এত দিন কাউন্সিলররা সুপারিশ করলেই বস্তি উন্নয়নের কাজে হাত দিত কলকাতা পুরসভা। এ বার থেকে কাউন্সিলর ও সংশ্লিষ্ট বরো চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন সংশ্লিষ্ট মেয়র পারিষদ। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় শনিবার বলেন, “কাউন্সিলরদের দেওয়া তালিকা ধরে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বস্তি উন্নয়নের কাজ হবে।’’ এই সিদ্ধান্তে অবশ্য সায় নেই কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের কাউন্সিলরদের। তাঁদের বক্তব্য, অধিকাংশ বোরো চেয়ারম্যানই তৃণমূলের। মেয়র পারিষদও ওদের। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের ক্ষমতা খর্ব করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে অভিযোগ কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট কাউন্সিলরদের।
পুর-সূত্রের খবর, শহরে ১৫৮০টি বস্তি আছে। অধিকাংশেরই হাল করুণ। শনিবার একবালপুরের একটি বস্তি ঘুরে দেখেন পুরসভার মেয়র পারিষদ (বস্তি) অতীন ঘোষ। ওই বস্তিটি যে ওয়ার্ডে সেখানকার কাউন্সিলর ফরওয়ার্ড ব্লকের শামিমা খান। পরে অতীনবাবু বলেন, “বস্তি উন্নয়নে কোনও কাজই করেনি বিগত বাম পুর-বোর্ড। এ ক্ষেত্রে কোন কাজটা আগে করতে হবে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরের মত নেওয়ার পাশাপাশি আলোচনা করা হবে বোরো চেয়ারম্যানের সঙ্গেও।
পুরসভার এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিরোধী দলনেত্রী সিপিএমের রুপা বাগচি বলেন, “তালিকা তো ইঞ্জিনিয়ারেরা বানাবেন। কাউন্সিলরদের থেকে ওঁরা কি বেশি বিশ্বাসযোগ্য? অগ্রাধিকারের ভিত্তিতেই কাজের সুপারিশ করেন সকলে। এতে কেউই পক্ষপাতিত্ব করেন না।” প্রায় একই সুরে ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন কংগ্রেস নেত্রী মালা রায়ও। তাঁর বক্তব্য, “নিজের এলাকায় বস্তি-সমস্যা তো কাউন্সিলররাই দেখেন। নতুন নিয়ম করে তাঁদের ক্ষমতা খর্ব করার চেষ্টা হচ্ছে।” |