সিপিএম প্রধানের বিরুদ্ধে দলেরই ছয় পঞ্চায়েত সদস্যের আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে গেল মেমারির বিজুর ২ পঞ্চায়েতে। সোমবার ওই পঞ্চায়েতে আস্থা ভোট হয়। অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট না পড়ায় তা খারিজ হয়ে গিয়েছে বলে জানান মেমারির বিডিও মিতা সান্যাল শুক্লা।
বিজুর ২ পঞ্চায়েতে দশটি আসনের মধ্যে সাতটি সিপিএমের দখলে রয়েছে। বাকি তিনটি আসন তৃণমূলের। গত ২৩ মার্চ প্রধান রামচন্দ্র খাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন পঞ্চায়েতের সিপিএম উপপ্রধান মিনতি হাঁসদা-সহ ছয় সিপিএম সদস্য। সেই প্রস্তাবের ভিত্তিতে সোমবার আস্থা ভোট হয়। সেখানে সিপিএমের স্বাতী দত্ত ছাড়া অন্য ন’জন পঞ্চায়েত সদস্য উপস্থিত ছিলেন। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন পাঁচ জন। বিপক্ষে ভোট দেন প্রধান-সহ মোট চার জন।
বিডিও বলেন, “রাজ্য পঞ্চায়েত আইনে বলা আছে, অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে মোট সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ভোট দিলে তা পাশ করা যাবে। সেই অনুযায়ী, এই পঞ্চায়েতে দশ জন সদস্যের মধ্যে অন্তত ছ’জন অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলে তা পাশ হত।” তা না হওয়ায় প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়েছে বলে জানান বিডিও।
তৃণমূলের মেমারি-২ ব্লক সাধারণ সম্পাদক অমর সাহার দাবি, “বিজুর ২ পঞ্চায়েতের প্রধান সরকারের নানা প্রকল্প গতিশীল করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছিলেন। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে সিপিএমের সদস্যেরা অনাস্থা আনেন।”
সিপিএমের বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য তথা মেমারির প্রাক্তন বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ের অবশ্য অভিযোগ, “কিছু দিন আগে তৃণমূলের লোকজনের সঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান একটি পুকুরে মাছ চুরির ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন। এ জন্য এলাকার মানুষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে। এমন অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়া ব্যক্তিকে আমরা পদে রাখতে পারব না। তাই অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। তবে তার পরে আমাদের সব সদস্যকেই ভয় ও আর্থিক প্রলোভন দেখানো হচ্ছিল। তাতেই ভয় পেয়ে আমাদের এক মহিলা পঞ্চায়েত সদস্যা এলাকা ছেড়েছেন। তাই প্রধানের গদি বেঁচে গিয়েছে।” প্রধান রামচন্দ্র খাঁ অবশ্য পুরো বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। |