ছিটমহল
অনশন উঠে গেল হাসিনার আশ্বাসে
জ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্বাস পেয়ে ২৪ দিন পরে অনশন তুলে নিলেন ১১১টি ভারতীয় ছিটমহলের বাসিন্দারা। ডাবের জল ও ফলের রস খাইয়ে ছিটমহলবাসীদের অনশন ভাঙলেন শেখ হাসিনার দূত আওয়ামি লিগের সাংসদ ফরিদা আখতার।
ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি বাস্তবায়ন ও অবিলম্বে ছিটমহল বিনিময়ের দাবিতে ১৮ মার্চ থেকে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের ধারে পুঁটিমারি ছিটমহলে গণ-অনশনে বসেছিলেন ১১১টি ভারতীয় ছিটমহলের বাসিন্দারা। একই দাবিতে ভারতের কোচবিহারে ১২ মার্চ থেকে অনশনে বসেন ৫১টি বাংলাদেশি ছিটমহলের বাসিন্দারা। বাংলাদেশে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ছিটমহলবাসীদের কাছে দূত পাঠালেও, এখানে প্রশাসন তাঁদের দিকে ফিরেও তাকায়নি। বহু অনশনকারী অসুস্থ হয়ে পড়ার পরে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের অনুরোধে ৮ এপ্রিল ২৮ দিনের মাথায় সে অনশন তুলে নেওয়া হয়।
পুঁটিমারির অনশন মঞ্চে সাংসদ ফরিদা আখতার বলেন, “আপনাদের অনশনে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ছিটমহল বিনিময়ের বিষয়টি নিয়ে কূটনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে। ৫ মে ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় ঢাকা আসছেন। তাঁর সঙ্গে তিস্তার জলবণ্টনের পাশাপাশি এই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হবে।”
ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙাচ্ছেন আওয়ামি লিগের সাংসদ
ফরিদা আখতার। মঙ্গলবার পুঁটিমারি ছিটমহলে। —নিজস্ব চিত্র
ফরিদা জানান, ছিটমহলবাসীদের ন্যায্য দাবি আদায়ে বাংলাদেশ তৎপর। প্রধানমন্ত্রী চান, অনশন প্রত্যাহার করা হোক। এর পরেই আন্দোলনকারীরা অনশন তুলে নেন। ‘ছিটমহাল বিনিময় সমন্বয় সমিতি’-র নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত কোচবিহারে জানিয়েছেন, ছিটমহল বিনিময় নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে নতুন চুক্তির জন্য বাজেট অধিবেশনেই বিল আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্র। তা বাস্তবায়নের দাবিতে ছিটমহলবাসীরা এ মাসের শেষে দিল্লি গিয়ে ধরনায় বসছেন। প্রণববাবুর ঢাকা সফরের আগে কলকাতাতেও তাঁরা আন্দোলনে বসছেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.