দক্ষিণ আফ্রিকা ২১৯-৪ (২০ ওভারে)
ভারত ৭১-০ (৭.৫ ওভার) |
আইপিএলের প্রস্তুতি হিসেবেই সবাই এই ম্যাচটাকে দেখছিল। প্রদর্শনী ম্যাচ, কিন্তু প্রতিযোগিতার আবহটা পুরোপুরি ছিল। এটাও দেখে নেওয়ার ব্যাপার যে আইপিএলের ঠিক আগে কে কী রকম অবস্থায় আছে। এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছর আর সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপের আগে টিম ইন্ডিয়ার এটাই শেষ ম্যাচ। সে দিক দিয়ে দেখলেও একটা তাৎপর্য তো থাকেই। কিন্তু একটা তিন ঘণ্টার ম্যাচের জন্য যেতে আসতে টিমের লাগছে ১৮ ঘণ্টা! এর চেয়ে তিন ম্যাচের একটা সিরিজ খেললে অনেক ভাল হত। শেষমেষ ম্যাচটাও বৃষ্টিতে ভেস্তে গেল। ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে ১১ রানে হারল ভারত।
ওয়ান্ডারার্সের উইকেটটা যা দেখলাম, বেশ ভাল টি-টোয়েন্টি উইকেট। এখানে ১৮০-১৯০ রান হওয়াটা একেবারেই অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু ২১৯ উঠে যাওয়াটা বেশি হয়ে গিয়েছিল। বল পড়ে ব্যাটে আসছিল, সহজেই স্ট্রোক খেলতে পারছিল ব্যাটসম্যানরা। টস জিতে ধোনি কেন ফিল্ডিং নিল, ঠিক বুঝতে পারিনি। সদ্য নিউজিল্যান্ড সফর থেকে সফল হয়ে ফিরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা টিমটা। সেই টিমের অনেককেই এই ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। সিনিয়রদের মধ্যে খেলল শুধু কালিস। ভারতীয়দের দক্ষিণ আফ্রিকায় পা রাখার ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত ম্যাচ, আবার কালিসকে সম্মান জানানোরও ম্যাচ। |
এই বয়সেও কী নিখুঁত কালিস! ওপেন করে ৪২ বলে ৬১ করে দিয়ে চলে গেল। সব ক’টা ক্রিকেটীয় শট। কালিসের ইনিংস নিশ্চয়ই আইপিএলের আগে নাইট রাইডার্স ভক্তদের উৎসাহিত করবে। রিচার্ড লেভি (৭ বলে ১৯) যে ভাবে শুরু করেছিল, বোঝাই যাচ্ছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে এ বার আইপিএল মাতাতে পারে। গৌতম গম্ভীরও বেশ ভাল শুরু করেছিল। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার সময় ৭.৫ ওভারে ভারত ৭১-০, গম্ভীর ২৮ বলে ৪৯ নট আউট। ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে খেলা শুরু না হয়ে ভারত শেষে ১১ রানে হারল।
কালিস আর ইনগ্রামের (৭৮) জুটি শক্ত ভিতের উপর ইনিংসটাকে দাঁড় করিয়ে দেয়। তারপর শেষ দিকে ভারতীয় বোলিংকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলল ওনটং আর মর্কেল। ওনটং করল ৭ বলে ২২ আর শেষ ওভারে নেমে মর্কেল ৩ বলে ১৬ নট আউট। প্রবীণ কুমারের দুটো, বিনয় কুমারের একটা ওভার বাকি থাকতেও শেষ ওভারে রায়নাকে বল দেওয়া হল কেন, সেই প্রশ্নটাও উঠছে। শেষ ওভারে বেধড়ক মার খেল রায়না। দিল ২৬ রান। তার চেয়েও বড় প্রশ্ন, দিন্দা কেন টিমে নেই। বিশেষত এশিয়া কাপে পাকিস্তান ম্যাচে অত ভাল বোলিংয়ের পর। পারফরম্যান্স করেও যদি টিমের বাইরে থাকতে হয় এবং প্রবীণ কুমার, বিনয় কুমারের মতো দু’জন একই ধরনের সুইং বোলার খেলিয়ে যাওয়া হয়, কিছু বলার নেই।
ভারতীয়দের ফিল্ডিং দেখেও বেশ হতাশ হলাম। অনেককে দেখেই মনে হচ্ছিল, খেলতে হয় বলে খেলছে। অস্ট্রেলিয়ায় দীর্ঘ সফর এবং এশিয়া কাপদুটোতেই ব্যর্থতার পরে টিমটা কোথায় দাঁড়িয়ে, তা দেখে নেওয়ার জন্য এই ম্যাচটাকেই দেখা হচ্ছিল। যা দেখা গেল, আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু নেই। |