|
কী নেই কী চাই |
উত্তর |
সেতুর সংস্কার |
|
ছবি: প্রদীপ আদক |
ক্যানাল সার্কুলার রোডের সংযোগস্থলের ফুটব্রিজটি জরাজীর্ণ ও বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। ১৫ বছরের পুরনো সেতুটির জায়গায় জায়গায় পাটাতন ভাঙা, ফাঁকে ফাঁকে গর্ত। এই নড়বড়ে সেতু দিয়ে নামাওঠা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এই সেতু দিয়েই রোজ বহু মানুষ হেঁটে বা সাইকেলে যাতায়াত করেন। সেতুটি বর্ষার আগে সংস্কার করা না হলে যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে। তা ছাড়া, উল্টোডাঙার দিকে নামার সিঁড়ির সামনে দু’টি ঢিপির উপর ম্যানহোল দীর্ঘদিন ধরে খোলা পড়ে আছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ এই সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান
করা হোক।
গৌতম মুখোপাধ্যায়, কলকাতা-৩
|
কুকুর বাঁচান |
রাজা ব্রজেন্দ্র রায় স্ট্রিটে প্রচুর কুকুর ছানা আশ্রয়ের অভাবে গাড়ির তলায় পড়ে মারা যাচ্ছে। কোনও সরকারি বা বেসরকারি পশুপ্রেমী সংগঠন যদি এদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে তা হলে অকালে প্রাণ না-হারিয়ে এরা বেড়ে উঠতে পারে।
রাধিকানাথ মল্লিক, কলকাতা ৭
|
রাস্তার নামকরণ |
হীরালাল সেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক জন পথিকৃৎ। তিনি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করলেও জীবনের বেশির ভাগ কাটিয়েছেন উত্তর কলকাতার দর্জিপাড়ার ৮৫/২ মসজিদ বাড়ি স্ট্রিটে। ১৯১৭-তে দর্জিপাড়ার ১৮ ব্ল্যাকি স্কোয়ার লেনে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর নামে উত্তর কলকাতার একটি রাস্তার নামকরণ হোক।
রবীন বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা-৫ |
মেট্রোয় সতর্কতা |
নানা সাবধানতা অবলম্বন করেও মেট্রোয় আত্মহত্যা রোখা যাচ্ছে না। ট্রেন প্ল্যাটফর্মে ঢোকার সময় তার গতি বেশি থাকে। তা যদি কমিয়ে দেওয়া যায় তা হলে এমন ঘটনা রোখা যায়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
হীরালাল শীল, কলকাতা-১২
|
বেহাল রাস্তার সংস্কার |
চার বছর ধরে ব্যারাকপুর ১৫ নম্বর রেলগেটের উপর ওভারব্রিজ তৈরির কথা চলছে। কিন্তু পরিকল্পনার রূপায়ণের অভাবে তা আজও তৈরি হল না। ফলে বারাসতগামী অটো, শিশু-সহ যানবাহন ও ভারী যান চলাচলের একমাত্র পথ ব্যারাকপুর সেন্ট্রাল রোড। অথচ গত বর্ষার পর থেকে এই রাস্তা জুড়ে বড় বড় গর্ত হয়ে রয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে চলতে গিয়ে ছোট ছোট দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে এবং যে কোনও সময়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ বর্ষার আগেই রাস্তা সারাইয়ের ব্যবস্থা হোক।
প্রাণকৃষ্ণ কুশারী, ব্যারাকপুর
|
স্পিড ব্রেকার |
ব্যারাকপুর স্টেশন থেকে পলতা বাদামতলা যেতে ঘোষপাড়া রোডের উপর অনেকগুলি বিদ্যালয় রয়েছে। এই রাস্তায় কোনও স্পিড ব্রেকার নেই। প্রায়ই এই রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটে, এমন কী মৃত্যু পর্যন্ত হয়। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও এ ব্যাপারে কিছুই করা যায়নি। গাড়িগুলির অনিয়ন্ত্রিত গতির জন্যই দুর্ঘটনা ঘটে। এই রাস্তার উপর অবিলম্বে কয়েকটি স্পিড ব্রেকারের আবেদন জানাচ্ছি।
তীর্থঙ্কর ঘোষ, পলতা
|
|
দক্ষিণ |
বিকল্প অটো স্ট্যান্ড |
গড়িয়া মোড়ের যানজট কমাতে বড় রাস্তা থেকে অটোস্ট্যান্ড সরিয়ে সংলগ্ন কানুনগো পার্কে করা হয়েছে। এতে বড় রাস্তায় যানজট কমলেও ওই পাড়ার বাসিন্দাদের অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। গলিতে অনবরত অটো চলায় শিশু ও বয়স্কদের পক্ষে পথ চলা বিপজ্জনক। দূষণ তো আছেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ বিকল্প ব্যবস্থা করা হোক।
অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা-৮৪
|
চিকিৎসাকেন্দ্র |
গড়িয়ার নিকটবর্তী বোড়াল অঞ্চলে চিকিৎসাকেন্দ্র না থাকায় বাসিন্দাদের অশেষ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কাছাকাছি কোনও সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রও নেই। কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতেই অনেক ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যু হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ বোড়ালে চিকিৎসাব্যবস্থা ও পরিবহণ উন্নত হোক।
নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা-৮৪
|
ঝোপজঙ্গল সাফ হোক |
২০০৫-এর নভেম্বরে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে টালিগঞ্জ ও লেক গার্ডেন্স স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে রেললাইন-সংলগ্ন বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করা হয়। এখন জায়গাটি ঝোপজঙ্গলে পরিণত হয়েছে। তার মধ্যে যেখানে সেখানে গর্ত। ফলে অঞ্চলটি মশা-মাছির বাসস্থান হয়ে উঠেছে, যা থেকে এলাকায় ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো রোগ ছড়াচ্ছে। জায়গাটিতে রাতে অসামাজিক কাজও হয়। স্থানীয় কাউন্সিলর ও এবং রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বার বার জানিয়েও ফল পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শ্রীদামকুমার মণ্ডল, কলকাতা-৩৩
|
দূষণ রোধ |
আজাদনগর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। এখানে অনেক দিন ধরে একটি ভ্যাট ছিল। কিন্তু বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কায় সেটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখন ভ্যাটটি অনেক দূরে হওয়ায় পুরসভার সাফাইকর্মীরা আবর্জনা পুড়িয়ে দেন। ফলে সকালে পথ চলা দায় হয়ে পড়েছে। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আশুতোষ দত্তবণিক, কলকাতা-৪০ |
|
আমাদের লিখুন আপনার পাড়ার নাগরিক সমস্যা জানিয়ে
অনধিক ১৫০ শব্দে লিখে পাঠান। ঠিকানা: কী নেই কী চাই,
কলকাতা উত্তর/ দক্ষিণ/ পুর্ব,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১।
আপনার নাম, ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর অবশ্যই লিখবেন। |
|
|