পুজো বন্ধ ছিল ৭৪ বছর। সেই পুজো ফের শুরু হল বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দির প্রাঙ্গণে। শুরু হল বাসন্তী দুর্গার আরাধনা। বুধবার ছিল পুজোর ষষ্ঠী। মন্দির তাই সেজে উঠেছিল রঙবেরঙের নানা সাজে। ভক্তদের মধ্যে মহা সমারোহে বিলি করা হয় দেবীর প্রসাদ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্দিরে গিয়ে দেখা গেল, তখনও দেবীর অন্নভোগের জন্য প্রতীক্ষা করছেন অনেকে। হাতে হাতে ঘুরছে দেবীর পুজোর নির্ঘণ্ট। তাতে লেখা, দেবীর দোলায় আগমন আর গজে গমন। সব মিলিয়ে চার দিকে একটা পুজো পুজো গন্ধ। যেমনটা দেখা যায় সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে। রামচন্দ্রের অকাল বোধনের দুর্গোৎসবে। |
বর্ধমানের নগর অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দিরের পাশে যে ধনেশ্বরী মন্দির রয়েছে, সেখানে দীর্ঘ দিন ধরেই চলছে এই বাসন্তী দুর্গাপুজো। আবার, পুজো টানা চলছে ছোটনীলপুরের ভারত সেবাশ্রমেও। কিন্তু দেবী সর্বমঙ্গলার মন্দিরে এই পুজো শুরুর আমেজই যেন আলাদা। মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক আশিস দাশগুপ্ত বলেন, “রাজাদের হাতে এই মন্দিরের পুজোর দায়িত্ব থাকার সময় এখানে নিয়মিত বাসন্তী পুজো হত। কিন্তু বর্ধমানের শেষ রাজা উদয় চন্দ জমিদারি প্রথা বিলোপের পরে ট্রাস্ট গঠন করে যখন মন্দিরের দায়িত্ব সেই ট্রাস্টের হাতে তুলে দেন, তখনই পুজো বন্ধ হয়ে যায়। সেটা ফিরিয়ে আনতে আমাদের টানা ৭৩ বছর অপেক্ষা করতে হল।”
মন্দিরের পুরোহিত অরুণকুমার ভট্টাচার্য বলেন, “এই পুজো চালুর উদ্দেশ্য, ভক্তদের মন্দিরে টেনে আনা। এই পুজো উপলক্ষে এর পরের বছর থেকে আমাদের মন্দির চত্বরে প্রচণ্ড ভিড় হবে, সেটাই আশা করা হচ্ছে।” সম্ভব হলে পরের বছর থেকে ঘটা করে মন্দিরে নবরাত্রী উৎসবও পালিত হবে বলে জানিয়েছেন আশিসবাবুরা। কলকাতা-সহ রাজ্যের নানা জেলা থেকে ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছেন বহু ভক্ত। |