নিজস্ব সংবাদদাতা • পাণ্ডুয়া |
মেয়ের প্রেমে অমত ছিল পাণ্ডুয়ার খন্যানের মুল্টি গ্রামের বাসিন্দা মোহিত সরকারের। ‘পথের কাঁটা’ সরাতেই ১৮ মার্চ দুষ্কৃতীদের এনে সস্ত্রীক মোহিতবাবুকে মেয়ের ‘প্রেমিক’ খুন করায় বলে দাবি পুলিশের। সোমবার মেমারি থেকে পুলিশ শেখ মইদুল ইসলাম ওরফে রিপন ও হাওড়ার গোলাবাড়ি এলাকা থেকে স্থানীয় দুষ্কৃতী রাজেশ বর্মাকে ধরে। তদন্তকারীদের দাবি, ধৃত রিপন তাঁদের কাছে কবুল করেছে, মোহিতবাবুর মেয়ে তার ‘প্রেমিকা’। তার উদ্দেশ্য ছিল, দুষ্কৃতীদের দিয়ে মোহিতবাবুকে ‘শাসানি’ দেওয়ার, যাতে তিনি সম্পর্ক মেনে নেন। প্রাক্তন সেনাকর্মী মোহিতবাবু এক দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলায় তাঁকে কোপানো হয়। চেঁচামেচি শুনে লতাদেবী বাড়িতে ঢোকেন। রিপনকে চিনে ফেলায় প্রমাণ লোপাটের জন্য লতাদেবীকেও তারা খুন করে। হুগলির পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, “ওই ঘটনায় পেশাদার দুষ্কৃতী নিয়োগ করা হয়েছিল।” ধৃত রিপন ও রাজেশকে মঙ্গলবার চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। নিহত দম্পতির মেয়ে বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেন। বর্ধমান রাজ কলেজের প্রাক্তন ছাত্র রিপনের বাড়ি মেমারিতে। তার ‘প্রেমিকা’ ওই কলেজেরই প্রাক্তনী। পুলিশ জেনেছে, পারিবারিক কাপড়ের ব্যবসা সূত্রে হাওড়ার মঙ্গলাহাটে রিপনের যাতায়াত ছিল। সে জানিয়েছে, গোলাবাড়ির দুষ্কৃতী রাজেশের সঙ্গে তার মঙ্গলাহাটেই আলাপ। মোহিতবাবুর আপত্তির কথা রাজেশকে জানায় রিপন। রাজেশের পরামর্শে আরও ৩ দুষ্কৃতীর সঙ্গে পরামর্শ করে রিপন। সেই মতো ১৮ মার্চ তারা চার জন মোহিতবাবুর বাড়িতে যায়। মুখে সেলোটেপ আটকে দম্পতির মেয়েকে একটি ঘরে বন্ধ করে রাখা হয়। দুষ্কৃতীরা মোহিতবাবুকে শাসাতে থাকে। তর্কাতর্কির সময় মোহিতবাবু এক দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলতেই বিপদ বুঝে তাঁকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশের দাবি, মোহিতবাবুর মেয়েও রিপনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন। |