টুকরো খবর |
ভোট নেই তো বিধিভঙ্গ কীসে, বিস্মিত হাইকোর্ট |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
দক্ষিণেশ্বর হীরালাল কলেজ (মহিলা)-এর ব্যাপারে রাজ্যের শিক্ষা অধিকর্তার এক নির্দেশ নিয়ে বৃহস্পতিবার বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। গ্রুপ-ডি পদে কর্মচারী নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি তপেন সেন রায় দিতে গিয়ে মন্তব্য করেন, “কোনও শিক্ষা অধিকর্তা যে এমন নির্দেশ পাঠাতে পারেন, তা ভাবাও যায় না।” ঘটনাচক্রে রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পরে মন্ত্রী মদন মিত্র ওই কলেজেরই পরিচালন সমিতির সভাপতি হয়েছেন। ওই কলেজে গ্রুপ-ডি পদে কর্মচারী নিয়োগের জন্য ২০১০ সালে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার হয় ২০১১-র মার্চে। সফল তিন জন কাজে যোগ দেন ২০১১ সালের ১৯ মে। শিক্ষা অধিকর্তা গত ২১ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ চিঠি দিয়ে কলেজকে জানিয়ে দেন, ওই তিন জন কর্মীকে চাকরির অনুমোদন দেওয়া যাবে না। কারণ তাঁদের নিয়োগে নির্বাচন বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে। প্রতিকার চেয়ে ওই তিন তিন গ্রুপ-ডি কর্মী হাইকোর্টে মামলা করেন। আবেদনকারীদের আইনজীবী এক্রামুল বারি বলেন, “২০১০ সালে রাজ্যে বা দেশে কোনও নির্বাচন হয়নি। ২০০৯ সালে লোকসভা এবং ২০১১ সালে বিধানসভার নির্বাচন হয়েছে। তাই ২০১০ সালের বিজ্ঞাপন অনুযায়ী কর্মীদের কাজে নিয়োগের বিষয়টি কোন নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন করল, তা বুদ্ধির অগম্য।” বিচারপতি তপেন সেন শিক্ষা অধিকর্তার নির্দেশ স্থগিত করে দেন। ফলে ওই তিন গ্রুপ-ডি কর্মীর কাজ চালিয়ে যেতে আপাতত আর কোনও বাধা থাকল না।
|
পুর-প্রধানের জামিন নিয়ে শুনানি পিছোল |
মামলার কেস ডায়েরি জমা না-পড়ায় বৃহস্পতিবার রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তাপস চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানি ৪ এপ্রিল পিছিয়ে দিল বারাসত আদালত। সরকার পক্ষের আইনজীবী শান্তময় বসু জানান, ঘটনার তদন্তের ভার সিআইডি হাতে নেওয়ায় কেস ডায়েরি জমা দিতে দেরি হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি ধর্মঘটের দিন রাজারহাটের একটি স্কুল খোলাকে কেন্দ্র করে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ হয়। রাজারহাট-নিউ টাউনের বিধায়ক সব্যসাচী চক্রবর্তীর দেহরক্ষী স্বপন মৃধার রিভলভার ছিনতাই এবং এলাকায় গোলমাল করার অভিযোগে দু’টি মামলা হয় তাপসবাবুর বিরুদ্ধে। তার মধ্যে একটি মামলায় তাপসবাবু আগাম জামিন পেলেও রিভলভার ছিনতাইয়ের মামলায় এখনও তিনি জামিন পাননি। বারাসত আদালতে এ দিন সেই মামলাতেই তাপসবাবুর জামিনের আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী নিশীথ অধিকারী। তিনি আদালতে জানান, তাপসবাবু জনপ্রতিনিধি হওয়া সত্ত্বেও এই মামলার জন্যই সাংবিধানিক দায়দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। এতে পুরসভার কাজকর্মের ক্ষতি হচ্ছে। এর পরে জেলা বিচারক অসীম মণ্ডল পরবর্তী শুনানির দিন জানিয়ে দেন।
|
গণছুটি নয় বিমানবন্দরে |
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অফিসার সংগঠন গণছুটির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। দু’টি বিভাগ মিশে যাওয়ার পরেও সুযোগ-সুবিধা থেকে একটি বিভাগের অফিসারদের বঞ্চিত করার অভিযোগ তুলে আজ, শুক্রবার গণছুটির ডাক দেওয়া হয়। ওই ছুটি নিলে উড়ান চলাচল ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এয়ারপোর্ট অথরিটি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (এএওএ)-এর কলকাতা শাখার সম্পাদক পার্থসারথি বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দিল্লি থেকে মুখ্য শ্রম কমিশনার (সিএলসি) এস কে মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে গণছুটি থেকে পিছিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার দিল্লিতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডেকেছেন সিএলসি। বিমান মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে শনিবার কথা হবে। পার্থবাবু বলেন, “গণছুটি না-হলেও রিলে অনশন, ‘নিয়ম মেনে কাজ’ আগের মতো চলবে।”
|
ছিনতাইয়ের চেষ্টা |
