এমনটা যে ঘটতে চলেছে, তা সংবাদমাধ্যমের কাছে আগেই শুনেছিলেন পার্ক স্ট্রিটের ঘটনার অভিযোগকারিণী। মূল অভিযুক্ত ধরা পড়ার আগেই তদন্তের নেতৃত্বে থাকা দময়ন্তী সেনকে সরানো হতে পারে শুনে স্তম্ভিত হয়েছিলেন তিনি। বুধবার ঘটনাটিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলেই মন্তব্য করেছেন ওই মহিলা। পার্ক স্ট্রিটের ঘটনায় অভিযোগকারিণী মিথ্যে গল্প সাজাচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠার পরে দময়ন্তীই প্রথম সংবাদমাধ্যমে জানান, ‘কিছু একটা ঘটেছে।’ পরে তিনিই ধর্ষণ হয়েছে বলে বিবৃতি দেন। তিন অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ার পরে দময়ন্তীকে ‘বাঘিনী’র সঙ্গে তুলনা করেছিলেন অভিযোগকারিণী। সেই তাঁকেই তদন্তের দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হবে শুনে স্বভাবতই একটু বিচলিত ওই মহিলা। তবে রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী কেন এই নির্দেশ দিলেন, সেই বিতর্কে ঢুকতে চাননি অভিযোগকারিণী। এ দিন সন্ধ্যায় টেলিফোনে তিনি বলেন, “ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। তবে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার কিছু বলা ঠিক হবে না।” দময়ন্তীর উত্তরসূরি হিসেবে যিনি আসছেন, তাঁর উপরেই এখন আশা রাখছেন অভিযোগকারিণী। তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিত, লালবাজারের নতুন গোয়েন্দাপ্রধানও তাঁর দায়িত্ব ঠিকঠাক ভাবে পালন করবেন। দময়ন্তীর মতো তিনিও একই রকম গুরুত্ব দিয়ে আমার ব্যাপারটাকে দেখবেন।”
কিন্তু মূল অভিযুক্ত কাদের খান ধরা না পড়ায় তাঁর ‘অস্বস্তি’র কথাও কবুল করেছেন অভিযোগকারিণী। এখনও বাড়ির দরজায় তো বটেই, বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে যাতায়াতের সময়েও তাঁর সঙ্গে পুলিশ পাহারা থাকছে। তাঁর কথায়, “আমার সঙ্গে ওই ঘটনা ঘটার পরে এখনও আমার মধ্যে একটা নিরাপত্তাহীনতা কাজ করছে। মূল অভিযুক্ত এখনও গা-ঢাকা দিয়ে আছে এটা ভাবলেই অস্থির লাগে। অভিযুক্তরা সবাই ধরা পড়লে তবেই আমরা ফের স্বাভাবিক ভাবে বাঁচতে পারব।” |