টুকরো খবর
স্যাভিওর চাকরি যাচ্ছেই
জাতীয় কোচ স্যাভিও মিদেইরার বিদায়ে কার্যত শিলমোহর পড়ে গেল মঙ্গলবার। স্যাভিও এ দিন এ এফ সি চ্যালেঞ্জ কাপের রিপোর্ট দিলেন ফেডারেশনে। তাতে দলের ফুটবলারদের নিয়ে কাঠমান্ডুতে করা সমালোচনার কোনও উল্লেখ নেই। স্যাভিও সেই সমালোচনার কথা এড়িয়ে বলেন, “আমি ওইরকম কিছু বলিনি। বলেছিলাম ক্লাবগুলোর সঙ্গে ফুটবলারদের যোগাযোগ থাকা অসম্ভব নয়। তার মানে এই নয় ওরা পা বাঁচিয়ে খেলেছে। আর নির্মল ছেত্রীর চোটের ব্যাপারটা আমি কাঠমান্ডু গিয়েই প্রথম জেনেছিলাম।” জাতীয় কোচের রিপোর্ট পেয়ে মোটেই খুশি নন ফেডারেশন সচিব এবং টেকনিক্যাল ডিরেক্টর রব বান। স্যাভিওর সঙ্গে কথার পর সচিব ও টিডির মধ্যে একান্তে যে আলোচনা হয় তাতেই ঠিক হয়ে যায় স্যাভিওকে আর রাখা হবে না। তবে ৩১ মে পর্যন্ত স্যাভিওর সঙ্গে চুক্তি আছে ফেডারেশনের। এখনই নতুন কোচের নাম জানানো হচ্ছে না। বদলে খুব সম্ভবত ডাচ কোচ আসতে চলেছে। বিদেশি কোচের নাম প্রকাশের আগে বান চান এই ক’দিনে আই লিগের ভারতীয় কোচেদের আর এক দফা দেখে নিতে।

টোলগে-নাটক অব্যাহত
মোহনবাগানে পা রাখা টোলগে ওজবেকে নিয়ে নাটক চলছেই। লাল-হলুদের ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য এখনও আশায়, “টোলগে ইস্টবেঙ্গলেই থাকবে। আশা করছি, ১০ এপ্রিলের পরেই সব চূড়ান্ত হয়ে যাবে।” মোহনবাগান কর্তারা অবশ্য এ ব্যাপারে চুপ। টোলগের মতো নির্মল ছেত্রী ও ভাসুম ঝুঁকে ইস্টবেঙ্গল ছাড়ার দিকে। ডেম্পো এবং মোহনবাগানের প্রস্তাব ভাসুমের কাছে। নির্মল মোহনবাগানে প্রায় পাকা। এ দিকে, প্রয়াগ ইউনাইটেডের ডেনসন দেবদাসের সঙ্গে সই করানোর পাশাপাশি জুয়েল রাজা এবং মণীশ মৈথানিকেও রেখে দিল মোহনবাগান। কথা চূড়ান্ত। ইস্টবেঙ্গল কর্তারা কথা চালাচ্ছেন ডেম্পোর জোয়াকিম আব্রাঞ্চেস এবং চার্চিলের লালরিন্দিকার সঙ্গেও। ইস্টবেঙ্গলের প্রস্তাব রয়েছে দীপক মণ্ডলের কাছে। প্রয়াগ কর্তারা অবশ্য আশায়, দীপক থেকে যাবেন।

সুব্রতর পাশে ব্যারেটো
ডেম্পো ম্যাচে তাঁকে তুলে নেওয়া নিয়ে বিতর্কে জল ঢাললেন হোসে ব্যারেটো নিজেই।
মঙ্গলবার সকালে প্র্যাক্টিসের পর ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড বলেন, “কেউ তো হারার জন্য স্ট্র্যাটেজি করে না। আমাদের কোচও তা করেননি।” সুব্রতর উপরে এক দল কর্তা বেশ ক্ষুব্ধ। তাঁরা তাকিয়ে, দল কী জায়গায় থাকে লিগে। এরই মধ্যে ব্যারেটোর মন্তব্য অন্য মাত্রা দিল। ব্যারেটো ব্যাখ্যা করেছেন, কেন তাঁকে তোলার পর কেন আর গোল করতে পারেনি মোহনবাগান। তাঁর কথায়, “আমাকে তুলে নেওয়ার পর সুনীল খেলছিল স্ট্রাইকারে। তার আগে ও যখন মাঝমাঠে খেলছিল আমার আর ওডাফার জন্য ও বল বাড়াচ্ছিল। সেটাই পরে ঠিক মতো হয়নি।” সঙ্গে আরও যোগ করেন, “তবে তখনও আমরা এক গোলে এগিয়ে ছিলাম। বুঝতে পারছি না, কী করে হঠাৎ গোলটা খেয়ে গেলাম।”