চালককে মারধর করে ট্যাক্সি ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হল দুই যুবক। কলকাতা পুলিশের ডিসি (ইএসডি) সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ধৃত বিনায়ক নন্দী ও চিরন্তন বিশ্বাসের বাড়ি যথাক্রমে বারাসত ও খিদিরপুরে। পুলিশ জানায়, বুধবার রাত ১০টা নাগাদ একবালপুর থেকে বিমানবন্দর এলাকায় যাবে বলে ট্যাক্সিতে ওঠে বছর আঠাশের দুই যুবক। লেকটাউনে পৌঁছে তারা পাতিপুকুর যেতে বলে। অভিযোগ, আপত্তি জানালে চালকের গলায় রুমালের ফাঁস দিয়ে মারধর করে। ১২০০ টাকা, মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়। রাজা মণীন্দ্র রোডের মোড়ে দত্তবাগানে গাড়ি দাঁড় করান চালক। চিৎকারে এগিয়ে আসেন কতর্ব্যরত পুলিশকর্মী। চিরন্তন পালালেও বিনায়ক ধরা পড়ে। জেরায় অন্য যুবকের ঠিকানা মেলে। পুলিশ জানায়, মাদকাসক্ত ওই দু’জনের কাছে টাকা ও মোবাইল মিলেছে।
|
আদালতের নির্দেশ |
শিয়ালদহ আদালত চত্বরের চারপাশে হকার বসার অনুমতি দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। মাস দুয়েক আগে শিয়ালদহ আদালতের মুখ্য বিচারক কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জে এন পটেলকে একটি চিঠি লিখে বলেন, শিয়ালদহ আদালতের চারপাশে অনেক হকার রয়েছেন যাঁদের দোকানে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয় আদালত থেকে। ফলে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকার বিদ্যুতের বিল দিতে হয় শিয়ালদহ আদালতকে। প্রধান বিচারপতি এ ব্যাপারে একটি স্বতঃপ্রণোদিত জনস্বার্থের মামলা চালু করেন। এর পরেই সরকারি নির্দেশে পুলিশ ওই হকারদের উচ্ছেদ করে। সম্প্রতি কয়েক জন হকার কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করে বলেন, উচ্ছেদ হওয়ার পরে তাঁরা প্রায় অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত সরকারপক্ষ ও আবেদনকারীদের বক্তব্য শোনার পরে হাইকোর্টের আইনজীবী অলক ঘোষের কাছে জানতে চান এই হকারদের বসার অনুমতি কে দিয়েছিল, বা উচ্ছেদের অনুমতি কে দিয়েছে? অলকবাবু বা সরকারপক্ষের আইনজীবী বিচারপতির প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি। এর পরে বিচারপতি মামলাটি খারিজ করেন।
|
৩ ডাকাত ধৃত |
দমদমের প্রমোদনগরের একটি বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে তিন সশস্ত্র ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম শঙ্কর দেবনাথ, মিলু দেবনাথ ও দিলীপ দাস। শঙ্কর ও মিলুর বাড়ি চাকদহে এবং দিলীপের বাড়ি দমদমের রবীন্দ্রনগরে। তাদের কাছে পাইপগান, ১৪ রাউন্ড গুলি, দেড় কেজি বোমার মশলা, ভোজালি ও কিছু বাংলাদেশি টাকা পাওয়া গিয়েছে। গোপান সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাড়িতে হানা দেয়। পুলিশের দাবি, উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার বিভিন্ন জায়গায় তারা বেশ কয়েকটি ডাকাতি করেছে বলে জেরায় স্বীকার করেছে ধৃতেরা।
|
দম্পতির অপমৃত্যু |
কসবা থানা এলাকার রাজকৃষ্ণ ঘোষ রোড এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম কল্যাণ (৫৫) ও চন্দ্রা রায় (৫০)। চন্দ্রাদেবীর মৃতদেহ মিলেছে ঝুলন্ত অবস্থায়। কল্যাণবাবুর বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।
|
দুর্ঘটনায় মৃত্যু |
বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক পথচারীর। বুধবার সন্ধ্যায়, চিৎপুরের টালা সেতুতে। মৃতের নাম মনোজ দাস (৩৭)। বাড়ি দমদম রোডের গোখানা এলাকায়। পুলিশ জানায়, সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ একটি বাসের ধাক্কায় জখম হন মনোজবাবু। আরজিকরে তাঁর মৃত্যু হয়। বাস-সহ চালক পলাতক।
|
তলিয়ে গেল ছাত্র |
স্নান করতে নেমে বৃহস্পতিবার গঙ্গায় তলিয়ে গেল এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পুলিশ জানায়, তার নাম নিরঞ্জন পটুয়া। বাড়ি এন্টালির সুরেশ সরকার রোডে। নিরঞ্জন বাণিজ্য শাখার ছাত্র ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রিভার ট্রাফিক শাখার কর্মীরা গঙ্গায় লঞ্চ নিয়ে তল্লাশি চালান। কিন্তু নিরঞ্জনের খোঁজ মেলেনি। পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন চৈতি ছট পুজো উপলক্ষে ভোর ৬টা নাগাদ কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে স্নান করতে গিয়েছিল নিরঞ্জন। আচমকাই জলে তলিয়ে যায় সে। |
|