|
|
|
|
স্টেডিয়ামের উন্নয়নে উদ্যোগ বিশ্ববিদ্যালয়ে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামের উন্নয়নে অবশেষে উদ্যোগী হয়েছেন কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে সন্ধের পর বিশ্ববিদ্যালয়-চত্বর আলোকিত করার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই সেই কাজও শুরু হবে। দু’টি কাজের জন্য সব মিলিয়ে ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন উন্নয়ন-খাতে অর্থ দিয়েছিল। সেই বরাদ্দ থেকেই এই কাজগুলি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই কাজগুলি শুরু হয়ে যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি রয়েছে। নিজস্ব জমিতেই গড়ে উঠেছে এই প্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে খেলার মাঠ থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। বিদ্যাসাগরেও মাঠ রয়েছে। কিন্তু কোনও স্টেডিয়াম ছিল না। এত দিন সে-ভাবে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজই হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন স্টেডিয়ামে ইন্টার কলেজ, ইন্টার বিশ্ববিদ্যালয়-স্তরের খেলার ব্যবস্থা করতে হত কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্টেডিয়াম থাকবে নাই বা কেন? এ নিয়ে বারে বারেই প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। মাঝে-মধ্যে খেলার মাঠকে একটু সাজিয়ে-গুছিয়েই দায় সেরেছেন কর্তৃপক্ষ। কোনও ক্ষেত্রে পাশে একটি অস্থায়ী গ্যালারি করে স্টেডিয়ামের আকার দিতে চেয়েছেন। কিন্তু এ বার প্রকৃতপক্ষেই স্টেডিয়াম গড়ার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। দৌড় প্রতিযোগিতার জন্য মাঠে ঘাসের ৮টি লেন তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বাস্কেটবল খেলার কোর্ট, ব্যাডমিন্টন কোর্টও তৈরি হবে। প্রকৃত অর্থেই খেলার মাঠকে ঘিরে একটি স্পোর্টস-কমপ্লেক্স তৈরির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরিকাঠামোর সার্বিক উন্নয়নে ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ধাপে ধাপে আরও উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়-চত্বর আলোকিত করারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্রই আলো রয়েছে, এমন নয়। অনেক এলাকাই অন্ধকারে ডুবে থাকে। সন্ধের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী বা গবেষকরা অনেকেই থাকতে ভয় করেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী দিনে কাজকর্ম আরও বাড়বে। যত দিন যাবে ততই গবেষণার গুরুত্ব বাড়বে। স্বাভাবিক কারণেই রাতেও গবেষক ও ছাত্রছাত্রীদের আরও বেশি সময় দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু যদি বিশ্ববিদ্যালয়-চত্বর অন্ধকারেই ডুবে থাকে, তা হলে সন্ধের পরে থাকাই তো মুশকিল। তাই বিশ্ববিদ্যালয়-চত্বরের প্রতিটি রাস্তায়, মোড়ে-মোড়ে আলো দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই খাতে ৫ লক্ষ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শীঘ্রই বিশ্ববিদ্যালয়-চত্বরে দ্বিতীয় ছাত্রাবাস তৈরি হবে। স্বাভাবিক কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে রাতেও যাতায়াত বাড়বে। তা ছাড়াও বর্তমান উপাচার্য গবেষণার উপরে গুরুত্ব দিতে চাইছেন। অনেক রাত পর্যন্ত গবেষক-ছাত্রছাত্রীদেরও থাকতে হবে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়কে সুসজ্জিত করার পাশাপাশি সুরক্ষিত করারও প্রয়োজন রয়েছে। আলো থাকলে ছাত্রছাত্রী, গবেষকরা নিশ্চিন্তে ঘুরতে পারবেন। শীঘ্রই এই কাজও শুরু হয়ে যাবে বলে উপাচার্য জানান।
|
|
|
|
|
|