দাবি মেটাতে প্রশাসন উদ্যোগী হয়নি। এই অভিযোগে আজ, বুধবারও বাস ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার কথা জানাল ‘কাটোয়া বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’।
বেহাল রাস্তা সংস্কার ও অবৈধ মোটরচালিত ভ্যানের রমরমা বন্ধের দাবিতে মঙ্গলবার কাটোয়ায় বাস চলাচল বন্ধ রাখে ওই সংগঠন। সংগঠনের সভাপতি নারায়ণচন্দ্র সেনের অভিযোগ, “রাস্তা সংস্কার করতে সময় প্রয়োজন, তা আমরা জানি। কিন্তু মোটরচালিত ভ্যান চলাচল তো বন্ধ করা যায়। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কোনও ভূমিকা নজরে পড়েনি। তাই বুধবারও বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” কাটোয়ার মহকুমাশাসক দেবীপ্রসাদ করণম অবশ্য বলেন, “বাসমালিকেরা যাত্রীদের অসুবিধার মধ্যে ফেলছেন। আমরা দাবি মেটানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও বাস বন্ধ করে কার্যত ব্ল্যাকমেল করছেন। তাই আমরা সরকারি বাস চালানোর ব্যবস্থা করছি।” |
সোমবার বাস মালিকদের ওই সংগঠনের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছিল, প্রায় দু’বছর ধরে তাঁরা লিখিত ভাবে জেলা ও মহকুমা প্রশাসনকে রাস্তা সংস্কার ও মোটরভ্যান বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছেন। প্রশাসনের তরফে কোনও উদ্যোগ না দেখে মঙ্গলবার বাস বন্ধের ডাক দেওয়া হয়। সে জন্য সাধারণ যাত্রীদের কাছে ‘সহযোগিতা’ ও তাঁদের দাবিগুলির প্রেক্ষিতে এই বাস বন্ধের ডাক ‘সদর্থক’ ভাবে দেখার আহ্বান জানান বাসমালিকেরা।
মঙ্গলবার বিকেলে ওই সংগঠনের সদস্যেরা বৈঠক করেন। সেখানে সদস্যেরা অভিযোগ করেন, পুলিশের সামনে থেকেই অবৈধ ভাবে চলাচলকারী মোটরভ্যানগুলি যাত্রী ও মালপত্র তুলছে। এ দিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এর পরেই বৈঠকে বুধবারও বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ দিন বাস বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েন কয়েক হাজার যাত্রী, পড়ুয়া ও পরীক্ষার্থীরা। কাটোয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য নানা যাত্রীবাহী ও মালবাহী গাড়ির উপরে ভরসা করতে হয় যাত্রীদের। বেশি ভাড়াও গুনতে হয়েছে বলে জানান যাত্রীরা। পরীক্ষার্থীদের জন্য কয়েকটি বাসের ব্যবস্থা সত্ত্বেও অনেককেই হয়রান হতে হয়েছে। বাসমালিক সংগঠনের সভাপতি নারায়ণবাবু অবশ্য বলেন, “মঙ্গলবারের মতো বুধবারও পরীক্ষার্থীদের জন্য বাসের বন্দোবস্ত থাকবে।” |
মোটরভ্যান চলাচল বন্ধে উদ্যোগের অভাবে কথা অবশ্য পুলিশ অস্বীকার করেছে। এসডিপিও (কাটোয়া) ধ্রুব দাস বলেন, “আমরা মোটরভ্যান ধরতে অভিযান চালাচ্ছি। ইতিমধ্যেই ৮-১০টি গাড়ি আটক করা হয়েছে।”
|
মঙ্গলবার ছবিগুলি তুলেছেন অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়। |