হরিণ পাচার করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল ছয় জন। উদ্ধার করা হয়েছে হরিণকেও। ধৃতদের কাটিগড়া থানায় আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হরিণটিকে আপাতত তুলে দেওয়া হয়েছে কালাইন রেঞ্জের বনকর্মীদের কাছে। তাকে জঙ্গলেই ছেড়ে দেওয়া হবে। পুলিশ জানিয়েছে, লাইড্রিমবাই থেকে ৬ ব্যক্তি গাড়িতে যাচ্ছিল শিলচর। এদের পাঁচ জনের বাড়ি মেঘালয়ের বাপুইবস্তিতে। একজন অসমের কাছাড় জেলার গোবিন্দপুরের বাসিন্দা। আজ ভোরে কাটিগড়া থানার লক্ষ্মীপুরে পুলিশ তাদের গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সাড়ে তিন ফুট লম্বা ও আড়াই ফুট উঁচু হরিণটিকে দেখতে পায়। গাড়ির আরোহীরা পুলিশকে জানায়, আচমকা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে হরিণটি তাদের গাড়ির সামনে পড়ে গিয়েছিল। বনকর্মীদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য তারা হরিণটিকে ধরে নিয়ে এসেছে। পুলিশ তখন তাদের কথায় বিশ্বাস করেছেড়ে দেয়। কিন্তু পরে খবর মেলে, বনকর্মীদের কাছে নয়, হরিণটি রয়েছে লক্ষ্মীপুরেরই হাসিমউদ্দিন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে। সঙ্গে সঙ্গে পিছু ধাওয়া করে ছয় জনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। হাসিমউদ্দিনকে অবশ্য আটক করা হয়নি। ওই ব্যক্তির দাবি, তিনি তাঁর বাড়ির সামনে পেয়ে হরিণটিকে আশ্রয় দিয়েছেন। পুলিশের অনুমান, ধৃতেরা আদতে হরিণ পাচারকারী। মেঘালয়ের জঙ্গল থেকে হরিণ ধরে এনে চড়া দামে মাংস বিক্রি করে। গাড়ির সামনে পড়ে যাওয়ার গল্পটি পুরো বানানো। কারণ পড়ে গেলে হরিণটির গায়ে জখম হওয়ার চিহ্ন থাকত। কাছাড় জেলার কলাইনের রেঞ্জার মুজতবা আহম্মদ আজ বলেন, উদ্ধার করা হরিণটিকে কোথা থেকে ধরা হয়েছে, বলা মুশকিল। তবে শীঘ্রই তাকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
|
বনসৃজনের জন্য তৈরি করা বনদফতরের ১৮ হাজার ইউক্যালিপটাস গাছের চারা নষ্ট করে দিল কে বা কারা। শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দুবরাজপুর থানার মেটেলা গ্রামে। বনদফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জলাধার লাগোয়া মেটালা গ্রামের একদিকে বনভূমি রয়েছে। বনদফতরের দুবরাজপুর রেঞ্জের ওই বনভূমি ঘেঁষে এ বছরই ১০ হেক্টর জমিতে নতুন করে বনসৃজন করার পরিকল্পনা নেয় তারা। সেই জন্য ওখানেই একটি নার্সারি করে ১৮হাজার ইউক্যালিপটাস গাছের চারা তৈরি করেছিল বনদফতর। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মটেলা বনসংরক্ষণ কমিটিকে। শনিবার সকালে ওই কমিটির সদস্য সখা দাস বলেন, “সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা গাছের চারাগুলিকে দেখাশোনা করি। ওই দিন সকালে এসে দেখি সমস্ত চারাগাছ নষ্ট হয়ে গিয়ছে। কে বা কারা এ কাজ করেছে জানি না।” জেলা বনাধিকারিক কিশোর মাঁকড় বলেন, “বনকর্মীরা ওখানে গিয়েছেন। খোঁজ খবর নিয়ে নির্দিষ্ট ভবেই দুবরাজপুর থানায় অভিযোগ জানানো হবে। তবে এ কাজ করে বনসৃজন আটকানো যাবে না।”
|
একটি জখম বুনো দাঁতালের মৃত্যু হল। শনিবার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পূর্ব রায়ডাকের জঙ্গলে হাতিটির দেহ উদ্ধার হয়। গত একমাস ধরে দাঁতালটি এওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল। গত ১৫ মার্চ দু’জন চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে বন দফতর চিকিৎসার ব্যবস্থাও করে। গত কয়েকটি দাঁতালটিকে দেখতে না-পেয়ে বনকর্মীরা ভেবেছিলেন সেটি সুস্থ হয়ে গিয়েছে। এদিন হাতিটির ময়না তদন্ত করা হয়। বন দফতরের চিকিৎসক দীপক শর্মা বলেন, “শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে দাঁতালের মৃত্যু হয় বলে মনে হচ্ছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।” |