নিয়মনীতি না মানায় শিলচরের একটি নার্সিং হোমকে বন্ধের নোটিস দিল দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। শহরের চিত্তরঞ্জন অ্যাভেনিউয়ের মেসার্স বিবেকানন্দ স্পেশালিটি হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার কর্তৃপক্ষকে ওই প্রতিষ্ঠানে তালা লাগানোর নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে শুরু হয়েছে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়াও। আসাম বিদ্যুৎ বিপণন কোম্পানির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারকে বলা হয়েছে, দ্রুত ওই নার্সিং হোমে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে। এর পরও নার্সিং হোম চালিয়ে গেলে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সেখানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পর্ষদের সিনিয়র এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ার কমলকল্যাণ দত্ত।
কলকাতার আমরি-কাণ্ডের পর শিলচরের নার্সিং হোমগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলাশাসক স্বপনকুমার দাসের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য দফতর, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, অগ্নিনির্বাপক বাহিনী এবং ডিএসপিকে নিয়ে গঠিত তদন্তকারী দল ২২ থেকে ২৭ ডিসেম্বর শহরের একুশটি নার্সিং হোম সরেজমিনে পরিদর্শন করে। প্রথম দফায় দশটি নার্সিং হোমে নানা দোষত্রুটি ধরা পড়ে। নার্সিং হোমগুলির কর্তৃপক্ষকে দ্রুত সে সব ত্রুটিবিচ্যুতি শুধরে নিতে বলা হয়। চারটি নার্সি হোম তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিলেও অন্য ছয়টির কাছ থেকে উপযুক্ত সাড়া মেলেনি। তখন কারণ দর্শানোর নোটিস জারি হয় সেগুলির বিরুদ্ধে। পাঁচটি নার্সিং হোম তার জবাব দিয়েছে। অভিযোগ, গুরুত্ব দেয়নি শুধু বিবেকানন্দ স্পেশালিটি হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার। তাই সেটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
কমলকল্যাণ দত্ত জানান, শিশুচিকিৎসক সুজিত নাথচৌধুরী নার্সিং হোমটির সার্বিক দেখভাল করলেও এর স্বত্বাধিকারী তাঁর স্ত্রী সঙ্ঘমিত্রা নাথ। ২৬ ডিসেম্বর তাঁরা নার্সিং হোমে গিয়ে দেখেন, স্বাস্থ্য দফতরের রেজিস্ট্রেশন বা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের অনুমতিপত্র কোনওটিই নেই সেখানে। নেই নিড্ল ডেস্ট্রয়ার, সিরিঞ্জ ট্রেটরকোনও কিছুই। নার্সিং হোমের ব্যবহৃত দূষিত জল সোজা পুরসভার নালায় গিয়ে মেশে। আর ওই নালার পারেই রয়েছে এলাকার সব্জি-বাজার। জেনারেটরের জ্বালানি খোলা অবস্থায় পড়ে থাকতেও দেখে তদন্তকারী দলটি। |