বেআইনি ভাবে ‘মৃতের শংসাপত্র’ দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ এক ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেফতার করল। বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ চব্বিশ পরগণার অশোকনগর থানার পুলিশ স্থানীয় রেল স্টেশন সংক্রান্ত এলাকা থেকে ওই ভুয়ো চিকিৎসককে ধরেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম শেখর সাহা। বাড়ি হাবড়া শহরে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবরার বাসিন্দা পীযূষ মল্লিকের স্ত্রী ইলা মল্লিক সম্প্রতি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই ভুয়ো চিকিৎসক পীযূষবাবুকে ‘মৃত শংসাপত্র’ দেন। ওই শংসাপত্র নিয়ে তিনি শ্মশানে স্ত্রীর সৎকারও করেন। পরে ওই শংসাপত্র হাবরা পুরসভায় জমা দিলে, সেটি দেখে পুর কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। মেডিক্লেমের জন্যও পীযূষবাবু ওই শংসাপত্র সংশ্লিষ্ট বীমা সংস্থার কাছে জমা দেন। বীমা সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁকে জানানো হয়, যিনি ওই শংসাপত্রটি দিয়েছেন তাঁর নামে কোনও মেডিক্যাল রেজিস্ট্রেশন নেই। পীযূষবাবু ঘটনার কথা বিস্তারিত জানিয়ে বৃহস্পতিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। |
পুলিশ জানতে পারে, ওই চিকিৎসক একটি প্যাড ছাপিয়েছিলেন ‘মহিতোষকুমার বিশ্বাস’ নামে। তাতে ঠিকানা দেওয়া ছিল অশোকনগরের আওয়ালসিদ্ধি। ডিগ্রি হিসেবে লেখা ‘এমবিবিএস, কলকাতা’। কিন্তু তদন্ত করে দেখা যায়, আওয়ালসিদ্ধি এলাকায় ওই নামে এমবিবিএস পাশ করা কোনও চিকিৎসক নেই।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে শেখর অশোকনগর রেল স্টেশন এলাকায় একটি ওষুধের দোকান খুলে ফার্মাসিস্ট এবং চিকিৎসকের কাজ করে আসছে বলে জানা গিয়েছে। ওই দোকানটি আবার তার দাদার নামে। রোগীদের চিকিৎসা করবার পাশাপাশি ওষুধ দিতেন, প্রয়োজনে সেলাই করতেন। যদিও অভিযোগ, তার ফার্মাসিস্টেরও শংসাপত্র নেই। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত জানিয়েছে তার কাছে মহিতোষকুমার বিশ্বাস নামে এক চিকিৎসকের প্যাড ছিল।
ধৃতের দাবি, আজও অবধি একটি মাত্র ‘মৃত্যু শংসাপত্র’ই দিয়েছেন। ভবিষ্যতে তিনি বেআইনি কাজ করবেন না বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন। ধৃতকে শুক্রবার বারাসত জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন। |
চক্ষু পরীক্ষা শিবির
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
বাসন্তী পুজো উপলক্ষ্যে একটি চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের অনুষ্ঠিত হল শিলিগুড়ির ভারতনগরের নবরবি সংঘে। শুক্রবার ক্লাবের মাঠে বাসন্তী পুজো শুরু হয়। পাশেই আয়োজন করা হয় চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের। ক্লাবের সদস্য রাজু মালাকার জানান, শিবিরে শতাধিক বাসিন্দা চিকিৎসা করান। |