হাসপাতালের এক চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের জোনাল কমিটির এক নেতা ও এক সদস্যের বিরুদ্ধে। রানিনগরের গোধনপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থাকেন্দ্রের পক্ষ থেকে সিপিএমের জোনাল কমিটির নেতা গোলাম রহমান ও কর্মী পিন্টু মোল্লার নামে এই অভিযোগ করা হয়। হাসপাতালের বিএমওএইচ সব্যসাচী চক্রবর্তী বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই সিপিএমের জোনাল সম্পাদক শাজাহান আলীর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার রাত ন’টা নাগাদ হামলা চালানো হয় হাসপাতালে। মারধর ও কটূক্তি করা হয় স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের। ঘটনার প্রতিবাদে আমরা শুক্রবার প্রতীকি কর্মবিরতি পালন করেছি।” তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে শাজাহান আলী বলেন, “একজন রোগীকে দেখতে গিয়েছিলাম হাসপাতালে। তখন আমাদেরই এক মহিলা সমর্থক ওখানে চিকিৎসার জন্য আসেন। কিন্তু দেখি হাসপাতালের কোনও কর্মী নন, বাইরের একজন প্রশিক্ষণহীন লোক তাঁর চিকিৎসা করছে। এর প্রতিবাদ করতেই চিকিৎসকেরা গলা চড়ান। আমাদের কর্মীরাও পাল্টা গলা তোলেন। তবে কাউকে মারধর করা হয়নি।” ডোমকলের এসডিপিও দেবর্ষি দত্ত বলেন, “চিকিৎসকদের তরফ থেকে অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত চলছে। তবে অভিযুক্তরা পলাতক।”
|
জেলা হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নতির দাবিতে টানা আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিল শিলিগুড়ির বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন, সূর্যনগর সমাজকল্যাণ সংস্থা, ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরাম, যুবভারতী, গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি, মিলনপল্লি ওয়েলফেয়ার, সোসাইটি ফর নেচার এডুকেশন অ্যান্ড হেলথ অ্যাওয়ারনেস-সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার শহরের রামকিঙ্কর হলে এই ব্যাপারে কনভেনশন হয়। সেখানে শিলিগুড়ি হাসপাতালে পিপিপি মডেলে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনার বিরোধিতা করা হয়। চিকিৎসকদের ফি নির্দিষ্ট করার দাবি জানানোর পাশাপাশি, হাসপাতালে স্থায়ী সুপার নিয়োগ, সার্জারি ও মেডিসিন বিভাগে পর্যাপ্ত চিকিৎসক নিয়োগ, ২৪ ঘণ্টা ব্লাড ব্যাঙ্ক খোলার রাখার দাবি জানানো হয়। শিলিগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সম্পাদক রূপক দে সরকার জানান, ৭ ও ৯ এপ্রিল রোগীদের সচেতন করতে লিফলেট বিলি করা হবে। ২৬ এপ্রিল থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকা পথসভা করা হবে। ৫ মে অবস্থান বিক্ষোভ করা হবে। এ ছাড়া বিধানসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানের শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের উন্নতির দাবি জানিয়ে গণডেপুটেশন দেওয়া হবে।
|
ব্যক্তিগত কারণে রামনগর-২ ব্লকের বালিসাইতে এসে শুক্রবার ব্লক অফিসে বিডিও সুকান্ত সাহা, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কমলাকান্ত বেরা, সহ-সভাপতি অরুণ দাস ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষদের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক করলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মৈতনা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র দীর্ঘ দিন বেহাল হয়ে থাকার জন্য স্থানীয় চার-পাঁচটি অঞ্চলের প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষ অসুবিধায় পড়ছেন বলে মন্ত্রীকে জানানো হয়। সাড়ে চার কোটি টাকা খরচে তৈরি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নতুন ভবন তৈরি হয়েও পড়ে থাকার বিষয়টিও বৈঠকে ওঠে। চন্দ্রিমাদেবী জানান, রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল। কিছু দিনের মধ্যেই দুটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। |