রাহুলের সঙ্গে বৈঠক মান্নানের
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পরিবর্তন নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে না দলীয় হাইকম্যান্ড। তবে রাজ্য নেতৃত্বকে ধারাবাহিক কর্মসূচি গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে। আজ দিল্লিতে রাহুল গাঁধীর সঙ্গে দেখা করেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান। সম্প্রতি রাজ্যসভা নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছিলেন তিনি। তার পর থেকেই হাইকম্যান্ড তাঁর প্রতি সহানুভূতিশীল বলে ধারণা কংগ্রেস শিবিরের। মান্নানকে রাজ্যে আরও গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। তবে মান্নান আজ জানান, তিনি রাহুলের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি জানিয়েছেন মাত্র। জেলায় জেলায় কংগ্রেস কর্মীদের উপরে তৃণমূল কী ভাবে হামলা চালাচ্ছে সে কথাও শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছেন তিনি। তা ছাড়া রাজ্যে তৃণমূলের প্রতি অসন্তোষ বাড়ায় জোট শরিক হিসাবে কংগ্রেসের উপরেও কিছুটা দায় চাপছে। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস কোন পথে হাঁটবে তা রাহুলের কাছে জানতে চান মান্নান। মান্নানের বক্তব্য, তাঁকে দলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে বলেছেন রাহুল। সে জন্য ধারাবাহিক কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রয়োজন। বিশেষত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গ্রামে গ্রামে কংগ্রেসের প্রচার ও জনসংযোগ কর্মসূচি আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন রাহুল। |
সংবাদপত্র-ফতোয়ার বিরুদ্ধে মিছিল
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
গ্রন্থাগারে কোন সংবাদপত্র রাখা হবে, তা নিয়ে রাজ্য সরকারের জারি করা ফতোয়ার বিরুদ্ধে এবং বিভিন্ন জায়গায় সাংবাদিক-নিগ্রহের প্রতিবাদে ফরওয়ার্ড ব্লকের কর্মী-সমর্থকেরা শুক্রবার বারাসতে মিছিল করেন। বিকেল ৫টা নাগাদ বারাসত আদালতের সামনে শুরু হয়ে ওই মিছিল যায় হেলা বটতলা পর্যন্ত। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সরল দেব বলেন, “রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলিতে বিভিন্ন সংবাদপত্র নেওয়া বন্ধ হলে সেই সব সংবাদপত্রের হয়তো কোনও ক্ষতিই হবে না। কিন্তু এটা স্বৈরাচারী ফতোয়া। এটা প্রত্যাহার না-করলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।” শুক্রবার পর্যন্ত অবশ্য রাজ্য সরকারের তরফে ওই ফতোয়া প্রত্যাহারের কোনও ইঙ্গিত নেই। উল্টে এখানেই যে ব্যাপারটা শেষ হচ্ছে না, বৃহস্পতিবারেই একটি অনুষ্ঠানে তার আভাস দিয়ে রেখেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রন্থাগারে রাখার জন্য বেছে দেওয়া সংবাদপত্রের তালিকা-সহ সরকারি নির্দেশকে ‘ফতোয়া’ বলে উল্লেখ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, “এখনই এ-সব শব্দ ব্যবহার করলে শেষে কী বলবেন।” বাড়ছে সমালোচনা এবং প্রতিবাদও। ফব ছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দল ওই সরকারি নির্দেশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। ‘পরিবর্তনপন্থী’ বিশিষ্ট জনেরাও ইতিমধ্যে সভা-সমাবেশ করে এর প্রতিবাদ করেছেন। |
পঞ্চায়েত ভোট এগোনোর ইঙ্গিত মুকুলের
সংবাদসংস্থা • কলকাতা |
পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আনা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। আগামী বছরের মে মাসে এই ভোট হওয়ার কথা।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে আজ মুকুলবাবু বলেন, আমরা শীতকালে পঞ্চায়েত ভোট করানোর পক্ষপাতী। কারণ, প্রচণ্ড গরমে নির্বাচনকর্মীদের অসুবিধা হবে। প্রচার করতেও সমস্যা হবে। সুতরাং সামনের শীতে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে।” আগামিকাল দলের নেতাদের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। |