রাজাবাজারে দুর্ঘটনা রোধে পুলিশ কমিশনারের রিপোর্ট
নিজস্ব সংবাদদাতা |
দুর্ঘটনা এড়াতে রাজাবাজার মোড়ে কী কী নতুন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তার একটি তালিকা রাজ্য পরিবহণ দফতরের কাছে জমা দিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রঞ্জিতকুমার পচনন্দা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজাবাজার মোড়ে এস্ক্যালেটর দেওয়া ফুটব্রিজ বানানো চলছে। উজ্জ্বল আলোর বাতিস্তম্ভ দিয়ে সাজানো হচ্ছে এলাকা। মঙ্গলবার পুলিশ কমিশনারের দেওয়া ওই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রের কাছে। সম্প্রতি রাজাবাজারে পরপর দু’টি দুর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনার পরে উত্তেজিত জনতা কয়েকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। নামাতে হয় র্যাফ। মদনবাবু নিজেও ঘটনার দিন রাজাবাজারে গিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে বাসের বেপরোয়া চলাচল নিয়ে নানা অভিযোগ পান। তার পরেই ওই এলাকায় দুর্ঘটনা কমাতে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নিয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে একটি রিপোর্ট চেয়ে পাঠান মদনবাবু। সিপি-র ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, এপিসি রোডে গাড়ির গতির রেকর্ড রাখতে সিসিটিভির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আকস্মিক দুর্ঘটনার মোকাবিলায় রাজাবাজার মোড়ে সব সময়ের জন্য ট্রমা অ্যাম্বুল্যান্স রাখার কথাও ভাবা হয়েছে। ফুটপাথ ঘেরার ব্যবস্থাও হচ্ছে। রাস্তায় ডিভাইডার বসানোর বরাতও দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ওই রাস্তায় পর্যাপ্ত আলোর জন্য আগেই পুরসভার আলো বিভাগের ডিজি-র কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়। কাজ না হওয়ায় ফের আবেদন জানানো হয়েছে। পরিকাঠামোগত ব্যবস্থার পাশাপাশি ওই এলাকায় ট্রাফিক সামলাতে আরও কিছু লোক নিয়োগ করতে হবে বলে কমিশনার রিপোর্টে জানিয়েছেন। পুলিশের মতে, সব ব্যবস্থা সম্পূর্ণ হলে রাজাবাজারে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব হবে।
|
গ্রন্থাগারে সংবাদপত্র রাখা নিয়ে সরকারি নির্দেশিকা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানালেন শহরের বিশিষ্টজনেরা। মৃণাল সেন, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়-সহ তাঁদের একাংশ মঙ্গলবার এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ নিন্দনীয়। তাঁদের আশা, সরকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবেন এবং রাজ্যের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য বজায় রাখবেন। এ দিনই ওই নির্দেশিকার প্রতিবাদে ডোরিনা ক্রসিংয়ে গ্রন্থাগার মন্ত্রী আব্দুুল করিম চৌধুরীর কুশপুতুল পোড়ান ‘মজদুর ক্রান্তি পরিষদ’-এর সদস্যেরা। সংগঠনের ৫০-৬০ জন সদস্য কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল করে বিকেল তিনটে নাগাদ সেখানে যান। এর জেরে এস এন ব্যানার্জি রোড-সহ কয়েকটি রাস্তায় যান চলাচল সাময়িক ব্যাহত হয়।
|
বেহালায় পৃথক দু’টি ঘটনায় মঙ্গলবার এক তরুণী ও এক স্কুলছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, সকালে বি এল সাহা রোডের একটি বাড়ি থেকে কেয়া মণ্ডল (২৪) নামে এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ মেলে। পুলিশ জানায়, কেয়া আগে কলেজে পড়তেন। কয়েক বছর আগে পড়া ছেড়ে দেন। অন্য দিকে, বেহালার বামাচরণ রায় রোডের একটি বাড়ি থেকে মেলে পুনম চক্রবর্তী (১২) নামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর দেহ। |