দু’টি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় বর্ধমান ও উত্তর ২৪ পরগণায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দু’জন। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ পূর্বস্থলী ২ ব্লকের ধরমপুর গ্রামের কালীতলায় একটি গাড়ির ধাক্কায় সাইকেল আরোহী তিন জনের মৃত্যু হয়। আহত হন এক জন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হলেন পকরুল হাসান শেখ ওরফে বাবলু (৪৪), নাসির মণ্ডল (৪২) ও মোর্তেজ শেখ (৩২)। বাবলুর বাড়ি ন’পাড়া গ্রামে। বাকি দু’জন কাঁঠালগড়িয়ার বাসিন্দা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সফিকুল শেখ নামের এক ব্যক্তিকে নদিয়ার শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবলু তৃণমূলের পূর্বস্থলী ২ ব্লক কমিটির সদস্য ছিলেন। শুক্রবার বিকেলে তিনি দলীয় কর্মী সফিকুলকে নিয়ে পূর্বস্থলীতে তৃণমূল ব্লক কার্যালয়ে এসেছিলেন। নাসির আর মোর্তেজ গিয়েছিলেন ধরমপুর গ্রামে পিরের মেলা দেখতে। চার জনে দু’টি সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই বাবলু ও নাসিরের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মোর্তেজ ও সফিকুলকে প্রতাপনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে সেখানেই মোর্তেজের মৃত্যু হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে সফিকুলকে শক্তিনগর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
শনিবার সকালে স্বরূপনগরে বাসের ধাক্কায় এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম সাজু দালাল (২২)। স্থানীয় বিথারি গ্রামে তাঁর বাড়ি। গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর সঙ্গী। দুর্ঘটনাটি ঘটে নির্মাণ গ্রামের কাছে, হাকিমপুর-তেঁতুলিয়া সড়কের উপর। দুর্ঘটনার পরে উত্তেজিত জনতা বাসটি ভাঙচুর করে। তাঁরা বেশ কিছু ক্ষণ রাস্তা অবরোধও করেন। পুলিশ গিয়ে অবরোধ তোলে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তেঁতুলিয়া শহিদ নুরুল ইসলাম কলেজের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সাজু বেলা ১১টা নাগাদ তাঁর সহপাঠী মনিরুল মোল্লার সঙ্গে মোটরবাইকে চড়ে কলেজে যাচ্ছিলেন। নির্মাণ গ্রামের বটতলার কাছে বারাসতগামী ডিএন-৩৫ রুটের একটি বেসরকারি বাস ওই মোটরবাইকে ধাক্কা মারে। দু’জনে রাস্তায় ছিটকে পড়লে বাসটি তাঁদের পিষে দেয়। বাসিন্দারা তাঁদের বসিরহাট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা সাজুকে মৃত বলে জানান। মনিরুলকে কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। |