বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই, হাতে কিন্তু মোবাইল
রের পর ঘরে বিদ্যুৎ নেই, কিন্তু হাতে হাতে রয়েছে চলভাষ।
এই ছবি বিহারের গ্রামগঞ্জের। সাম্প্রতিকতম জনগণনায় এই ‘অবাক চিত্র’টি সামনে এসেছে। এর অর্থ, বিদ্যুতের ব্যাপারে মানুষের যে আগ্রহ নেই, তা কিন্তু নয়। আসলে রাজ্য সরকার গ্রামীণ বৈদ্যুতিকীকরণের ক্ষেত্রে এক দিকে ব্যর্থ, অন্য দিকে সারা দেশ জুড়ে টেলি-যোগাযোগ ব্যবস্থার সম্প্রসারণে ব্যাপক সাফল্য---এই দু’টি বিষয়ও সামনে এসে পড়েছে। ফলে অস্বস্তি এবং চাপের মুখে পড়েছে নীতীশ সরকার।
২০১১-র জনগণনায় সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের ৫৫.৫% পরিবার টেলি-যোগাযোগ নেটওয়ার্কের আওতায় এসে গিয়েছে। পাশাপাশি, মাত্র ১৬.৪% পরিবারের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। ২০০১ সালের জনগণনার হিসেব অনুযায়ী ১০.৩% পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল। অর্থাৎ গত ১০ বছরে রাজ্যে কাজ মাত্র ৬.১% এগিয়েছে। বৈদ্যুতিকীকরণের বার্ষিক হার ১ শতাংশেরও কম। অথচ টেলিফোন, মূলত মোবাইল বা দূরভাষের ক্ষেত্রে এই হিসেবটি ঠিক বিপরীত। ২০০১ সালে ২.২% মানুষ টেলি-যোগাযোগের আওতায় ছিলেন। ১০ বছরে আরও প্রায় ৫৩% মানুষ এর আওতায় এসেছে।
বিহার সেন্সাস দফতরের ডেপুটি রেজিস্টার জেনারেল ভাস্কর মিশ্র এই তথ্য প্রকাশ করে বলেন, “রাজ্যে বৈদ্যুতিকীকরণ পরিস্থিতি খুবই খারাপ। সেই তুলনায় টেলি-যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি হয়েছে।” জনগণনার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, গোপালগঞ্জ জেলায় টেলিফোনের ব্যবহার সব থেকে বেশি। এখানে ৭০ শতাংশের উপর মানুষ টেলিফোন ব্যবহার করেন। শহর এলাকায় ৬৬.৭% পরিবার বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। তার মধ্যে পটনায় ৫৭.১ শতাংশ পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। এ ক্ষেত্রে সব থেকে নীচে আরওয়াল জেলা। সেখানে মাত্র ১.৯% পরিবারে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। নীতীশ বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নয়নের নিজস্ব কয়লার ব্লকের জন্য কেন্দ্রীয় কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.