হামলা চালানোর অভিযোগ
ধৃত তৃণমূল কর্মী, ঘেরাও-অবরোধ কেশপুরে
‘সশস্ত্র বাহিনী’ নিয়ে গ্রামে ‘হামলা’ চালানোর অভিযোগে এক ‘তৃণমূল’ কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল কেশপুর। দলীয় পতাকা হাতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন কর্মী-সমর্থকেরা। হল পথ অবরোধ। অবরোধ তুলতে লাঠি চালাতে হল পুলিশকে। তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, ধৃত ব্যক্তি দলীয় কর্মী নন। যাঁরা তৃণমূলের পতাকা হাতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তাঁরাও দলের কর্মী-সমর্থক নন!
দলীয় সমর্থককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে কেশপুর থানার সামনে তৃণমূলের বিক্ষোভ-অবরোধ।
বুধবার তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে অশান্ত হয়ে উঠেছিল কেশপুরের মুকুন্দপুর, খেজুরবনি ও আশপাশের এলাকা। বোমাবাজি হয়। চলে গুলি। এক মহিলার পায়েও গুলি লাগে। ওই দিনের গোলমালে জড়িত অভিযোগেই শুক্রবার ভোরে শেখ আজিজুল নামে এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের দাবি, এলাকায় আজিজুল তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত। দুপুরে ধৃতকে মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হলে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। বুধবার খেজুরবনির দিক থেকে আজিজুলের নেতৃত্বেই হামলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কল্যাণ মুখোপাধ্যায়েরও দাবি, “নির্দিষ্ট অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে।” পুলিশ সূত্রের দাবি, সেই আজিজুলকে গ্রেফতারের প্রতিবাদেই শুক্রবার সকাল ৮টা নাগাদ থানা ঘেরাওয়ের চেষ্টা করেন খেজুরবনির তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। সে দফায় ঘেরাওয়ের চেষ্টা ব্যর্থ হলেও পরে ১০টা নাগাদ আরও লোকজন এনে থানা ঘেরাও করা হয়। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ঘাটাল-মেদিনীপুর, ভায়া কেশপুর রাস্তা। ঘণ্টা দেড়েক যান চলাচল ব্যাহত হয়। অবরোধস্থলে এসে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আশিস প্রামাণিক থানায় আশ্রয় নেন। পরে লাঠি চালিয়ে অবরোধ তোলে পুলিশ। এ দিনের ঘটনা নিয়ে আশিসবাবু কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি চিত্ত গরাইয়ের দাবি, “যাকে ধরা হয়েছে বা যারা থানা ঘেরাও করেছে, তারা দলের কেউ নয়।”
তা হলে আশিসবাবু অবরোধস্থলে গেলেন কেন? এ প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে চিত্তবাবুর বরং অভিযোগ, “সিপিএম তো বটেই কংগ্রেসের একাংশও এলাকায় অশান্তিতে ইন্ধন দিচ্ছে।” যা শুনে জেলা কংগ্রেস সভাপতি স্বপন দুবের প্রতিক্রিয়া, “তৃণমূল আমাদের শরিক দল। ওদের এমন অভিযোগ অনভিপ্রেত।” আর কেশপুরের সিপিএম বিধায়ক রামেশ্বর দোলুইয়ের বক্তব্য, “যারা সরকারে আছে, তাদের জন্যেই কেশপুরে অশান্তি চলছে। মানুষ সবই দেখছেন।”

নিজস্ব চিত্র।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.