|
কৃষ্ণচন্দ্র ত্রিপাঠী
(প্রিন্সিপাল) |
|
হিন্দমোটর কারখানা চত্বরে এই স্কুল স্থাপিত হয়েছিল ১৯৫৩ সালের ১৩ অগস্ট। এর ৩ বছর পরে এই বিদ্যালয় প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি পায়। কিছুদিন পরে জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিণত হয়। ১৯৬২ সালে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানোর অনুমতি দেয়। এর পরে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নীত হয় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে প্রাতঃ এবং দিবা বিভাগে স্কুল চলে। প্রাতঃ বিভাগে নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। দিবা বিভাগে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। এটা খুব আনন্দের বিষয় যে, চমকপ্রদ ফলাফলের জন্য আমাদের বিদ্যালয় রাজ্য উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিল কর্তৃক ‘এ’ গ্রেড বিদ্যালয় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। আমাদের স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা বরাবরই পড়াশোনার ক্ষেত্রে মুন্সিয়ানা দেখিয়ে আসছে। পড়াশোনা ব্যতীত শিক্ষাদীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য সব ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। এই বছর জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক আয়োজিত ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় আমাদের বিদ্যালয় সমগ্র জেলায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। আমাদের প্রাক্তন ছাত্র আনন্দ মিশ্র, যে গত ১৯৯৮ সালে এই স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছিল, এ বার সে আইপিএস হয়েছে। আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য ছাত্রছাত্রীদের সামগ্রিক বিকাশ ঘটানো। সেই কারণে তাদের মানসিক ও শারীরিক ভাবে সুস্থ-সবল রাখতে চাই আমরা। পুথিগত পড়াশোনায় ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি তাদের মানসিক উৎকর্ষতা এবং শৃঙ্খলা বাড়ানোর দিকেও বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সদাসর্বদা নজর থাকে।
|
আমার চোখে
তৃষা গঙ্গোপাধ্যায়
ক্লাস টেন-এর ফার্স্ট গার্ল |
|
|
গত ১০ বছর ধরে আমি এই স্কুলে পড়াশোনা করছি। সেই অভিজ্ঞতার দিকে নজর রেখে আমি সগর্বে বলতে পারি যে, আমার স্কুল সব দিক থেকে একটি আদর্শ স্কুল। এই স্কুলের প্রধান বৈশিষ্ট এই যে, অধ্যক্ষ মহাশয় এবং অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা আমাদের পড়াশোনায় যথাসাধ্য সাহায্য করেন। পড়াশোনা ভিন্ন অন্যান্য অনুষ্ঠান, খেলাধুলা ইত্যাদিতেও তাঁরা আমাদের সমান ভাবে উৎসাহিত করেন। সেই জন্য প্রত্যেক বছর এই স্কুলের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল যথেষ্ট ভাল হয়। আমাদের স্কুলে একটি গ্রন্থাগার আছে। অনেকগুলি ল্যাবরেটরিও আছে। এই পরিকাঠামো প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া, আমাদের স্কুলে একটি যথেষ্ট উন্নত মানের কম্পিউটার রুম আছে, যেখানে ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। স্কুলের চারপাশের পরিবেশও পড়াশোনার জন্য আদর্শ। এই স্কুলের সংস্পর্শে থেকে আমি নিজেকে গৌরবাণ্বিত মনে করি।
|