টুকরো খবর
পাটুলিতে জমি বণ্টন বাতিল করায় বিতর্ক
আর্থিক দিক থেকে অনগ্রসর শ্রেণির জন্য পাটুলিতে জমি বণ্টন প্রক্রিয়া বাতিলের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বাম জমানায় পাটুলিতে আর্থিক ভাবে অনগ্রসরদের জন্য জমি বিলির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। সম্প্রতি কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)-র বোর্ডের বৈঠকে ওই প্রক্রিয়া বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিম বলে, “যাঁরা ওখানে জমির জন্য আবেদন করেছিলেন, আমরা তাঁদের সুদ-সহ টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তার বদলে ওখানে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আওতায় ফ্ল্যাট করে বিলি করব।” প্রাক্তন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী, সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্যের দাবি, “পাটুলিতে আর্থিক ভাবে অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে লটারির মাধ্যমে ২১৩টি প্লট বিলি করা হয়েছিল। ২০১১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি যাদবপুর স্টেডিয়ামে হাজার লোকের সামনে লটারি হয়েছিল। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে পরিবারগুলি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ল।” যদিও ফিরহাদ হাকিমের দাবি, আবেদনপত্র গ্রহণ করা হলেও লটারি হয়নি। নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর, গত বছর যখন লটারি হয়, তার পরেই বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় চূড়ান্ত তালিকা সরকারি ভাবে প্রকাশ করা যায়নি।

নোনাডাঙায় বস্তি উচ্ছেদ
সরকারি জমিতে হঠাৎ তৈরি হওয়া বস্তি তুলে দিল পুলিশ ও কেএমডিএ। শুক্রবার বাইপাস সংলগ্ন নোনাডাঙা এলাকায় ওই বস্তি উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। বাধা দিতে আসা ১০ জন মহিলাকে আটক করে পুলিশ। উচ্ছেদ চলাকালীন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ কিছু বস্তিতে আগুন লাগে। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বিকেল তিনটে নাগাদ অভিযান শেষ হয়। বিকেলেই আটক মহিলাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে তিলজলা থানা সূত্রে খবর। এ ব্যাপারে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “মাস তিনেকের মধ্যে ওই বস্তিটি গজিয়ে উঠেছে। অধিকাংশ ঝুপড়িতেই কেউ থাকে না। তা সত্ত্বেও ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবি তুলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছে।” ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মণীন্দ্র দত্ত বলেন, “ওই ঝুপড়ির অধিকাংশ মালিকের স্থানীয় এলাকায় ফ্ল্যাট আছে। এর প্রমাণপত্র আমাদের কাছে আছে।” অন্য দিকে, শুক্রবার হাওড়া স্টেশনের কাছে জি আর রোডে রাস্তায় বসা হকার সরাতে গিয়ে হকারদের হাতেই আক্রান্ত হন এক ট্রাফিক সার্জেন্ট। পুলিশ জানায়, দুপুরে টহল দেওয়ার সময়ে জি আর রোড ট্রাফিক গার্ডের ওসি বিপ্লব মণ্ডল দেখেন, হাওড়া স্টেশন লাগোয়া কলকাতা বাসস্ট্যান্ডের কাছে কিছু হকার রাস্তা জুড়ে বসেছে। বিপ্লববাবু তাঁদের উঠে যেতে বলেন। অভিযোগ, ওই সময়ে চার-পাঁচ জন হকার তাঁকে আক্রমণ করে এলোপাথাড়ি ঘুষি মেরে রাস্তায় ফেলে দেয়। অন্য ট্রাফিক কনস্টেবলরা ছুটে এসে দু’জন হকারকে ধরে ফেললেও বাকিরা পালায়। পুলিশ ওই দুই হকারকে আটক করেছে।

দম্পতির অপমৃত্যু
এক দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে কসবার রাজকৃষ্ণ রোড এলাকায় এক বাড়ি থেকে কল্যাণ রায় (৫৫) ও চন্দ্রা রায় (৫০) নামে ওই দম্পতির দেহ মেলে। পুলিশ জানায়, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন কল্যাণবাবু। পুলিশ জানায়, দম্পতির রেখে যাওয়া সুইসাইড নোটে ছিল পাঁচ জনের নাম। পুলিশ জেনেছে, অভিযুক্তেরা কল্যাণবাবুর কাছে টাকা পেতেন। শুক্রবার ওই দম্পতির ছেলে কৌশিক রায় পুলিশে অভিযোগ করেন, ওই পাঁচ পাওনাদারের চাপেই আত্মহত্যা করেছেন তাঁর বাবা-মা। তবে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।

রামপিয়ারিকে ‘হেনস্থা’
তৃণমূল নেতা রামপিয়ারি রামকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল তাঁরই ওয়ার্ডের এক যুবনেতার বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকার কোলবার্থ রোডে। অভিযুক্ত অখিলেশ সিংহ ও তাঁর সঙ্গীরা পলাতক। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত গত শনিবার, ২৪ মার্চ। ওই দিন কোলবার্থ রোডে দু’টি ট্রেলারের সংঘর্ষে এক মহিলা ও শিশুর মৃত্যু হয়। এর পরে ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রামপিয়ারিবাবু ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশকে সেখানে বাম্পার তৈরির অনুরোধ জানান। ঘটনাচক্রে, অখিলেশ ওই ওয়ার্ডেরই তৃণমূলের যুব সম্পাদক। ডিসি (বন্দর) মেহবুব রহমান বলেন, “ডিসি ট্রাফিকের নির্দেশে এ দিন ওই রাস্তায় বাম্পার বসানোর কাজ হওয়ার কথা ছিল। পুরকর্মীরাও সেখানে ছিলেন।” পুলিশ জানায়, রামপিয়ারিবাবু ছাড়াও অখিলেশ ও তাঁর সঙ্গীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অখিলেশ তাঁর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ রামপিয়ারিবাবুর। তাঁকে ধাক্কা দিয়ে পাঞ্জাবি ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদে রামপিয়ারির ঘনিষ্ঠ লোকেরা প্রায় এক ঘণ্টা পশ্চিম বন্দর থানা এলাকার অন্তর্গত সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোড অবরোধ করেন। এর জেরে ওই এলাকায় যান-চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।

‘প্রতারক’ গ্রেফতার
ভুয়ো বিল দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম নীলকণ্ঠ চট্টোপাধ্যায়। বাড়ি আসানসোলে। পুলিশ সূত্রের খবর, গত ৩ সেপ্টেম্বর একটি প্রযোজনা সংস্থার তরফে অংশুমান প্রত্যুষ নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছিলেন, একটি কেটারার সংস্থা তাঁকে বিভিন্ন ভুয়ো বিল দিয়ে ৫ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা হাতিয়েছে। তদন্তে জানা যায়, নানা হোটেলের নাম করে ও সই জাল করে ওই টাকা নেওয়া হয়। নীলকণ্ঠ ওই কেটারার সংস্থার মালিক বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় অন্য এক জড়িতকে খুঁজছে পুলিশ।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.