টুকরো খবর
মার্ক্স-লেনিন ‘অচ্ছুত’নন, মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর
কার্ল মার্ক্স-লেনিনের মতাদর্শকে তাঁর সরকার যে ‘অসম্মান’ করে না, তা প্রকাশ্যেই জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরং ব্যক্তিগত বিশ্বাস-পছন্দের ঊর্ধ্বে উঠে সকল মতাদর্শকে ভালবেসে তা ‘গ্রহণ’ করারই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সোমবার বিধানসভা ভবনে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনের তৈলচিত্র উন্মোচনের অনুষ্ঠানে এসে মমতা বলেন, “আমি নিজে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে বিশ্বাসী। কিন্তু বামপন্থী আন্দোলনকে অসম্মান করি না। কার্ল মার্ক্স-লেনিনকেও অচ্ছুৎ মনে করি না।” সম্প্রতি উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যে মার্ক্স-এঙ্গেলসকে বাদ দেওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে সরকারকে। তার জবাবেই মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য বলে শিক্ষা দফতরের একাংশের অভিমত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা আরও বলেন, “কেউ কাউকে পছন্দ করতে পারেন। আবার অপছন্দও করতে পারেন। কিন্তু বিশিষ্টজনদের সম্মান দেওয়া আমাদের কাজ বলে মনে করি।” কাউকে ভালবাসতে গেলে কাউকে বর্জন না-করে সকলকেই গ্রহণ করতে হবে বলে তাঁর পরামর্শ। এটাই তাঁর সরকারের নীতি বলে জানিয়ে তিনি বলেন, সেই নীতিতেই মহাকরণে নিয়মিত মনীষীদের জন্ম-মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করার রেওয়াজ চালু করেছে নতুন সরকার। সেই রীতি মেনেই এ বার বিধানসভা ভবনেও রাজ্যের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের পাশাপাশি বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামীদেরও ছবি রাখা হবে বলে মমতা জানান। সাবেক বাম সরকারকে ‘কটাক্ষ’ করে তাঁর বক্তব্য, “বিশিষ্টজনদের সম্মান জানানোর ক্ষেত্রে আগে আমরা-তোমরা হত। কিন্তু আমরা তা করি না। এখানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ, সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়, অজয় মুখোপাধ্যায়ের পাশাপাশি স্বাধীনতা সংগ্রামী সুশীল ধাড়ার ছবিও রাখা হবে।” কয়েক দিন পরেই বিধানসভা ভবনে অজয়বাবুর তৈলচিত্র উদ্বোধন করা হবে বলে এ দিন ঘোষণা করেন মমতা। প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার হরিদাস মিত্র(অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রর বাবা)-র তৈলচিত্রও বিধানসভায় উন্মোচন করেন মুখ্যমন্ত্রী। আইনসভায় এ ভাবে একের পর এক বিশিষ্টজনদের ছবি রেখে সম্মান জানাতে উদ্যোগী হওয়ায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাধুবাদ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

মমতার কাজের খতিয়ান প্রকাশ করবে সিপিআই
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মা-মাটি-মানুষে’র সরকারের ১১ মাসের কাজের ‘খতিয়ান’ প্রকাশ করবে বামফ্রন্টের শরিক সিপিআই। সোমবার দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকের পর সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মঞ্জুকুমার মজুমদার বলেন, “বিধানসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা কতটা পালন করেছেন, মানুষকে জানাতে চাই। মুখ্যমন্ত্রী বার বার দাবি করছেন, তিনি ৮০% কাজ করে ফেলেছেন। সত্যিই কী কাজ হয়েছে, মানুষকে তা জানানো দরকার।” ১৯ ও ২০ এপ্রিল সিপিআইয়ের রাজ্য পরিষদের বৈঠক। সেখানে নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সুধাকর রেড্ডি থাকবেন। ওই বৈঠক থেকেই রাজ্য সরকারের কাজের ‘খতিয়ান’ প্রকাশের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে মমতা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, শিল্প ও জমির প্রশ্নে যে কথা বলেছিলেন, প্রশাসনকে দলতন্ত্রমুক্ত করার যে আশ্বাস দিয়েছিলেন, সে সব বিষয়ে সরকারের বর্তমান ভূমিকার কথা তুলে ধরা হবে।

ভাতা চেয়ে পুরোহিতেরা মহাকরণে
রাজ্যের ইমামদের জন্য গত সপ্তাহেই মাসিক ভাতা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই, সোমবার মহাকরণে গিয়ে ভাতার জন্য দাবি জানালেন পুরোহিতেরা। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে দাবিপত্রও জমা দিয়েছেন তাঁরা। ইমামদের জন্য ভাতা ঘোষণার পরেই ভাতার দাবিতে সরব হয়েছেন পুরোহিতেরা। ৩ এপ্রিল নেতাজি ইন্ডোরে এক অনুষ্ঠানে রাজ্যের ৩০ হাজার ইমামের জন্য মাথাপিছু মাসিক আড়াই হাজার টাকা ভাতা, মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেওয়া, তাঁদের ছেলেমেয়ের শিক্ষা ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ব্রাহ্মণ আন্তর্জাতিক যুব সংগঠনের তরফে অনিল মিশ্র এ দিন মহাকরণে জানান, রাজ্যের বিভিন্ন মন্দিরে, গঙ্গার ঘাটে অসংখ্য পুরোহিত ব্রাহ্মণ বছরের পর বছর ধর্মচর্চা করছেন, মানুষকে ধর্মের পথ দেখাচ্ছেন। তাঁদের ভালমন্দ দেখার কথা এত দিন কেউ ভাবেননি। অনিলবাবু বলেন, “এখন মুখ্যমন্ত্রী ইমামদের মতো পুরোহিতদের কথাও ভাবুন, এটাই আমাদের দাবি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.