সম্পাদক সমীপেষু ... |
কে বলল, জেলা ভাঙলেই সুরাহা |
প্রশাসনিক সুবিধার জন্য এবং উন্নয়নের প্রতি নিবিড় লক্ষ্য রাখতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাকে ভেঙে এ বার ঝাড়গ্রাম জেলা করা হবে। বছর দশেক আগে অভিন্ন মেদিনীপুর জেলাকে ভেঙে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা গঠিত হয়। পূর্ব মেদিনীপুরের ভাগে হলদিয়া, দিঘা, কোলাঘাটের মতো উন্নত এলাকাগুলি পড়ে। পশ্চিম মেদিনীপুর পায় কিষান-আকাশ-বিকাশদের এলাকাগুলি। এই জেলার উন্নতির জন্য পাশের জেলার সঙ্গে মোট ৭৪টি ব্লক নিয়ে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পরিষদ গঠিত হয়।
সেই পরিষদ এখনও শৈশব কাটিয়ে উঠতে পারেনি। বছর দশেক হয়ে গেলেও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সার্বিক পরিকাঠামো এখনও গড়ে ওঠেনি। কয়েক বছর হল খড়্গপুরকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মহকুমা শহর ঘোষণা করা হয়। এখনও প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ হয়নি। খড়্গপুর-মেদিনীপুর জেলার সার্বিক উন্নয়নে তৈরি হয় মেদিনীপুর-খড়্গপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। অথচ কোনও অবদান নেই এই অথরিটির। খড়্গপুর, ঝাড়গ্রাম হাসপাতালকে জেলা হাসপাতালে উন্নীত করা হয়। পরিকাঠামো যথা পূর্বং তথা পরং। সুতরাং নতুন জেলা বাড়ালেই হাল ফিরবে এ ভাবনা ভুল। যত দিন উন্নয়ন, কর্মসংস্কৃতির উন্নতি ইত্যাদি না-হবে এবং সরকারে আসীন দলের নেতাদের মাতব্বরি না-কমবে, তত দিন জেলা বাড়িয়ে উন্নয়ন করার ভাবনা হাস্যকর প্রয়াস ছাড়া আর কিছুই নয়। |
সুদর্শন নন্দী। রাঙামাটি, মেদিনীপুর
|
অধিকর্তা কে? |
গ্রামোন্নয়নে ফের বিশ দফা কর্মসূচি রাজ্যে’ (২৭-২) সংবাদে লেখা হয়েছে। রাজ্যের কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্রের কর্ণধার তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই সংস্থার অসহায় কর্মীরা মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে সুবিচার চাইতে গিয়েছেন। প্রসঙ্গত জানাই, আমি প্রবীরকুমার দাস সেই কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্রের চেয়ারপার্সন। উল্লেখিত তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমাদের সংস্থার বর্তমানে কোনও সম্পর্ক নেই। রাজ্যের বিভিন্ন থানায় বিবিধ ফৌজদারি অপরাধ সংক্রান্ত মোকদ্দমায় জড়িত থাকার জন্য তাঁকে ২০-৫-২০০৫ থেকে আমাদের সংস্থার বোর্ড অব ডিরেক্টরসের মিটিংয়ে নেওয়া রেজলিউশন-বলে সংস্থা থেকে অপসারণ করা হয়েছে এবং তাঁর সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। |
প্রবীরকুমার দাস। চেয়ারপার্সন, কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্র, কাটোয়া, বর্ধমান
|
প্রতিবেদকের উত্তর: বিষয়টি নিয়ে বিবাদ থাকায় কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্র সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ সরকারি চিঠির ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান ও প্রকল্প রূপায়ণকারী মন্ত্রকের পক্ষ থেকে তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে সম্প্রতি যে একাধিক চিঠি দেওয়া হয়েছে, মূলত তার ভিত্তিতেই প্রতিবেদনটি লেখা। কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্রের প্রকৃত অধিকর্তা কে, তা নিয়ে জটিলতা থাকায় আমি অন্য পক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। সেই ত্রুটি অবশ্যই আমার।
|
নববষের্র ছুটি বাতিল? |
আমার কন্যা কলকাতা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি প্রাথমিক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। সম্প্রতি মেয়ের স্কুল থেকে জানতে পারি, এ বছর বাংলা নববর্ষের দিন কলকাতা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ নিয়ন্ত্রিত সমস্ত প্রাথমিক স্কুল খোলা রাখার নির্দেশ রয়েছে। সংসদের যুক্তি, ১ বৈশাখের দিন স্কুল খুলে রেখে অম্বেডকরের জন্মদিন পালন করতে হবে। অম্বেডকর নমস্য ব্যক্তি। কিন্তু তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়েই বলছি, তাঁর জন্মদিন নববর্ষের পরে যে কোনও এক দিন স্কুলে পালন করা যায়। রবীন্দ্রজয়ন্তী তো সব জায়গায় রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনেই পালন করা হয় না। বাংলা নববর্ষ বাতিল করে অম্বেডকরের জন্মদিন পালনের যৌক্তিকতা কোথায়? সব প্রদেশেই নববর্ষ উৎসব প্রাদেশিক ছুটির দিন। এমন একটি সরকারি ছুটির দিনে কেবল মাত্র প্রাথমিক স্কুল খুলে রাখা হবে? নিয়োগকর্তা হলেই এমন অন্যায় নির্দেশ দেওয়ার অধিকার থাকে কি? |
মিলন রায়চৌধুরী। কলকাতা-৩৪ |
|