|
|
|
|
খসড়া তালিকা প্রকাশ |
জেলায় ১১৮৯টি বুথ বাড়ানোর প্রস্তাব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পুনর্বিন্যাসের পর মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ-কেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হল পশ্চিম মেদিনীপুরে। খসড়া-তালিকা রাখা হয়েছে জেলাশাসকের দফতর, এসডিও ও বিডিওদের দফতরের নোটিস-বোর্ডে। সাংসদ, বিধায়ক ও রাজনৈতিক দলগুলির কাছেও সেই তালিকা পৌঁছনো হয়েছে। আগে জেলায় বুথের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ১৪৮টি। পুনর্বিন্যাসের পর সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৩৩৭। অর্থাৎ খসড়া অনুযায়ী বুথ বাড়ছে ১১৮৯টি। জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত-র বক্তব্য, “খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। কারও কোনও মতামত থাকলে তা জানাতে পারেন।” জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ২৫ তারিখের মধ্যেই এই মতামত জানাতে হবে। তার পরেই এই তালিকা চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
পুনর্বিন্যাসের ফলে প্রত্যন্ত এলাকার ভোটারদের সুবিধা হবে বলেই মনে করছে জেলা প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রতিটি বুথে যাতে নির্বিঘ্নে ও দ্রুত ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়, সেই জন্যই অতিরিক্ত ভোটার থাকা বুথ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১ হাজার ১০০ জনের বেশি ভোটার থাকলেই সেই বুথকে ভেঙে দু’টি বুথ করতে হবে। এবং এই দু’টি বুথ করতে হবে দু’টি এলাকায়। যাতে সব ভোটারই কাছাকাছি এলাকায় গিয়ে ভোট দিতে পারেন। জেলা প্রশাসন এই নির্দেশ কার্যকরী করতে গত ফেব্রুয়ারি থেকে পদক্ষেপ শুরু করে। নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা আধিকারিক পার্থ চক্রবর্তী জানান, “এ জন্য সর্বদলীয় বৈঠকও হয়েছে।”
জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৩৭ লক্ষ ৭৩ হাজার ৯০৮। বুথের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ১৪৮টি। আগে বেশি ভোটারযুক্ত বুথগুলি ভেঙে সেই বুথ চত্বরেই আর একটি অগস্যুলারি বুথ করা হত। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যেত, এর ফলে দূরের গ্রাম থেকে আসা ভোটাররা সমস্যায় পড়ছেন। কিছু ক্ষেত্রে দু’-আড়াই কিলোমিটার দূরে গিয়েও ভোট দিতে হত। ফলে বয়স্ক ভোটাররা সব সময়ে ভোট দিতে পারতেন না। এ ছাড়া দূরে গিয়ে ভোট দিতে হবে ভেবেও অনেকে ভোট দিতে বেরোতেন না। এ দিকে নির্বাচন কমিশন ভোটে একশো শতাংশ ভোটারেরই অংশগ্রহণ চায়। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, খসড়া তালিকায় বুথ সংখ্যা বাড়িয়ে ৫ হাজার ৩৩৭টি করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। অর্থাৎ, বুথ বাড়তে চলেছে ১ হাজার ১৮৯টি। এ কারণে ভোটগ্রহণ-চত্বরও (অর্থাৎ, প্রেমিসেস। সেই সংখ্যাও বাড়বে। কেননা একটি চত্বরে একাধিক বুথ থাকতেই পারে, বিশেষত শহরাঞ্চলে) ৩ হাজার ৮২২ থেকে বাড়িয়ে ৪ হাজার ৫৩৮টি করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
যে সব বুথে ১ হাজার ১০০-র উপর ভোটার ছিল, এ ক্ষেত্রে সেই বুথগুলিই ভেঙে নতুন বুথের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। যেমন, আগে ঝাড়গ্রাম বিধানসভা এলাকায় ২০১টি বুথ ছিল। এ বার সেখানে তা বাড়িয়ে ২৫৩টি করার প্রস্তাব রয়েছে। শালবনি বিধানসভা এলাকায় ২২৫টি বুথ ছিল। এ বার তা বাড়িয়ে ৩০৩টি করার প্রস্তাব রয়েছে। খসড়া তালিকা নিয়ে কারও কোনও মতামত থাকলে তা ২৫ এপ্রিলের মধ্যে জানাতে হবে। এই মতামত খতিয়ে দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। |
|
|
|
|
|