পশ্চিমবঙ্গের সব থানাতেই জেরা ও জবানবন্দি ভিডিও-য় তুলে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে বলে কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছিল রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ। কী ভাবে সেই কাজ হচ্ছে, মঙ্গলবার কলকাতা ও জেলার দু’টি থানার তরফে ল্যাপটপের সাহায্যে হাইকোর্টের দুই বিচারপতিকে তা দেখানো হল।
কলকাতার কাশীপুর এবং নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানায় দুই অভিযুক্তকে তদন্তকারী অফিসার কী ভাবে জেরা করছেন, বিচারপতি কল্যাণজ্যোতি সেনগুপ্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচিকে এ দিন তা দেখানো হয়। ডিভিশন বেঞ্চ ছ’মাস আগে রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে প্রতিটি থানায় অভিযুক্তদের জবানবন্দি এবং জিজ্ঞাসাবাদের সবটুকু ভিডিও-য় তুলে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু বারবার নানা কারণ দেখিয়ে পুলিশ সেই নির্দেশ পালনে গড়িমসি করে। ক্ষুব্ধ ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, এক সপ্তাহের মধ্যে থানায় ভিডিও ব্যবস্থা করে তা জানাতে হবে হাইকোর্টে।
এক সপ্তাহ পরে ডিজি এবং পুলিশ কমিশনার হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করে জানান, ভিডিও রেকর্ডিংয়ের বন্দোবস্ত করার জন্য রাজ্য ও কলকাতার সব থানাকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তাঁরা আশা করেন, ইতিমধ্যে সেই ব্যবস্থা গ্রহণও করা হয়েছে। ওই রিপোর্ট পাওয়ার পরে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, জেলার অন্তত একটি এবং কলকাতার একটি থানায় অভিযুক্তদের জবানবন্দি ভিডিও-বন্দি করার নমুনা দেখাতে হবে আদালতে। এ দিন সিডি-তে সেই নমুনাই আদালতে পেশ করা হয়। দুই বিচারপতি ল্যাপটপে তার কিছুটা দেখেন। জিজ্ঞাসাবাদের সিডি খুঁটিয়ে দেখার জন্য তাঁরা সেটি রেখে দেন। তবে ডিভিশন বেঞ্চ এ দিনই মামলাটির নিষ্পত্তি করে দিয়েছে।
|
রাজ্যের পরিসংখ্যান ব্যবস্থার উন্নতিতে এগিয়ে এল কেন্দ্র। ওই খাতে পশ্চিমবঙ্গকে প্রায় ৪৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ও প্রকল্প রূপায়ণকারী মন্ত্রক। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ছ’টি রাজ্যের পরিসংখ্যান ব্যবস্থার পরিকাঠামো উন্নয়নে আগামী পাঁচ বছর ধরে অর্থ সাহায্য করা হবে। গোটা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই একমাত্র পরিসংখ্যান ও প্রকল্প রূপায়ণকারী দফতর রয়েছে। তাই রাজ্যের পরিসংখ্যান-সংক্রান্ত সংস্থাগুলির সার্বিক পরিকাঠামো নির্মাণ, কর্মী নিয়োগ এবং কাজের সুবিধার জন্য আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারে জোর দিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে একটি মউ স্বাক্ষর করেছে মন্ত্রক। ওই প্রকল্পের মোট খরচ ধরা হয়েছে ৪৯ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা। যার মধ্যে ৪৮ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা দেবে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই ওই খাতে প্রথম কিস্তির পাঁচ কোটি পঁচিশ লক্ষ টাকা রাজ্যকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রক। রাজ্য ও জেলা স্তরে শিল্প-শ্রমিকদের অবস্থা, স্বাস্থ্য, সামগ্রিক শিক্ষা তথা সাক্ষরতার হার, বিদ্যুতের ব্যবহার বা পরিবহণ ব্যবস্থার প্রকৃত হাল-হকিকৎ দেখার জন্য নির্দিষ্ট সময় পর পর সমীক্ষা চালিয়ে থাকে কেন্দ্র। বর্তমানে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই ধরনের মোট কুড়িটি সূচক চিহ্নিত করা হয়েছে। মন্ত্রকের বক্তব্য, ওই সমীক্ষার ভিত্তিতে দেশের ভবিষ্যতের নীতি নির্ধারিত হয়। তাই আগামী দিনে ওই সমীক্ষাগুলো ঠিকঠাক করার জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
|
কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক নিয়ে যখন জাতীয় রাজনীতি উত্তাল, ঠিক সে সময়ে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের জন্য বাড়তি অর্থ মঞ্জুর করল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। গত কাল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ একটি চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন, রাজ্যের তিনটি সুসংহত প্রকল্প রূপায়ণকারী জেলা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের সড়ক পরিকাঠামো উন্নয়নে ওই অতিরিক্ত ১৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এর আগে এই প্রকল্পে রাজ্যের জন্য ৬৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। পরে রাজ্যের পক্ষ থেকে ওই খাতে আরও বরাদ্দের দাবি জানানো হয়। সেই দাবি মেনে রাজ্যকে গত কাল ওই বাড়তি অর্থ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জয়রাম। গত মাসে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পেও পশ্চিমবঙ্গকে বাড়তি ১৭২ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছিলেন জয়রাম। লোকপাল বিল থেকে এনসিটিসি প্রায় প্রতিটি বিষয় নিয়ে যখন কেন্দ্রের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সংঘাত উত্তরোত্তর বাড়ছে, তখন এই বাড়তি অর্থ প্রদান তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক শিবির। ব্যক্তিগত ভাবে জয়রাম প্রথম থেকেই মমতার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন। তার ফলশ্রুতিতেই পশ্চিমবঙ্গের ঘরে এই বাড়তি অর্থ আসছে বলে মনে করা হচ্ছে।
|
পুরুলিয়ায় পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির নবম ত্রিবার্ষিক জেলা সম্মেলন হল। অনুমোদিত মাদ্রাসা শিক্ষাকেন্দ্র গুলিতে কম্পিউটার শিক্ষা, ভোকেশনাল শিক্ষার ব্যবস্থা, মুসলিম গার্লস হোস্টেল-সহ মোট ২১ দফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। |