামী রবিবার থেকে বহরমপুর রবীন্দ্রসদনের মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ৬ দিন ব্যাপী ‘সঙ্গীত মেলা’। আয়োজক সংস্থা ‘মুর্শিদাবাদ সঙ্গীত মেলা’। সারা জেলার ১৮০ জন শিল্পীর মধ্যে থেকে পরীক্ষার মাধ্যমে ৬৫ জন শিল্পীকে বাছাই করা হয়েছে। তাঁদের মধ্য থেকে ও অতিথি শিল্পী মিলিয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যায় ১৮ জন করে একক সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। থাকছে ৪টি বাংলা ব্যান্ডের গান।
|
কবিতা উৎসব |
আগামী শনিবার বাংলা নববর্ষের বিকালে বহরমপুর কালেক্টরেট ক্লাবে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘কবি সম্মেলন ও কবিতা উৎসব’। আয়োজক সংস্থা চার দশকেরও বেশি বয়সি ‘সময়’ পত্রিকা গোষ্ঠী। মোট ৩০ জন স্বরচিত কবিতা পাঠ করবেন। এ ছাড়াও আবৃত্তি ও সংগীত পরিবেশন করা হবে।
|
রাজ্য ছড়া উৎসব |
গত ৩১ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত দু’দিন ধরে লালবাগের যুব আবাসে অনুষ্ঠিত হল ‘দ্বাদশ রাজ্য ছড়া উৎসব’। আয়োজক সংস্থা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের ‘অজগর’ পত্রিকা গোষ্ঠী। দু’দিনের ওই উৎসবে রাজ্যের প্রায় ২০০ জন লেখক স্বরচিত ছড়া পাঠ করেন। প্রকাশিত হয় ছোটদের নতুন ছড়ার পত্রিকা ‘ছড়ার মুলুক’। জিতকুমার পাত্র সম্পাদিত ওই পত্রিকায় প্রতিটি ছড়ার সঙ্গে রয়েছে প্রতিম দাসের অলঙ্করণ। রয়েছে জীবনানন্দ দাসের মা কুসুমকুমারীদেবী ও সুকুমার রায়কে নিয়ে লেখা দু’টি নিবন্ধ।
|
মুক্তধারার অনুষ্ঠান |
কৃষ্ণনগর মুক্তধারা ‘ডান্স সেন্টার’-এর তৃতীয় বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হল গত শনিবার। কৃষ্ণনগর রবীন্দ্রভবনে ওই অনুষ্ঠানটি হয়।
|
ইস্টারে নাটক। কৃষ্ণনগরে ছবিটি তুলেছেন সুদীপ ভট্টাচার্য। |
বসে আঁকো।-অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়। |
|
|