|
|
|
|
নিয়োগ পরীক্ষা ৪ এপ্রিল |
অলচিকিতে পড়াতে প্রাথমিকে পার্শ্বশিক্ষক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মাওবাদী প্রভাবিত এলাকার প্রাথমিক স্কুলে অলচিকি লিপিতে পঠনপাঠনের জন্য পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল সরকার। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে এই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে বুধবার জঙ্গলমহলের বিডিও-দের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) উত্তম পাত্র বলেন, “পরীক্ষার মাধ্যমে এই পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ করা হবে। আগামী ৪ এপ্রিল ৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে।”
অলচিকি লিপিতে পঠনপাঠন চালুর দাবি দীর্ঘদিনের। কিছু কিছু স্কুলে তা চালুও হয়েছে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত ৬টি কলেজেও অলচিকিতে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাঁওতালি বিভাগ খোলা হয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক থেকে অলচিকিতে পাঠনপাঠনের বন্দোবস্ত না থাকলে ছাত্রছাত্রীরা বঞ্চিতই থেকে যাবে বলে বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠন বার বার প্রশাসনকে জানিয়েছে। সেই মতো সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, পঞ্চাশ শতাংশের বেশি আদিবাসী ছাত্রছাত্রী রয়েছে, এমন স্কুলগুলিতে অলচিকি লিপিতে পঠনপাঠন চালু করা হবে। কিন্তু পড়াবেন কারা? অধিকাংশ শিক্ষকই তো সাঁওতালি ভাষা জানেন না। একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, কয়েকটি স্কুলে স্থায়ী শিক্ষকদের মধ্যে কয়েক জন মাত্র অলচিকি জানেন। সেই স্কুলগুলিতে অলচিকিতে পঠনপাঠন চালু করা গিয়েছে। বাকি স্কুলগুলিতে শিক্ষক প্রয়োজন। প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনই স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। কারণ, সরকার নানা দিক দিয়ে আর্থিক সঙ্কটে রয়েছে। তাই আপাতত কাজ চালানোর জন্য পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জঙ্গলমহলের মাওবাদী প্রভাবিত ১১টি ব্লকে ৪৪৮ জন পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্পের আওতায় এই শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে। ২৩ মার্চের মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে বলা হয়েছিল। আবেদনকারীর মধ্যে থেকে মেধার ভিত্তিতে এক হাজার জনকে পরীক্ষায় ডাকা হচ্ছে। ৪ এপ্রিল লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। মেদিনীপুর, গোপীবল্লভপুর-১, নয়াগ্রাম, বেলপাহাড়ি ও ঝাড়গ্রামে ২টি পরীক্ষাকেন্দ্র করা হচ্ছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, “মেধার ভিত্তিতে এই নিয়োগ হবে।” প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে তিন বছরের জন্য এই শিক্ষকদের নিয়োগ করা হবে। তিন বছর পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ওই শিক্ষকদের পুনর্নবীকরণ করা হবে কি না। এই শিক্ষক নিয়োগের পর প্রাথমিকে অলচিকি লিপিতে পঠন পাঠনের ক্ষেত্রে আর ততটা সমস্যা হবে না বলেই মনে করছে জেলা প্রশাসন। |
|
|
|
|
|