দলবদলে এখনও পর্যন্ত এ বারের সেরা চমক। আট বছর ডেম্পোতে খেলার পরে আগামী মরসুমে কলকাতায় পা রাখছেন র্যান্টি মার্টিন্স সোলেয়ে।
আরও বড় চমক, ইস্টবেঙ্গলের থাবা থেকে আই লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা র্যান্টি কে ছিনিয়ে নিল প্রয়াগ ইউনাইটেড। ক্লাব কর্তারা চূড়ান্ত কথা আদায় করে নিলেন নাইজিরিয়ান স্ট্রাইকারের কাছে। আই লিগের শেষেই সরকারি ভাবে এ কথা ঘোষণা হবে।
মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল যে আর ভারতীয় ফুটবলে শেষ কথা নয়, তা গত কয়েক বছরেই প্রমাণ করেছে গোয়ার ক্লাবগুলো। বহু তারকা দুই প্রধানের মোহ ছেড়ে চলে গিয়েছেন গোয়া বা মুম্বইয়ে। র্যান্টি র দলবদলে তৈরি হল নতুন তাৎপর্য। বাইরের সেরা তারকারা কলকাতাতেই দুই প্রধানের বাইরের কোনও ক্লাবকে গন্তব্য ভাবছেন। দুই প্রধানের মতো এখানে সমর্থকদের গালাগাল শুনতে হয় না বলে। দুই প্রধানের সঙ্গে টাকাতেও টেক্কা দিচ্ছে প্রয়াগ। |
র্যান্টি র সঙ্গে কথা বলতে গোয়া উড়ে গিয়েছিলেন মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন তারকা কৃষ্ণেন্দু রায়। জাতীয় দলের প্রাক্তন ডিফেন্ডার কৃষ্ণেন্দু এখন প্রয়াগের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার। তিনি ও ক্লাবকর্তা নবাব ভট্টাচার্য দিন তিনেক গোয়ায় ছিলেন র্যান্টি র জন্যই। ডেম্পো কোচ আর্মান্দো কোলাসো বলেছিলেন, “আমাদের সঙ্গে কথা না বলে ও ছাড়বে না।” ডেম্পো সূত্রের খবর হল, তাঁরা এ বার হাল ছেড়ে দিয়েছেন। হাল ছেড়ে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গলও। প্রয়াগ কর্তারা আশ্বাস পেয়ে গিয়েছেন র্যান্টি র। নাইজিরিয়ান তারকা কলকাতা আসছেন আজ, মোহনবাগানের সঙ্গে খেলতে। তিনি আই লিগ শেষের আগে কিছুতেই এ নিয়ে মন্তব্যে রাজি নন। যেমন মুখে কুলুপ কৃষ্ণেন্দু বা নবাবের।
শুধু র্যান্টি তেই থেমে নেই প্রয়াগ ইউনাইটেড। তারা টোলগের জন্যও প্রবল লড়াইয়ে আছে দুই প্রধানের সঙ্গে। পুরনো বিদেশিদের মধ্যে তারা বেলো রজ্জাক, ইয়াকুবুকে ছাড়ছে না। ইয়াকুবুর সঙ্গে একই দলে খেলতে র্যান্টি নিজে খুব আগ্রহী। অর্ণব মণ্ডল চলে গেলে গৌরমাঙ্গি সিংহের দিকেও হাত বাড়াবে তারা। এখানে আবার তাদের লড়াই মোহনবাগানের সঙ্গে, যেমন র্যান্টি নিয়ে লড়াই ছিল ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে। |