দক্ষিণ ভারতের পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে আপত্তি তোলায় শ্রীলঙ্কার সমালোচনা করলেন করুণানিধি। তামিলনাড়ুর কুড়ানকুলাম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে শ্রীলঙ্কার দূরত্ব মাত্র ২৫০ কিলোমিটার। সোমবার শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎমন্ত্রী চম্পিকা রনওয়াকা বলেন, “ভারতের পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলার অধিকার রয়েছে এবং তাকে আমরা সম্মান করি। তবে তার তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব আমাদের দেশে পড়তে পারে, এটা ভেবেই আমরা চিন্তিত। এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থাকে (আইএইএ) চিঠি লিখেছি।” রনওয়াকার এই বক্তব্যের জবাবে আজ ডিএমকে প্রধান করুণানিধি বলেন, “কুড়ানকুলাম এক দিনে গড়ে ওঠেনি। বহু দিন ধরে এই নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছে। এখন শ্রীলঙ্কা আপত্তি জানালে কিছু করার নেই।’’ সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধের অভিযোগকে সমর্থন জানায় ভারত। এর পিছনে ডিএমকে-এর ভূমিকা ছিল। তাই প্রতিশোধ নিতেই কুড়ানকুলাম বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে আপত্তি তুলছে শ্রীলঙ্কা, এমনটাই মনে করছে ডিএমকে। এই বিষয়ে কেন্দ্র উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন করুণানিধি।
|
হিনা রব্বানি খারকে পাক বিদেশমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হতে পারে বলে জানাল পাক সংবাদমাধ্যম। রবিবার লাহৌরে পাক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি বলেন, এ বার থেকে ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা চালাবে একটি ‘নতুন দল’। গিলানির কাছ থেকে ‘নতুন দল’-এর ব্যাখ্যা না মিললেও পাক সংবাদমাধ্যম মনে করছে অন্য কোনও মন্ত্রকের দায়িত্ব দিয়ে সরানো হতে পারে হিনা রব্বানি খারকে। সম্প্রতি মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠকে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিকে জিজ্ঞাসা করা হয়, মে মাসে আফগানিস্তান নিয়ে শিকাগোতে যে বৈঠকে হবে তাতে পাকিস্তান যোগ দেবে কি না। জারদারি জানান, আনুষ্ঠানিক নিমন্ত্রণ পেলেই যোগ দেবে পাকিস্তান। কিন্তু জারদারিকে মাঝপথে থামিয়ে হিনা বলে ওঠেন, পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে পাক-মার্কিন সম্পর্কের মূল্যায়ন না হলে শিকাগো সফর নিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়। এই ঘটনায় জারদারি ক্ষুণ্ণ হন বলে খবর। আর এর জেরেই বিদেশ মন্ত্রক হারাতে পারেন হিনা রব্বানি খার। সেই কারণেই জারদারির সঙ্গে হিনাকে ভারতে পাঠানো হয়নি বলেও চলছে জল্পনা।
|
সেনা ও আল কায়দা জঙ্গিদের দু’দিনের লাগাতার সংঘর্ষে ইয়েমেনে নিহত হয়েছেন ১২৭ জন। তাঁদের মধ্যে সেনা ছাড়াও রয়েছেন বহু সাধারণ মানুষ। গত বছর ইয়েমেনের নেতা আলি আবদুল্লা সালেহর বিরুদ্ধে শুরু হয় বিক্ষোভ। সালেহ-বিরোধী পরিস্থিতে নিজেদের জমি মজবুত করার চেষ্টা করছে আল কায়দা জঙ্গি বাহিনী। তাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর লাগাতার সংঘর্ষ চলছে। দু’দিনের সংঘর্ষে ৫৬ জন জঙ্গিও নিহত হয়েছে বলে খবর। |