|
|
|
|
|
|
|
নজরদার |
সময়জ্ঞানী |
আমাদের বাড়ির পাশে একটা ভাঙা বাড়ি আছে। সেখানে কেউ থাকে না। কয়েক দিন হল সেখানে দুটো কুকুর তাদের বাচ্চা নিয়ে থাকতে শুরু করেছে। তারা সারা বাড়িতে ঘুরে বেড়ায়। খাবার জন্য বাচ্চা গুলি মাঝেমধ্যেই কুঁই কুঁই করে কাঁদত। তাদের দেখতে দেখতে আমাদের বাড়ির সবার তাদের প্রতি মায়া হল। তাই আমরা রোজই আমাদের বাড়ি থেকে ওই বাড়িতে খাবার ছুড়ে দিই। কিছু দিন পরে দেখলাম ঠিক আমাদের ভাত খাবার আগে আমাদের বাড়ির জানলার সামনে দাঁড়িয়ে তারা ঘেউ ঘেউ করে ডাকে। আমি জানি যে কুকুরের ঘ্রাণ শক্তি ভাল, কিন্তু ঘড়ি ছাড়া এত ভাল সময় জ্ঞান আছে, তা জানা ছিল না।
তৃষা শীল। চতুর্থ শ্রেণি, ব্রাহ্ম বালিকা শিক্ষালয় |
|
|
সন্তানহারা |
আমাদের বাড়ির পাশে একটি পেয়ারা গাছে বাসা বেঁধেছিল একটি কাক। কয়েক দিন পরে দেখি সে তিনটি ডিম পেড়েছে। তা থেকে ছোট্ট তিনটি কাকের ছানা হল। মা-কাক মুখে করে ছানাগুলোকে খাবার খাওয়াত আর তাদের পাশে পাশেই থাকত। এক দিন একটু ঝটপট করতে গিয়ে একটা ছানা নীচে পড়ে গেল। আর উড়তে পারল না। অমনি পাশ থেকে ছুটে এসে ভুলো কুকুরটা মুখে করে ছানাটিকে নিয়ে দে ছুট। কত কাক এক সঙ্গে কা-কা করে কুকুরটাকে তাড়া করল, কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারল না।
নীলাঙ্কন বেতাল। তৃতীয় শ্রেণি, বনফুল শিশুতীর্থ, সালকিয়া |
|
|
ছোট থেকে বড় |
আমি প্রতি দিন আমাদের বাড়ির পিছনের জানলার ধারে বসি। এক দিন দেখি একটি পাখি একটি গাছে ডিম পেড়েছে। তার পর এক দিন বাচ্চা ফুটেছে। ধীরে ধীরে তারা উড়তে শিখল। তাদের জন্ম থেকে উড়তে শেখা পর্যন্ত দেখতে আমার খুব আনন্দ হত। কিন্তু বাবা-মাকে দেখাতে চাইলে তারা দেখত না। তখন খুব দুঃখ হত।
অঙ্কনা গঙ্গোপাধ্যায়। চতুর্থ শ্রেণি, ঘাটেশ্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়, নদিয়া |
|
|
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি
বাড়িতে
থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা
বাঁধা
উইপোকা,
অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও
ঘনিষ্ঠ
প্রতিবেশীর
রোজকার
জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে
পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো: |
নজরদার,
রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|
|
|