রসপুর হাইস্কুল (উচ্চ মাধ্যমিক) |
ছাত্রছাত্রী ৮৫০ জন।
শিক্ষক শিক্ষিকা ২৬ জন।
বৃত্তিমূলক শাখায় শিক্ষক-শিক্ষিকা ১২ জন।
অশিক্ষক কর্মচারী ৩ জন। গত
বছরে
মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৯৫ শতাংশ। গত বছরে
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৮৪ শতাংশ। |
|
|
পিন্টুকুমার দাস
(প্রধান শিক্ষকা) |
|
রসপুর একটু সুপ্রাচীন গ্রাম। দামোদর নদীর তীরেই অবস্থিত এই গ্রামের ঐতিহ্য বহন করে রসপুর হাইস্কুল, যার জন্ম আজ থেকে ১৩৬ বছর আগে। এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাথে যুক্ত ছিলেন এলাকার স্বনামধন্য শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ। বিদ্যালয়ের বহু কৃতি ছাত্র-ছাত্রী পরবর্তীকালে সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। স্বাধীনতা সংগ্রামী শ্রীশচন্দ্র (হাবু) মিত্র এই বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। বিদ্যালয়ে শিক্ষক-ছাত্র সম্পর্ক ভীষন ভাল। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্তরিক সহযোগিতায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য বোর্ড এবং সংসদের শংসাপত্র বহুবার বিদ্যালয় পেয়েছে। বিদ্যালয় গরিব ছাত্রদের যেমন আর্থিক সাহায্য করে তেমনই মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো ফলের জন্য পুরস্কার দিয়ে উৎসাহ প্রদান করে। ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনার সাথে খেলাধূলায় যথেষ্ট পারদর্শী। প্রতি বছর ব্লক, জেলা এবং রাজ্য স্তরে খেলাধূলায় পারদর্শীতা প্রদর্শন করে। বিদ্যালয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসব পালন করা হয়। ২০১১ সালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় এবং স্বামী বিবেকানন্দের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এই ভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীতে উল্লেখযোগ্য ভাবে কৃতিত্ব দেখিয়ে চলেছে। এত কিছু সত্ত্বেও আমাদের এই বিদ্যালয়ের সমস্যাও প্রচুর। বিদ্যালয়ের প্রাচীর নেই। ভাল গ্রন্থাগারের অভাব আছে। ল্যাবরেটরি আরও উন্নত করা প্রয়োজন। আর এই সমস্ত কাজের জন্য চাই স্থানীয় মানুষ ও সমস্ত অভিভাবকদের আন্তরিক সহযোগিতা। তা হলেই স্কুল সর্বাঙ্গসুন্দর হয়ে উঠবে। |
আমার চোখে
অর্পণ চক্রবর্তী
(প্রথম স্থানাধিকারী দশম শ্রেণি) |
|
|
১৩৬ বছরের প্রাচীন এই বিদ্যালয় আমার কাছে অতি প্রিয়। বিদ্যালয়টি ছায়ানিবিড় প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে অবস্থিত হওয়ায় পড়াশোনার আদর্শ স্থান বলে আমার মনে হয়। আমার সহপাঠীরাও আশা করি এ ব্যাপারে সহমত পোষণ করবে। এই বিদ্যালয়ে আমি পঞ্চম শ্রেণি থেকে পড়াশোনা করছি। বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকার সঙ্গে আমার আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। বিদ্যালয় চৌহুদ্দির মধ্যে একটি বিশাল গ্রন্থাগার রয়েছে। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। গ্রন্থাগারটি আরও উন্নত করার প্রয়োজন রয়েছে। এই গ্রন্থাগার থেকে পাঠ্য পুস্তক এবং অন্যান্য বই আমরা নিতে পারি। এতে আমাদের পঠন-পাঠনে বেশ সাহায্য হয়। আমাদের বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল বেশ ভাল হয়। সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ফল আরও ভাল হবে বলে আশা করি। পাশাপাশি আরও একটি সমস্যা কথা বলে রাখা দরকার। আমাদের বিদ্যালয়ে অবশ্যই একটি প্রাচীর প্রয়োজন। না হলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। |