২৫ মার্চ দীনবন্ধু মঞ্চে আশিগড় নবদিশা এডুকেশনাল সোসাইটির নবদিশা অ্যাকাডেমি নার্সারি স্কুলের প্রথম বর্ষপূর্তিতে তারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উদ্বোধন করেন সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’ উদ্বোধনী নৃত্যে অংশগ্রহণ করেন পৃথিকা, অঙ্কিত, তপশ্রী, মৌজ্যোতি সহ অন্যান্যরা। শাশ্বতী রায়ের রায়ের পরিচালনায় ওম সংস্থা একটি আবৃত্তির কোলাজ পরিবেশন করে। শিশু শিল্পীদের মধ্যে আবৃত্তিতে ছিল অদ্রিজা, রণজিৎ, সায়ন, ব্রততী, সুরঞ্জনা, সৌমিলী। কলকাতার দুই শিল্পী জগন্নাথ বসু এবং ঊর্মিমালা বসু চারটি অনবদ্য শ্রুতিনাটক পরিবেশন করেন। কলকাতার ‘রক্তিম’ নৃত্য সংস্থার শিব বন্দনায় শিবের দক্ষযজ্ঞ সুচারু ভাবে ফুটে ওঠে। সঞ্চালনায় ছিলেন শাশ্বতী রায়।
|
২০ মার্চ দীনবন্ধু মঞ্চে ‘স্বর ও শ্রুতি’র নিবেদন ছিল ‘মননের ধ্রুবপদ’। রবীন্দ্র গীতিসুষমায় মধু কবির মেঘনাথ বধ কাব্য, আধ্যাত্মরসের সাধনায় লোকজীবনের অনাবিল সুর বাউল গানকে নিয়ে এ দিনের অনুষ্ঠান এক মালায় গাঁথা ছিল। ছোটদের আবৃত্তির মধ্যে দিয়ে উদ্বোধন হয়। অংশ নেন স্বর্ণালী, বর্ণা, সুপ্রিয়া, সুলগ্না, দিয়া, বর্ণিনি, স্বর্ণালী, স্বনামী, শালিনী, স্বরলিপি, নন্দনা ও স্বপ্ননীল। পরিবেশিত হয় শ্রুতিনাটক ‘থার্ড পার্সন প্লুরাল নম্বর’। ছিলেন পারমিতা বিশ্বাস ভট্টাচার্য, কান্তা দাস, পূর্ণিমা সরকার। অমিতাভ কাঞ্জিলালের পরিচালনায় হয় মেঘনাথ বধ কাব্য। স্বর ও শ্রুতির ১৩ জন বাচিক শিল্পী অংশ নেন। বাউল গানে সন্ধ্যাকে মনোগ্রাহী করে তোলেন শিল্পী লক্ষণদাস বাউল, ধীরেন দাস, দিনু দাস, দয়াল দাস বাউল।
|
২২ মার্চ দীনবন্ধু মঞ্চে ঋত্বিক নাট্য সংস্থা মঞ্চস্থ করলেন পূর্ণাঙ্গ নাটক ‘শিকড়ের খোঁজে মরিচাঝাঁপি’। গত বছর রাজ্য নাট্য মেলায় কলাকাতায় মিনার্ভা থিয়েটারে নাটকটি মঞ্চস্থ করে প্রশংসা পেয়েছে। মূল আখ্যানের ভেতর অণু আখ্যানগুলি সুচারু ভাবে ফুটে উঠেছে। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন মলয় ঘোষ, রতন নন্দী, সঞ্জয় দে, রঞ্জন চক্রবর্তী, সুদীপ্ত সেনগুপ্ত, শুভজিৎ সরকার, পার্থপ্রতিম দাস, গৌতম লাহা, শীলা ঘোষ, কাকলি দাস, মন সরকার, অনিন্দতা চৌধুরী এবং একমাত্র শিশু শিল্পী তিস্তা ঘোষ। ছিন্নমূলদের কাহিনী নিয়ে ঋত্বিকের সকল নাট্যকর্মীর যৌথ প্রয়াস এবং পরিচালক মলয় ঘোষের পরিকল্পনা, ও নির্দেশনা প্রশংসার দাবি রাখে।
|