শিল্পোন্নয়নে ভূমি সংস্কার সংশোধনী বিল সোমবার |
শিল্পতালুক, শিল্প পার্ক বা অর্থনৈতিক হাব, পর্যটন-বায়োটেক পার্ক বা ফিল্মসিটি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সম্প্রসারণে ভূমি সংস্কার আইন সংশোধন করছে রাজ্য সরকার। সোমবার বিধানসভায় এ জন্য ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ল্যান্ড রিফর্মস (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১২’ পেশ হবে।
এই বিলের ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বিষয় হচ্ছে, জমির আবেদনের সময়ই সরকারের কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) জমা দিতে হবে। তা বিশ্লেষণ করে সরকার ‘সবুজ সঙ্কেত’ দিলেই কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা শিল্পতালুক-সহ বিভিন্ন শিল্পের জন্য জমি নিতে পারবে। বিলটি নিয়ে সোমবার আলোচনা হওয়ার কথা। শুক্রবারই বিধায়কদের হাতে বিলের প্রতিলিপি দেওয়া হয়েছে।
চা বাগান, ফিল্মসিটি, ফুড পার্ক, তেল ও গ্যাস উৎপাদন কেন্দ্র বা বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ কেন্দ্রের জন্যও ভূমি দফতরের অনুমোদনে জমি নেওয়ার সুযোগ থাকছে বিলে। শিল্পের সম্প্রসারণের জন্যও এই বিল অনুসারে জমি নেওয়া যাবে। শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “দ্রুততার সঙ্গে রাজ্যে শিল্পায়ন ও উন্নয়ন করার জন্য সংশোধিত ভূমি সংস্কার বিল আনা হচ্ছে।” জমি নিয়ে বছরের পর বছর ফেলে রাখলে সরকার তা ফেরতও নিয়ে নিতে পারবে। জমি ফেলে রাখা আটকাতে সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, জমির ঊর্ধ্বসীমা (সিলিং)-র বাইরে বাড়তি যে জমি নেওয়া হবে, সেখানে কাজ শুরুর ছাড়পত্র পাওয়ার তিন বছরের মধ্যে কাজ না হলে সরকার তা ফেরত নিতে পারবে। বাম আমলে কিছু কিছু শিল্প সংস্থাকে ঊর্ধ্বসীমার বাইরে জমি দেওয়া হয়েছিল। তার কতটা ব্যবহৃত হয়েছে, তা খতিয়ে দেখবে নতুন সরকার। চা বাগান ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে জমি হস্তান্তর করতে গেলে সরকারকে জানাতে হবে এবং নিলাম করে তা বেচতে হবে বলে বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।
|
মানবাধিকার কমিশনে নয়া প্রধান |
তিন বছর পরে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হচ্ছে। নতুন চেয়ারম্যান হতে চলেছেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী, বিধানসভার স্পিকার এবং বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে গঠিত নির্বাচন কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন চেয়ারম্যানের নাম এ বার অনুমোদনের জন্য রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হবে। ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ওই কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ খালি আছে। তিন বছর ধরে কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ চালাচ্ছেন নারায়ণচন্দ্র শীল। তিনি কমিশনের দুই সদস্যের অন্যতম। চেয়ারম্যান-পদে যিনি আসছেন, সেই অশোকবাবু কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। ওড়িশা ও তামিলনাড়ু হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবেও কাজ করেছেন। কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। |