যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য দফতরের দোরে দোরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বালুরঘাটের এক রোগী। চিকিৎসকদের বক্তব্য ওই রোগীর ‘ডটস প্লাস’ চিকিৎসা প্রয়োজন। রাজ্যে ওই চিকিৎসা কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাওয়া যায়। চিকিৎসকদের পরামর্শে বিপ্লব মোহান্ত নামে ওই রোগী কলকাতায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে গেলেও তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। নিরুপায় ওই রোগী সোমবার বালুরঘাটে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দ্বারস্থ হন। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের মুখপাত্র অসিত বিশ্বাস বলেন, “এমন ঘটনা হয়ে থাকলে সিএমওএইচের কাছ থেকে ওই রোগী চিঠি নিয়ে এলে তাঁকে কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।” বালুরঘাটের ভাটপাড়া অঞ্চলের উত্তর ডাঙি এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক গত ২০০৫ সালে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হন। যক্ষ্মার ডটস-ওয়ান এবং ডটস-টু চিকিঠসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হয়। চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে বিপ্লব মজুরি খাটতে মুম্বই চলে যান। ২০১১ সালে ফের তিনি যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন। স্থানীয় ভাবে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ওষুধ খেয়ে কাজ না হওয়ায় বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখান থেকে তাকে রেফার করা হয়। বিপ্লব এরপর চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে যান। বিপ্লববাবুর অভিযোগ, “সেখানে এই রোগের চিকিৎসা হয় না বলে আমায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ফের গত ২ মার্চ বালুরঘাটে এসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হই। কোথাও চিকিৎসার ব্যবস্থা হচ্ছে না।”
|
মৃত শিশুকেই রেফার করার অভিযোগ |
মৃত শিশুকেই ‘রেফার’ করেছেন চিকিৎসক। এমনই অভিযোগ করলেন শিশুটির বাবা। রবিবার রাতে নদিয়ার ফাজিলনগরের বাসিন্দা তনুজা খাতুনকে (৩) পায়ে সংক্রমণ নিয়ে নওদার আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হয়। তনুজার বাবা আজিজুর খান্দেকর অভিযোগ করেন, কোনও চিকিৎসা না করেই সে রাতে তনুজাকে ঘুমের ইনজেকশন দেওয়া হয়। সোমবার ভোরে মারা যায় সে। তিনি বলেন, “একে তো মেয়ের কোনও চিকিৎসা করা হয়নি। তার উপরে সে মারা যাওয়ার পরে দায় এড়াতে চিকিৎসকেরা তাকে বহরমপুর হাসপাতালে রেফার করে দেন।” হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তথা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাদিত্য বক্সী বলেন, “গাফিলতির অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমরা রাতে রোগীর অবস্থা খারাপ দেখেই তাকে বহরমপুরে রেফার করে দিয়েছিলাম। কিন্তু তার বাড়ির লোকেরা তাকে কেন নিয়ে যায়নি তা বলতে পারব না।” রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের মুখপাত্র অসিত বিশ্বাস বলেন, “সিএমওএইচ-এর কাছ থেকে রিপোর্ট পেলে তবেই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তদন্ত করা হচ্ছে।”
|
অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু গোপীবল্লভপুরে |
হাওড়ার বেলুড়ের ‘সার্বিক বিবেকানন্দ গ্রাম-সেবা সংস্থা’র উদ্যোগে সোমবার গোপীবল্লভপুর ১ ব্লকে বেসরকারি ভাবে একটি অ্যাম্বুল্যান্স-পরিষেবা শুরু হল। সংস্থার সহকারি সম্পাদক লক্ষ্মীকান্ত দাস জানান, প্রত্যন্ত এলাকায় চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে ওই অ্যাম্বুল্যান্সটি দান করেছে কলকাতার এক সংস্থা। জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত এলাকায় চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছনোর জন্য রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট (এমএমইউ) চালু করেছে। গত বছর ডিসেম্বর থেকে ‘সার্বিক বিবেকানন্দ গ্রাম-সেবা সংস্থা’র উদ্যোগে গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত ৬টি জায়গায় সপ্তাহে ৬ দিন নিখরচায় ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার কাজ চলছে। লক্ষ্মীকান্তবাবুর বক্তব্য, “অ্যাম্বুল্যান্স-পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে ন্যূনতম খরচ নেওয়া হবে। প্রকৃত দুঃস্থদের ক্ষেত্রে অবশ্য খরচের বিষয়টি আন্তরিক ভাবে বিবেচনা করা হবে।”
|
চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী-মৃত্যুর অভিযোগ |
চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ তুলে ধুবুরি সদর হাসপাতালে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল রোগীর আত্মীয়স্বজনদের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, রাতে ধুবুরি শহরের রামকৃষ্ণ মিশন রোডের বাসিন্দা বিশ্বনাথ ভৌমিককে (৫০) গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে নার্সেরা একটি ইনজেকশন দেয়। কিছুক্ষণ পরে ওই রোগীর মৃত্যু হয়। তাঁর আত্মীয়দের অভিযোগ, “সঠিক চিকিৎসার অভাবে বিশ্বনাথ ভৌমিকের মৃত্যু হয়েছে।” এর পর হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। |