|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
জরুরি, ব্যতিক্রমী উদ্যোগ |
বইপোকা |
উপকারের সহিত আনন্দের একটি স্বাভাবিক বিরোধ আছে। সেই বিরোধটিকে অনায়াসে মিটাইয়া ফেলিয়াছিল যে পত্রিকা সেই ‘সন্দেশ’-এর শতবর্ষ সমাগতপ্রায়। ১৩২০-র বৈশাখে প্রথম প্রকাশিত হইয়াছিল উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী সম্পাদিত ‘সন্দেশ’। তাহার প্রথমেই ‘সন্দেশের কথা’ নামক একটি ভূমিকা লিখিয়াছিলেন উপেন্দ্রকিশোর। লিখিয়াছিলেন, ‘‘আমরা যে সন্দেশ খাই, তাহার দুটি গুণ আছে। উহা খাইতে ভাল লাগে, আর উহাতে শরীরে বল হয়। আমাদের এই যে পত্রিকাখানি... ইহাতেও যদি এই দুটি গুণ থাকে, অর্থাৎ ইহা পড়িয়া যদি সকলের ভাল লাগে আর কিছু উপকার হয়, তবেই ইহার ‘সন্দেশ’ নাম সার্থক হইবে।’ সেই ‘সার্থকতা’ অতঃপর ইতিহাস হইয়া গিয়াছে। মনে পড়ে বুদ্ধদেব বসুর ছেলেবেলা, ‘ছোটদের আশার হরিণকে দিগন্তের দিকে ছুটিয়ে দিয়ে মাসে-মাসে আসতো ‘সন্দেশ’, আসতো তার আশ্চর্য মলাট আর ভিতরকার মনোহরণ রঙিন ছবি নিয়ে...।’ সাহিত্যের বিচিত্র ভোজে উজ্জ্বল পাইকা অক্ষরের সেই পরিবেষণ পুনর্বার এই শতবর্ষে। পারুল প্রকাশ করিয়া চলিতেছে উপেন্দ্রকিশোর ও তৎপরে সুকুমার রায় সম্পাদিত ‘সন্দেশ’-এর সবকটি সংখ্যা, অবিকল প্রতিমুদ্রণে। এ পর্যন্ত প্রকাশিত হইয়াছে প্রথম তিনটি বর্ষ। আলোচনা-সমালোচনার বিস্তর কথামালা হয়তো চলিবে এই সন্দেশ-শতবর্ষে, তাহার পূর্বে এমন উদ্যোগ ব্যতিক্রমী, জরুরিও। ঠিক যেমন আগুন কী, তাহা বুঝাইতে কথার পরে কথা গাঁথা অপেক্ষা অনেক বেশি জরুরি একটি অগ্নিশলাকার প্রজ্জ্বলন। |
|
|
|
|
|