সপ্তাহ দুয়েক আগে মেদিনীপুরের রবীন্দ্রনগরের এক বেসরকারি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকে হাসপাতালটি ‘সিল’ রয়েছে। হাসপাতালের যন্ত্রগুলি দেখভাল করতে চেয়ে মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে আবেদন করেছিলেন কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার তা মঞ্জুর হল। আদালত জানিয়েছে, চাবি খুলে হাসপাতালে ঢুকে যন্ত্রগুলি দেখভাল করতে পারবেন কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষকে চাবি দেওয়ারও নির্দেশ হয়েছে। তবে হাসপাতালটি এখনই খুলছে না। স্বাস্থ্য দফতর সেই অনুমতি এখন দেবে না বলেই সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্রের খবর। গত ২১ মার্চ ওই হাসপাতালের বেসমেন্টে আগুন লাগে। বেসমেন্টে দাহ্যবস্তু মজুত ছিল বলে অভিযোগ। ফলে আগুন দ্রুত ছড়ায়। ঘটনার পর হাসপাতালের ৪ কর্তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে মামলা ‘লঘু’ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে ৪ কর্তাই জামিন পান। হাসপাতালের মধ্যে এমআরআই, ডায়লিসিস প্রভৃতি মেশিন রয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। এই সব মেশিন দেখভাল না করলে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। মেশিনগুলি দেখভাল করতে চেয়ে গত ৩১ মার্চ আদালতে আবেদন জানান কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার শুনানি হয়। সরকার পক্ষের আইনজীবী আপত্তি না- করায় সেই আবেদন মঞ্জুর হয়।
|
বিহারে পূর্ব চম্পারণের কানওয়ালপুর গ্রামে দিন কয়েক আগে কুকুরে কামড়েছিল পাঁচ বছরের একটি ছেলে সঞ্জয় কুমারকে। ছেলেটির উদ্বিগ্ন মা তাকে জলাতঙ্ক-নিরোধক ইঞ্জেকশন দেওয়ানোর জন্য নিয়ে যান রেডক্রসের স্থানীয় এক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। মহিলাটি ওই ইঞ্জেকশন কেনার জন্য টাকাও দেন। কিন্তু তাঁকে এর জন্য কোনও রসিদ দেননি ওই কেন্দ্রের ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান রবি কুমার। মহিলার অভিযোগ, টাকা দেওয়া সত্ত্বেও রবি তাঁর ছেলেকে জলাতঙ্ক নিরোধক (অ্যান্টি-র্যাবিস) ভ্যাক্সিনের বদলে স্রেফ ডিস্টিল্ড ওয়াটার ইঞ্জেকশন দেন। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে বলে খবর। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, কর্তব্যে গাফিলতির জন্য রবিকে শো-কজের চিঠি ধরিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার জবাব দিতে বলা হয়েছে। রসিদ দেওয়া হয়নি কবুল করলেও সিরিঞ্জে জল ভরে ইঞ্জেকশন দেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করেছেন ধৃত ওই স্বাস্থ্যকর্মী।
|
ডুয়ার্সের শামুকতলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে ‘স্টেট জেনারেল’ হাসপাতালে উন্নীত করার দাবিতে সরব হয়েছেন বাসিন্দারা। এলাকার চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত-সহ প্রায় এক লক্ষেরও বেশি মানুষ শামুকতলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির উপর নির্ভরশীল। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিদিনই রোগীদের চাপে হিমসিম খেতে হয় চিকিসকদের। গত সপ্তাহে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তিনজন চিকিৎসকের মধ্যে একজন চিকিসককে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। তবে নতুন কোনও চিকিৎসক পাঠানো হয়নি। চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতিও হচ্ছে না। দ্রুত কেন্দ্রটিকে স্টেট জেনারেল হাসপাতালে উন্নীত করার দাবিও জানানো হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকেও স্মারকলিপি বাসিন্দারা পাঠিয়েছেন। শামুকতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুকুমার ঘোষ বলেন, “এলাকার বাসিন্দাদের সঠিক স্বাস্থ্য পরিষেবার স্বার্থে অবিলম্বে স্বাস্থ্যকেন্দ্রেটির উন্নীত করা প্রয়োজন।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন সরকার বলেন, “জেলা হাসপাতালে নবজাতক শিশুদের একটি ইউনিট খোলা হচ্ছে। তাই শামুকতলা থেকে একজন চিকিৎসককে আনা হয়েছে। শীঘ্রই আরও একজন চিকিৎসক সেখানে পাঠানো হবে। আর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে উন্নীত করবার বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।”
|
রোগী সহায়তা কেন্দ্র চালু হল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার তার উদ্বোধন করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। ছিলেন, রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী সুনীল তিরকি, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক শঙ্কর মালাকার। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে ওই কেন্দ্র চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সংস্থার তরফে সেখানে নিয়োগ করা হয়েছে ২ জন পুরুষ এবং ৩ জন মহিলা কর্মীকে। সকালে ৮ টা থেকে বেলা ২ টা পর্যন্ত ৩ জন থাকবেন। বেলা ২ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত অপর ২ জন দায়িত্ব সামলাবেন। এ দিন সহায়তা কেন্দ্রের কাজের জন্য কর্মীদের ৫ টি মোবাইল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন বিধায়ক শঙ্করবাবু। নম্বরগুলি বিভিন্ন জায়গায় জানিয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে রোগীর লোকজন ওই নম্বরে খবর নিতে পারবেন। গৌতমবাবু বলেন, “এই কেন্দ্র চালু হওয়ায় প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসা বাসিন্দারা উপকৃত হবেন। বিধায়ক এখানকার কর্মীদের জন্য মোবাইল ফোন দেবেন বলেছেন। তাতে এই কেন্দ্রের কর্মীদের সঙ্গে বাসিন্দারা সহজেই যোগাযোগ করতে পারবেন। তথ্য জানতে পারবেন। তা ছাড়া ‘ইন্টার কম’ টেলিফোন ব্যবস্থায় এই কেন্দ্রের সঙ্গে মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন বিভাগের যোগাযোগ থাকবে। তাতে দ্রুত তথ্য পেতে পারবেন রোগীর লোকজন।” |