কূটনৈতিক হস্তক্ষেপে মুক্তি পেলেও এখন চরম আর্থিক সঙ্কটে দিন কাটাচ্ছেন দুই ভারতীয় ব্যবসায়ী দীপক রহেজা ও শ্যামসুন্দর অগ্রবাল। দীপক জানান, খাবার কেনা বা হোটেল ভাড়া করে থাকার মতো টাকাও তাঁদের কাছে নেই। অথচ বার বার আবেদনের পরেও ভারতীয় দূতাবাসের কাছ থেকে কোনও সাহায্য মিলছে না। ফলে গত কাল থেকে তাঁরা অনশন করছেন। এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের দেশে ফেরানো না হলে আত্মহত্যা করার হুমকিও দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমকে ই-মেলে আজ তাঁরা এই কথা জানান।
গত ডিসেম্বরে, এই দুই ব্যবসায়ীকে লক্ষাধিক টাকার দেনার মধ্যে রেখে পালিয়ে যায় তাঁদের সংস্থার মালিক। এর পর স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাঁদের আটকে রাখেন। তিন মাস পর ভারত সরকারের হস্তক্ষেপে তাঁরা ছাড়া পান। কিন্তু চিনে তাঁদের নামে মামলা চলছে বলে ভারতে ফিরতে পারছেন না তাঁরা।
ওই দুই ব্যবসায়ীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে বিষয়টি নিয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রী ইয়াং জিয়েচির সঙ্গে আলোচনা করেন বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ।
কিন্তু চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের নির্দেশ মতো স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দেনা না মেটানো অবধি ওই দুই ব্যবসায়ীকে ফেরত পাঠানো যাবে না। ভারতীয় দূতাবাসের এক অফিসার জানান, ওই দুই ব্যবসায়ীকে হাতখরচ দিয়ে ভিসার পুনর্নবীকরণ করতে ইয়ুতে পাঠানো হয়েছে।
|
নরওয়ের শিশুদের দায়িত্ব কাকাকেই দেওয়ার সুপারিশ
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
নরওয়ের দুই শিশুকে তাদের কাকা অরুণাভাস ভট্টাচার্যের হাতে তুলে দেওয়ার সুপারিশ করল সে দেশের শিশু কল্যাণ দফতর। তবে, এই বিষয়ে ১৭ এপ্রিল নরওয়ের স্ট্যাভেঞ্জার জেলা আদালত তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে। এ দিকে, জুনে ওই শিশুরা ভারতে ফিরতে পারেএমন এক সম্ভাবনার কথা আজ লোকসভায় জানান বিদেশ দফতরের প্রতিমন্ত্রী প্রিনীত কৌর। এক প্রশ্নের জবাবে প্রিনীত বলেন, “নরওয়ের উপরে চাপ রাখা হচ্ছে। আশা করি, জুনেই আমরা ওদের এ দেশে দেখতে পাব।” শিশুদের ফেরানোর প্রসঙ্গে বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজ আজ বলেন, “এই ঘটনার প্রতিবাদে নরওয়ের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত ভারতের।” এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী এবং সিপিএম সাংসদ রামচন্দ্র ডোম, সইদুল হক ও পি করুণাকরণ। |