নিজস্ব সংবাদদাতা • লাভপুর |
দীর্ঘদিন আগে সিউড়ি-কাটোয়া সড়ক লাগোয়া লাভপুরের দুর্গাপুর থেকে গোকুলবাটি পর্যন্ত রাস্তায় মোরাম পড়েছিল। বছর দশেক আগে প্রায় তিন কিমি ওই রাস্তায় মোরাম পড়লেও বর্ষায় তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। মাঝে মধ্যে সংস্কার হলেও ওভারলোডিং বালি ভর্তি ট্রাক চলাচলের ফলে বেহাল হয়ে পড়েছে। সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় মানুষজন। গোকুলবাটি গ্রামেই রয়েছে হাইস্কুল, উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র। এ ছাড়া, ব্লক, পঞ্চায়েত, থানা, হাট-বাজারে যাওয়ার জন্য গোকুলবাটি, সাহাপুর, কোতালঘোসা প্রভৃতি গ্রামের বাসিন্দারা দিনে একাধিক বার এই রাস্তা ব্যবহার করেন। তাই তাঁরা এই রাস্তা পাকা করার দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের ক্ষোভ, এ ব্যাপারে আগে বহুবার তাঁরা প্রশাসনে জানিয়েছেন। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নদেরচাঁদ বাগদি বলেন, “রাস্তাটি প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় পাকা করার চিন্তা ভাবনা করা হয়েছিল। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী কমপক্ষে পাঁচ কিমি রাস্তা হলে তা ওই প্রকল্পে পাকা করা যায়। কিন্তু এই রাস্তার দৈর্ঘ কম। তাই অন্য কোনও রাস্তার সঙ্গে যুক্ত করে এই রাস্তা পাকা করার কথা ভাবা হচ্ছে।”
|
বিদ্যুৎ সংযোগ ঘিরে বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
বাসিন্দাদের আপত্তিতে একটি নার্সিংহোমে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে এসে ফিরে যেত হল বিদ্যুৎ কর্মীদের। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে সিউড়ির ডাঙালপাড়ায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ আসে। বাসিন্দাদের দাবি, পাড়ার মধ্যে ১১ হাজার ভোল্টেজের লাইন টানলে যে কোনও সময় বিপদ ঘটতে পারে। বিশেষত, ঝড়-বৃষ্টির সময় তার ছিঁড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে। |
ট্রান্সফর্মার বসানোকে ঘিরে বিক্ষোভ সিউড়িতে। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। |
ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জয়প্রকাশ খৈতান বলেন, “পয়লা বৈশাখ নার্সিংহোমের উদ্বোধন। কয়েক দিন আগেও কয়েক জনের আপত্তিতে বিদ্যুৎ দিতে এসে ফিরে গিয়েছিলেন কর্মীরা। এ ভাবে কোনও প্রতিষ্ঠান বা শিল্প গড়ে ওঠে না।” পুরপ্রধান উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি বিদ্যুৎ দফতর দেখছে। আশা করি আগামী সোমবারের মধ্যে সমস্যা মিটে যাবে।” রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির সিউড়ির স্টেশন ম্যানেজার চন্দন পাল বলেন, “নিয়ম মেনে বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু আপত্তিতে তা দেওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষকে জানাব।” |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মাড়গ্রাম |
রামপুরহাট মহকুমায় বন্যায় প্রায় প্রত্যেক বছরই ক্ষতিগ্রস্ত হয় মাড়গ্রাম থানার কালীদহ গ্রাম। বন্যা কবলিত গ্রামগুলির মধ্যে কালীদহ একটি পরিচিত নাম। কিন্তু এত দিনেও ওই গ্রামে বন্যা দুর্গতদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও বন্যা ত্রাণকেন্দ্র গড়ে ওঠেনি। গ্রামবাসীদের হয় খোলা আকাশের নীচে বা স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে কিংবা লাগোয়া বসোয়া-বিষ্ণুপুরে আশ্রয় নিতে হত। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের প্রাকৃতিক দুর্যোগ তহবিল থেকে ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ওই গ্রামে ‘বন্যা ত্রাণকেন্দ্র’ তৈরির অনুমোদন মিলেছে। রামপুরহাট ২ ব্লকের বিডিও সোমা সাউ বলেন, “ওই গ্রামে দশ শতক জায়গা জুড়ে একটি তিন তলা বন্যা ত্রাণ শিবির তৈরি করা হবে। শীঘ্রই ভবনটি নির্মাণের জন্য দরপত্র ডাকা হবে।”
|
মুর্শিদাবাদ, নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানো, রাজ্যের সমস্ত গরিব মানুষের বিপিএল কার্ড, ফসলের সঠিক মূল্য, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এবং ‘অগণতান্ত্রিক’ ভাবে জেলা পরিষদের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সিউড়ি জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখাল সিপিএম। পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভ ঘিরে কোনও গণ্ডগোল হয়নি।
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • নলহাটি |
নিজের ঘর থেকে বৃহস্পতিবার এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম মৃতার নাম ময়না কোনাই (১৭)। বাড়ি নলহাটি থানার বানিওড় গ্রামে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে ওই তরুণী আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। দেহটি ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। |