বর্ধমানে ধৃতেরা জেলে, জুনিয়র ডাক্তার অধরাই |
বর্ধমান মেডিক্যালে সাংবাদিক ও আলোকচিত্রীদের মারধরের ঘটনায় ধৃত চার জনকে জেল হাজতে পাঠাল আদালত। গত শনিবার থেকে তাঁরা পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। তবে মূল অভিযুক্ত দুই জুনিয়র ডাক্তার অভিনব সিংহ এবং শৌভিক বাগকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। গত ২৮ মার্চ জুনিয়র ডাক্তারদের মারের মুখে পড়ে বেশ কয়েক জন সাংবাদিক ও আলোকচিত্রী জখম হন। ছ’টি ক্যামেরা লুঠ হয়। পুলিশের দাবি, হাসপাতালে দালাল চক্রে যুক্ত চার জন জুনিয়র ডাক্তারদের হয়ে আক্রমণ চালিয়েছিলেন। সে কারণেই তাঁদের ধরা হয়েছে। যদিও সাংবাদিক ও আইনজীবীদের একাংশের পাল্টা দাবি, ওই চার জন নির্দোষ। বরং আক্রান্তদের বাঁচানোর চেষ্টাই করেছিলেন তাঁরা। জুনিয়র ডাক্তারদের আড়াল করতে তাঁদের ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। ধৃতদের আইনজীবী অরূপ দাসের দাবি, “পুলিশ ওই চার জনের কাছ থেকে কিছুই উদ্ধার করতে পারেনি।” যদিও এ দিনই পুলিশ সিজেএম আদালতে জানায়, হাসপাতাল চত্বর থেকে কয়েকটি ক্যামেরা উদ্ধার হয়েছে। বিচারক ধৃতদের ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
|
অগ্নি ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে নার্সিংহোম |
মহকুমায় বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম এখনও দমকলের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে। এই অভিযোগ করেছেন দমকল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি তাঁরা আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের কাছেও জানিয়েছেন। দমকলের ওসি সেলিম জাভেদ জানান, ৫ এপ্রিল পুলিশের পক্ষ থেকে একটি সভা ডাকা হয়েছে। উপস্থিত থাকবেন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের আধিকারিকেরা। দমকল সূত্রে জানানো হয়েছে, মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত প্রায় ২৫টি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ দমকলের ছাড়পত্র নিয়েছে। তবে বরাকর, কুলটি, রূপনারায়ণপুর এলাকায় অবস্থিত কিছু নার্সিংহোমে দমকলের ছাড়পত্র নেই। এ সব নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে কি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা ওই বৈঠকেই ঠিক করা হবে।
|
সরকারি চিকিৎসকদের বেসরকারি রোজগার ও রোগীদের যথেচ্ছ বেসরকারি নার্সিংহোমে ‘রেফার’ করার প্রবণতায় রাশ টানতে আজ অসম সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ এক নির্দেশিকা জারি করেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব এম হাগজের বর্মণ সব সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সঙ্গে জড়িত চিকিৎসকদের উদ্দেশে এক নির্দেশ জারি করে জানান, কোনও রকম অ-সরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, রোগ নির্ণয়কেন্দ্র বা নার্সিহোমের মালিকানার সঙ্গে সরকারি চিকিৎসক বা তাঁদের নিকটাত্মীয়রা জড়িত থাকলে এক মাসের মধ্যে তা জানাতে হবে। অন্য
প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কী ভাবে, কোন শর্তে তাঁরা যুক্ত তাও বিশদে জানাতে বলা হয়েছে।
|
নার্সদের কাজ নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ অভিযোগ তোলায় ওয়ার্ডের মধ্যেই দুই পক্ষের গোলমাল বাঁধে। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মেল মেডিক্যাল-১ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটনাটি ঘটেছে। তার জেরে সাময়িকভাবে ওয়ার্ডে কাজে বিঘ্ন ঘটে। শেষ পর্যন্ত হাসপাতাল সুপারের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। নার্সদের কাজকর্ম নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের অভিযোগ, নার্সদের একাংশ রোগীর বিস্তারিত পরিস্থিতি জানাচ্ছেন না। সময়মত ওষুধ দিচ্ছেন না। নার্সরা অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
|
রনাই স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে মঙ্গলবার বিনা খরচে চক্ষুপরীক্ষা শিবির আয়োজিত হল। ১৫০ জনের চক্ষুপরীক্ষা করেন চিকিৎসকেরা। প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়। |