স্টেডিয়াম কালীঘাট এমএসের
ময়দানের তিন প্রধান বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও যা করতে পারেনি তা করার চেষ্টা শুরু করল প্রিমিয়ার ডিভিশনের ক্লাব কালীঘাট মিলন সঙ্ঘ। ফুটবল অ্যাকাডেমির জন্য নিজস্ব স্টেডিয়াম তৈরি করতে চলেছে তারা। বেঙ্গল পিয়ারলেসের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে। সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে সংস্থার কর্ণধার কুমারশঙ্কর বাগচী বললেন, “কলকাতা, শিলিগুড়ি বা দুর্গাপুরে কুড়ি একর জায়গার খোঁজ চলছে। পেয়ে গেলে দেড় বছরের মধ্যেই আবাসনের সঙ্গে একটি স্টেডিয়াম তৈরি করব আমরা।” কালীঘাট এম এস মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ার ক্লাব। তাঁর দাদা এবং এক ভাই ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট এবং সচিব। ২০ এপ্রিল থেকে ৩২ টি স্কুল নিয়ে কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্ট করতে চলেছে কালীঘাট। প্রেসিডেন্ট অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “এই টুর্নামেন্ট থেকে ৩০ থেকে ৬০ জন ফুটবলারকে বেছে স্কুল চালু করছি।” খেলোয়াড় বাছবেন সুকুমার সমাজপতি, সুরজিৎ সেনগুপ্তর মতো প্রাক্তন ফুটবলাররা। ফুটবল স্কুলের পরিকাঠামো তৈরি করে দিতে আসবেন অস্ট্রিয়ার বিশ্বকাপার ওয়াল্টার সাপ্লার। জার্মানি থেকে একজন বিদেশি কোচও আনার চেষ্টা চলছে।

সাব্বিরের আবাসিক শিবির
সন্তোষ ট্রফির জন্য বাংলা দলের অনুশীলন শুরু হবে ১৮ এপ্রিল থেকে। মঙ্গলবার সাব্বির আলির সঙ্গে আলোচনার পরে এটা ঠিক করলেন আই এফ এ কর্তারা। প্রথমে সপ্তাহ খানেকের অনুশীলনের পর ২৫ থেকে ৩০ জনের দল বেছে নিয়ে শুরু হবে আবাসিক শিবির।

আইপিএলে বোলপুরের ‘রাজাদা’
ছবি: বিশ্বজিৎ
রায়চৌধুরী
আইপিএল পরিচালনার ডাক পেলেন বোলপুরের প্রেমদীপ চট্টোপাধ্যায়। মাঠে অবশ্য ‘রাজাদা’ নামেই পরিচিত। স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটার হওয়ার। হলেন দক্ষ আম্পায়ার। বর্তমানে রাজাদা ভারতের জাতীয় স্তরের অন্যতম আম্পায়ার। মাত্র ১৫ বছর বয়সেই জেলা দলের হয়ে আন্তঃজেলা ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। বোলপুরে খেলার কথা ছিল তাঁর। হাত ভেঙে যাওয়ায় আম্পায়ার হিসেবে মাঠে নামেন। তারপরে ক্রিকেট পরিচালনা করাটাই নেশা এবং পেশা হিসেবে বেছে নেন। ১৯৯৮-এ সিএবি-র অ্যাম্পায়ারিং প্রতিযোগিতায় যোগ দেন। সে বছর রাজাদাই প্রথম হন। ২০০৫ সালে বিসিসিআইয়ের ‘স্ট্যাটিসটিসিয়ান অ্যান্ড স্কোরার’ পরীক্ষায় সম্মানের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। এ পর্যন্ত শতাধিক জাতীয় স্তরের খেলা পরিচালনা করেছেন। ২০১০-এ জয়পুরে পরিচালনা করেছেন রঞ্জি ট্রফির রাজস্থান বনাম হায়দরাবাদের খেলা। ২০১১ সালেও রঞ্জি ট্রফিতেই জাহির খান, রোহিত শর্মা, আরপি সিংহ, ইকবাল আব্দুল্লাহ, রমেশ পাওয়ারদের মত ক্রিকেটারদের খেলাও পরিচালনা করেছেন। রাজাদার কথায়, “খেলার মাঠের লোক। খেলার ছোট-বড় বুঝি না। পরিচালনা না করলেও মাঠে না গিয়ে থাকতে পারি না।” আইপিএলে ৪টি খেলা পরিচালনার দায়িত্ব ‘রাজাদা’ --প্রেমদীপ চট্টোপাধ্যায়ের। ৫ এপ্রিল কলকাতা নাইট রাইডার্স ও দিল্লি ডেয়ার ডেভিলসের খেলা দিয়ে শুরু হবে রাজাদার আইপিএল যাত্রা।

অন্য খেলায়
• শ্যামবাজার ক্লাব আয়োজিত মেয়েদের আমন্ত্রণী ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু ৮ এপ্রিল। পাঁচটি টিমে থাকবেন ঝুলন গোস্বামী, প্রিয়ঙ্কা রায়-রা। ফাইনাল ১৪ এপ্রিল।
• ঐক্য সম্মিলনী ক্লাব আয়োজিত ফুটবলারদের ট্রায়াল শুরু ১০ এপ্রিল। গ্রিয়ার মাঠে।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.