পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল হোক মহিয়াড়িতে
১৯২৬ সালে হাওড়ার মহিয়াড়ি গ্রামের জমিদার বাড়ির সদস্য লক্ষ্মীপ্রিয়া কুণ্ডুচৌধুরী এই অঞ্চলের ১০-১২টি গ্রামের মানুষের চিকিৎসার জন্য লক্ষ্মী-কমল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। লক্ষ্মী-কমল ট্রাস্টিবোর্ড এই হাসপাতালের জন্য পরবর্তী সময়ে দ্বিতল হাসপাতাল, ডাক্তার-নার্স-কর্মীদের জন্য থাকার আবাসন প্রভৃতি তৈরি করেন। সহৃদয়সম্পন্ন চিকিৎসক, চিকিৎসা কর্মীদের সহায়তায় উন্নতমানের চিকিৎসা পরিষেবা পেতেন বহু মানুষ। হাসপাতালে ভিড়ও হত প্রচুর। এটিকে সরকারি হাসপাতালে উন্নীত করার জন্য স্থানীয় মানুষ বিভিন্ন সময়ে নানা আন্দোলন করেছেন। ১৯৭২ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের কাছেও দরবার করা হয়। প্রয়াত মন্ত্রী অজিত পাঁজারও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। ১৯৭৪-৭৫ সালে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল হিসাবে এই হাসপাতালের অধিগ্রহণ করে সরকার। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, পরবর্তী কালে বাম সরকার পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালটি ডোমজুড়ে স্থানান্তরিত করে। মহিয়াড়ির হাসপাতালটি থেকে যায় সাবসিডিয়ারি হেলথ সেন্টার হিসাবে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পুনরায় আন্দোলন দানা বাঁধে এলাকায়। এখন বেডের সংখ্যা হাতেগোনা। প্রয়োজনীয় ডাক্তার নেই। নার্সের অভাব। কার্যত কোনও পরিষেবাই মেলে না এখান থেকে। হাসপাতাল চত্বর বনজঙ্গলে ভরা। নিঝুম ভুতুড়ে বাড়ির মতো দাঁড়িয়ে হাসপাতালটি। দিনের বেলা দু’এক জন রোগী আসেন। এক জন চিকিৎসক যতটুকু সাধ্য করেন। আমাদের বিনীত আবেদন, এটিকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে পরিণত করে আশপাশের হাজার হাজার মানুষের উপকার করা হোক।
জিটি রোড সংস্কার চাই
হুগলি জেলার উপর দিয়ে গিয়েছে ব্যস্ততম এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা জিটি রোড। কলকাতা ও বর্ধমানের সঙ্গে যোগাযোগের সব থেকে নির্ভরযোগ্য এই রাস্তাটি পাণ্ডুয়া ও মগরা থানার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের কাছে খুবই জরুরি। কিন্তু রাস্তার হাল খুবই খারাপ। দিন দিন তা বিপদসঙ্কুল হয়ে উঠছে। রাস্তার মাঝে মাঝে বড় বড় গর্ত। প্রাণ হাতে করতে যাতায়াত করতে হয়। পাশাপাশি পণ্যবাহী ভারি গাড়ি চলাচলের ফলে সমস্যা আরও বেড়েছে। বিশেষত, পাণ্ডুয়ার নিয়ালা, বোসো, খন্যান, হাটতলা, বার খন্যান, হোয়েড়া, গৌয়া, চাঁপারুই, পীরতলা, মগরা প্রভৃতি জায়গায় রাস্তাটি যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। শের শাহ্ নির্মিত এই রাস্তাটি সারানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নিন।
নিকাশির হাল ফিরুক
চাঁপদানি পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত ডঃ ডিএইচ ব্যানার্জি লেন (তেলিয়াপাড়া লেন) একটু বৃষ্টি হলেই ফুট তিনেক জলের তলায় ডুবে যায়। বৃষ্টি না হলেও মাঝে মাঝে এক হাত জল দাঁড়িয়ে যায় এখানে। রাস্তার পাশের নর্দমাগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। নর্দমার জল উপচে রাস্তা ভাসিয়ে আশপাশের বাড়িতেও ঢুকে পড়ে। স্থানীয় মানুষকে সেই নোংরা জল পেরিয়েই যাতায়াত করতে হয়। সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর ও পুরপ্রধানের কাছে অনুরোধ, উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। না হলে এলাকা। যে কোনও সময়ে বড়সড় রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে। মহামারী হওয়াও অসম্ভব নয়।
রাস্তা সারানো খুবই দরকার
জাঙ্গিপাড়া থানার সীতাপুর পঞ্চায়েতের অধীন সীতাপুর বাজারের কাছেই অবস্থিত নবাব আলিবর্দি খাঁয়ের বদান্যতায় প্রতিষ্ঠিত ওয়াকফ এস্টেট। এর সঙ্গে রয়েছে গ্রন্থাগার এবং সাতীপুর সরকারি মাদ্রাসা। আছে প্রাচীন মসজিদ। এই এলাকার পাকা সড়ক দিয়ে রাজবলহাট, হরিপাল, বড়গাছিয়া, হাওড়াগামী বাস যাতায়াত করে। কিন্তু রাস্তাটি ভাঙাচোরা। বড় বড় গর্ত। সীতাপুর বাজারে ঢোকার মুখেও পাকা সড়কে বেশ কয়েকটি গর্ত। যা মেরামত হয়নি বহুকাল। অবিলম্বে সীতাপুর বাজারের দু’দিকেই পাকা সড়ক মেরামত করা হোক।
রাস্তা পাকা করা হোক
আমতার গুজারপুর বড়পোল থেকে আওড়াগাছি-সড়িয়ালা-মল্লগ্রাম-চাকপোতা হয়ে মান্দারিয়া উত্তরপাড়া দিয়ে মান্দারিয়া খালের বাঁধ। রাস্তাটি প্রায় চার কিলোমিটার। কিন্তু বর্তমানে বেশির ভাগ অংশই ইটের। বাকি অংশ মাটির। রাস্তাটি প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় পিচের হলে হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হবেন। তা ছাড়া, আমতায় কোনও বাইপাস রাস্তা নেই। এই রাস্তাটি পাকা হলে আমতায় যানজটও কমবে। ট্রেন ধরতে সুবিধা হবে বহু মানুষের। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুলতান আহমেদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
রাস্তা দখল করে ইমারতি কারবার
তারকেশ্বর পুরসভার চাউলপট্টি, নতুনবাজার, সাহাপুর, কাঁড়ারিয়া রোড এবং আরও কিছু জায়গায় রাস্তা দখল করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইমারতি দ্রব্যের কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন রমরমিয়ে। এ ব্যাপারে পুরসভা দু’এক জায়গায় শুধু সাইনবোর্ড লাগিয়েই কর্তব্য সেরেছেন। কিন্তু তাতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে কোনও হেলদোল নেই। নির্দ্বিধায় বেআইনি ভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। এর ফলে জনবহুল রাস্তায় প্রায়শই ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটছে। অবিলম্বে এই বেআইনি কারবরা বন্ধে পুর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.