টুকরো খবর
জেলা গ্রন্থাগারে বিক্ষোভ
সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারগুলিতে কী কী সংবাদপত্র রাখা যাবে, রাজ্য সরকার সেই নিয়ে নির্দেশিকা জারি করায় ক্ষুব্ধ সাধারণ পাঠকেরা। তাঁদের বক্তব্য, মানুষের সব কাগজ পড়ার অধিকার রয়েছে। সেখানে কোনও সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে না। মেদিনীপুর শহরের বড়বাজারের বাসিন্দা সুদীপ রুইদাস সময় পেলেই শহরের একটি গ্রন্থাগারে গিয়ে সংবাদপত্র পড়তেন। তাঁর কথায়, “গ্রন্থাগারে আর বহুল প্রচারিত কাগজ থাকবে না, এটা ভাবতেই পারছি না। সব কাগজ পড়ার অধিকার সব মানুষেরই থাকা উচিত।” এ দিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে মেদিনীপুরে জেলা গ্রন্থাগারে গিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায় ছাত্র পরিষদ। সংগঠনের কর্মী-সমর্থকেরা এ দিন কয়েকটি কাগজ নিয়ে গিয়ে পাঠককক্ষেও রেখে আসেন। সেই সঙ্গে সই সংগ্রহও করেন। সাধারণ পাঠকেরা এগিয়ে এসে প্রতিবাদপত্রে সই করেন। ছাত্র পরিষদের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি মহম্মদ সইফুল বলেন, “রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক। অবিলম্বে এই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করা উচিত।”

বিদ্যুৎ মাসুল বাড়ায় জেলা জুড়ে বিক্ষোভ
নিজস্ব চিত্র।
লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ মাসুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিদ্যুৎ দফতরে বিক্ষোভ দেখাল সারা বাংলা বিদ্যুৎ-গ্রাহক সমিতি। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর শহরে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়। পাশাপাশি, জেলার পিংলা, বেলদা, মোহনপুর, খড়্গপুর, সবং প্রভৃতি এলাকাতেও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে বলে সমিতি সূত্রে খবর। এ দিন মেদিনীপুর শহরের কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন সমিতির জেলা সম্পাদক জগন্নাথ দাস, শহর সম্পাদক দিলীপ দাস, দীপক বসু, শ্যামল দাস প্রমুখ। বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির বক্তব্য, কয়লার দাম বৃদ্ধি ও বিদ্যুৎ-বণ্টন কোম্পানি লোকসানে চলছে বলে মিথ্যে কথা বলে গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। বর্তমান রাজ্য সরকার বিদ্যুৎতের মাশুল বৃদ্ধি করা হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু, গত দেড় মাসে ইউনিট-প্রতি ১ টাকা ২৬ পয়সা মাসুল বাড়ানো হয়েছে। এর সঙ্গে তথাকথিত আগের বকেয়া হিসাবে ৬৬ পয়সা অতিরিক্ত দিতে হচ্ছে। এই মাসুল বৃদ্ধি নজিরবিহীন। সমিতির শহর সম্পাদক দিলীপ দাস বলেন, “পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের মতো বর্তমান সরকারও বণ্টন কোম্পানি লোকসানে চলছে বলে গল্প শোনাচ্ছে। পশ্চিমবাংলার কোনও বিদ্যুৎ-বণ্টন সংস্থা লোকসানে চলছে না।” পাশাপাশি, এখন থেকেই যে ভাবে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে লোডশেডিং শুরু হয়েছে, সেই নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সমিতি। তাদের বক্তব্য, এর ফলে চাষের ক্ষতি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। রাজ্য সরকার দাবি না-মানলে ১০ এপ্রিল মহাকরণ অভিযান হবে বলেও সমিতি জানিয়েছে।

স্বামীকে খুনের অভিযোগে ধৃত
প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুন করার অভিযোগে স্ত্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম নয়নতারা বেগম। বৃহস্পতিবার দুপুরে চন্দ্রকোনা থানার ক্ষীরপাই শহরে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত শনিবার চন্দ্রকোনার ন্যাকোড়বাগের একটি ফাঁকা মাঠ থেকে মেহেবুব আলমের (৩৭) দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মেহেবুব আলমের স্ত্রী নয়নতারার সঙ্গে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা সুকুমার রামের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। ঘটনা জানাজানি হওয়ায় সংসারে শুরু হয়েছিল অশান্তি। মেহেবুব তাঁদের সম্পর্কের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ানোয় সুকুমার ও নয়নতারা খুনের ছক কষে বলে দাবি পুলিশের। গত বৃহস্পতিবার গ্রাম-সংলগ্ন মাংরুলে জলসা দেখে বাড়ি ফিরছিলেন মেহেবুব। সেই সময়েই সুকুমার ও নয়নতারা মিলে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ। তাতেই মেহেবুবের মৃত্যু হয়। শনিবার বিকেলে উদ্ধার হয় মৃতদেহ। সুকুমারকে সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারাই বেধড়ক মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তাকে জেরা করেই নয়নতারার খোঁজ পায় পুলিশ।

দুর্ঘটনায় মৃত্যু
মোরাম বোঝাই লরির নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মাঝবয়সী ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় অবশ্য জানতে পারেনি পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর, খড়্গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত পাঁচরুলিয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, লরিটি ঝাড়গ্রামের দিক থেকে খড়্গপুরের দিকে আসছিল। সেই সময় হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। রাস্তার পাশেই ছিলেন ওই ব্যক্তি। লরির নীচে চাপা পড়েই তাঁর মৃত্যু হয়।

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য জওয়ানের
নিজস্ব চিত্র।
চন্দ্রকোনার গ্রামে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অন্ত্যেষ্টি সম্পন্ন হল মহারাষ্ট্রের গড়ছিরৌলিতে মাওবাদী হামলায় নিহত সিআরপিএফ জওয়ান অশোককুমার হাজরার। বুধবার রাত ১২টা নাগাদ তাঁর দেহ এসে পৌঁছয় চন্দ্রকোনা থানায়। বৃহস্পতিবার সকালে আনা হয় আগর গ্রামে। মৃতদেহ নিয়ে আসেন সিআরপি-র অফিসারেরা। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত, পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠি, ঘাটালের মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারী।

দুর্ঘটনা, মৃত ১
মোরাম বোঝাই লরির নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মাঝবয়সী ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় অবশ্য জানতে পারেনি পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর, খড়্গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত পাঁচরুলিয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, লরিটি ঝাড়গ্রামের দিক থেকে খড়্গপুরের দিকে আসছিল। সেই সময় হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। রাস্তার পাশেই ছিলেন ওই ব্যক্তি। লরির নীচে চাপা পড়েই তাঁর মৃত্যু হয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.