নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যে কংগ্রেসের প্রতি তৃণমূলের আচরণ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান।
ক’দিন আগেই রাজ্যসভা নির্বাচনে দলের তরফে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরেও তৃণমূলের চাপে তা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল মান্নানকে। এ দিন কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরে মান্নান জানান, সনিয়া তাঁকে বলেছেন, জোট সম্পর্ক বজায় রাখার কারণেই রাজ্যসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ভোটাভুটি এড়াতে চেয়েছে। এবং সে কারণেই তাঁকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকম্যান্ড। তবে তার পরেই সনিয়ার প্রশ্ন ছিল, সংবাদমাধ্যম কেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনায় নেমেছে?
মান্নানের কথায়, “রাজ্য সরকার কী ভাবে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে চাইছে, তা কংগ্রেস সভানেত্রীকে জানিয়েছি। এ-ও জানিয়েছি, কংগ্রেসের প্রতি তৃণমূল কী আচরণ করছে। তৃণমূলের আচরণ নিয়ে মানুষের মধ্যেও ক্ষোভও বাড়ছে। কংগ্রেস রাজ্যে সরকারের শরিক বলে সেই অসন্তোষের ভাগীদার হতে হচ্ছে কংগ্রেসকেও।” প্রবীণ এই নেতার দাবি, সনিয়ার নির্দেশ, রাজ্যে কংগ্রেসের সংগঠনকে মজবুত করার জন্য আরও বেশি রাজনৈতিক কর্মসূচি নিতে হবে দলকে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের সব সামাজিক প্রকল্পের রূপায়ণ নিয়ে প্রচার করতে হবে। কোথাও প্রকল্প রূপায়ণে ঘাটতি হলে প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়াতে হবে।
|
রাজভবনে প্রায় ফাঁকা ঘরেই বৃহস্পতিবার রাজ্যের তথ্য কমিশনার হিসেবে শপথ নিলেন জ্ঞানদত্ত গৌতম। সদ্যপ্রাক্তন এই স্বরাষ্ট্রসচিবের নতুন পদে অভিষেকের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত থাকলেও আসেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য মন্ত্রিসভার তরফে একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। জ্ঞানদত্ত গৌতমকে যখন শপথবাক্য পাঠ করাতে শুরু করেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন, মঞ্চের বাঁ দিকে বসা পূর্ণেন্দুবাবুর পাশে-পিছনে তখন গোটা তিরিশ চেয়ার ফাঁকা। প্রায় ১০ মিনিট পরে ঢোকেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সোজা চলে যান চায়ের আসরে। পরে তিনি জানান, বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে জানিয়েছিলেন, তিনি অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না। নিজের দেরি প্রসঙ্গে শিল্পমন্ত্রীর সাফাই, “বুধবারের ঝড়ে হরিশ মুখার্জি রোডে বড় গাছ পড়ে যানজট হয়েছে। তাই দেরি হল। আমি রাস্তা থেকেই রাজ্যপালকে বিষয়টি জানিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।” |