আমাদের চিঠি

ধ্বংসের পথে কালনার পুরাকীর্তি
বৈভব ও প্রতিপত্তিতে বাংলায় বর্ধমান রাজবংশের বিশেষ মর্যাদা ছিল। লাহোরের কোটালি গ্রামের বস্ত্রব্যবসায়ী সঙ্গম রায় বর্ধমানের কাছে বৈকুণ্ঠপুরে প্রথম বসতি স্থাপন করে ব্যবসা শুরু করেন। তখন সম্রাট আকবরের রাজত্বকাল। ব্যবসা থেকেই জমিদারি ও পরে বিশাল স্টেটের মালিকানা প্রাপ্ত হয়ে তিনি ‘মহারাজা’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন।
ভগ্নদশায় কালনা সমাজবাড়ি।
রাজস্টেট পরিচালনার জন্য মূল কাছারি বাড়িটি ছিল বর্ধমানে। দ্বিতীয়টি ছিল অম্বিকা কালনায়। কালনার পূর্বে কাটোয়ার দক্ষিণে দাইহাট গ্রামেও কিছু দিন দ্বিতীয় কাছারি বাড়ি ছিল। সেখানে রাজবাড়ি ও একটি সমাজবাড়ি এখনও ভগ্ন অবস্থায় রয়েছে। এই স্মৃতিসৌধটি মহারাজা কীর্তিচাঁদের চিতাভস্মের উপর স্থাপিত হয়েছিল। পরবর্তী কালে বর্গি হামলা এবং অন্যান্য অসুবিধের জন্য কাছারি বাড়ি স্থানান্তরিত করে অম্বিকা কালনায় নিয়ে আসা হয়।
এই রাজবংশের মহারাজা চিত্রসেন রায় মৃত রানিদের স্মৃতিকে চির অক্ষয় করে রাখার পরিকল্পনা করেছিলেন। দাইহাটে প্রথম স্মৃতিসৌধটি তিনিই তৈরি করেছিলেন। মহারাজা মহতাবচাঁদ বাহাদুর প্রয়াত মহারাজা তেজচন্দ্র বাহাদুরের চিতাভস্মের উপর ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে অম্বিকা কালনায় প্রথম স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেছিলেন। এটিই সমাজবাড়ি নামে পরিচিত। বর্তমানে মহারাজা মহতাবচাঁদ বাহাদুর, আফতাবচাঁদ বাহাদুর সহ ছয় রাজারানির স্মৃতিসৌধ পাঁচ বিঘে জমির উপর ভাগীরথী নদীর ধারে রয়েছে। এই বিশাল সমাজবাড়িটি অতীতের বিস্ময়কর শিল্পকর্মের নান্দনিক রূপ অঙ্গে ধারন করে অবহেলায় ক্রমশ ধ্বংসের পথে চলছে। এটি শেষ হয়ে গেলে একটি যুগের উজ্জ্বল ইতিহাস চিরতরে হারিয়ে যাবে।
পুকুর বেহাত
কেন্দ্রীয় সরকারের রেলমন্ত্রক তারকেশ্বর ও বিষ্ণুপুর রেললাইন তৈরির জন্য গোঘাট থানার অন্তর্গত ভাদুর অঞ্চলের একটি পুকুরের অংশ নিয়েছে। মির্গা মৌজায় (জে এল নং-৬৯), দাগ নং- ৫৪৬ অংশে রেল দফতর নিয়েছে পুকুরের ৫ শতক। ৭০ শতক আছে। রেল অধিগ্রহণ নং পিআরওসিসিএস/০৭-১৭০, তাং-৭/৭/২০০৯। এখনও ওই পুকুরটির ওপর দিয়ে রেললাইন পাতা ও মাটির কাজ কিছুই হয়নি। পুকুরটিতে রোলবল্ডা পোঁতা আছে এবং পিচ ড্রাম যেগুলি দেওয়া আছে সেগুলির সঙ্গে মাটির কোনও সংযোগ নেই। ফলে বাকি অংশ চাষের অযোগ্য। মাটি ফেলে পুকুরটিকে সংস্কার করে চাষের উপযোগী করার দায়িত্ব রেল দফতরের। পুকুরের মালিকরা রেলের এই কাজে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন। গরিব মানুষের সেবায় সরকার ব্রতী। তবে গরিব মানুষের প্রতি এমন অবহেলা কেন?
অ্যানিকাট বেহাল
মেদিনীপুর, খড়গপুর শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে কংসাবতী নদী। নদীর দু’পাশে অনেকগুলো পাম্পহাউস আছে। এগুলো দিয়েই নিয়মিত জল সরবরাহ করা হয় মেদিনীপুর, খড়গপুরে। কাঁসাই নদীর ওপর ব্রিটিশ আমলে তৈরি একটি অ্যানিকাট ছিল। এই অ্যানিকাটই সারা বছর নদীতে জল ধরে রাখত। পাম্পগুলোর জল সরবরাহে অসুবিধে হত না। ২০০৮-এর বর্ষায় অ্যানিকাট ভেঙে যায়। সংস্কার হলেও পরের বর্ষায় তা আবার ভেঙে যায়। এখন সেটি ভাঙা অবস্থাতেই আছে। বর্তমান সরকারকে অনুরোধ, অবিলম্বে অ্যানিকাট সারাই করুন। নতুবা এই গরমে দুই শহরের লোকজনকে দারুণ জলকষ্ট ভোগ করতে হবে।
প্রাণ ওষ্ঠাগত
আমোদপুরের ঈশ্বরপুর এলাকার তিনটি ধানকলের চিমনির ধোঁয়ার সঙ্গে ছাই ও কালি সারা দিনই বৃষ্টির মতো ঝরতে থাকে। বাড়ির দরজা-জানলা খুলে রাখা যায় না। ছাদ ও উঠোনে ছাইয়ের কালিতে খালি পায়ে হাঁটা যায় না। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে এই ছাই ওড়া সহজেই বন্ধ করা যায়। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিমাতৃসুলভ আচরণ
পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্বশিক্ষকরা দীর্ঘ দিন বঞ্চনার শিকার। একই যোগ্যতায় একই কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে করেও সামাজিক সম্মান ও আর্থিক দিক থেকে অবহেলিত। দীর্ঘ দিন বেতন বৃদ্ধি হয়নি। পার্শ্বশিক্ষকরা বছরে মাত্র সাতটি মেডিক্যাল লিভ পান। এর বেশি ছুটি হলে বেতন কাটা যায়। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আবেদন, বিষয়টি সহানুভূতির দিক থেকে বিচার করুন।
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
আমাদের চিঠি,
সম্পাদকীয় বিভাগ,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.