|
অপরিবর্তিত রাখা হোক |
হাওড়া থেকে রাত ৯টা ২০ মিনিটের বর্ধমান লোকাল (কর্ড) ট্রেনটির সময়সূচি হঠাৎই পরিবর্তন করে ৯টা ৪২ মিনিট করা হয়েছে। এই রুটে আগের ট্রেনটি হাওড়া থেকে ছাড়ে ৮টা ৪৮ মিনিটে। ৯টা ২০ মিনিটের ট্রেনটির সময়সূচি পরিবর্তন করায় যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। পূর্ব রেলের এই শাখায় ডানকুনি, বারুইপাড়া, কামারকুণ্ডু-সহ বহু স্টেশন আছে, যেখানে নেমে যাত্রীরা বাস ধরে দূরদূরান্তে বাড়ি ফেরেন। ট্রেনের সময় পিছিয়ে দেওয়ায় এই সব যাত্রীরা পড়েছেন ফাঁপরে। রাতের শেষ বাস চলে যাওয়ায় তাঁদের মাথায় হাত। রেল কর্তৃপক্ষ ট্রেনটি পূর্ব নিধার্রিত সময়ে চালালে এই সব মানুষ উপকৃত হবেন।
কাজি আবু তোরাব। বাঁদপুর, হুগলি।
|
বেহাল সেতু সংস্কার হোক |
ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত উত্তর ঝাঁপরদহ পঞ্চায়েত এলাকায় রাজাপুর খালের উপরে কাঠের সেতুটির জরাজীর্ণ দশা। এই সেতুর এক পাড়ে চকহরি প্রাথমিক স্কুলে প্রায় দু’শো পড়ুয়া যাতায়াত করে। চকহরি গ্রামের মানুষ ছাড়াও সেতুটি ব্যবহার করেন মহিষনালা ও মহিষগোট গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। কিন্তু ভগ্নপ্রায় সেতুটির উপর দিয়ে যাতায়াতের সময়ে যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। সেতু-সংলগ্ন রাস্তাও বেহাল। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
সোমনাথ চক্রবর্তী। উত্তর ঝাঁপরদহ, ডোমজুড়।
|
সেতুর পাশে রেলিং চাই |
হাওড়ার তুলসিবেড়িয়া থেকে উলুবেড়িয়া রাস্তার মাঝে অভিরামপুর। এই রাস্তার দু’দিকে অনেক ছোটবড় কারখানা আছে। রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি দিন বহু লরি, বাস, অটো যাতায়াত করে। অভিরামপুরে একটি ঢালাই সেতু আছে। কিন্তু তার দু’দিকে কোনও রেলিং নেই। ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটেছে। আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা আছে যে কোনও মুহূর্তে। কর্তৃপক্ষ নজর দিন।
দীপঙ্কর মান্না। আমতা, হাওড়া।
|
গাছ কাটা বন্ধ হবে কি |
বেলুড় স্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মের পাশে কয়েকটি গাছ গত মাস ছ’য়েক ধরে মৃত দাঁড়িয়ে। কয়েকটি প্ল্যাটফর্মের ছাউনি সম্প্রসারণের জন্য যে কাজ চলছে, তাতেও অনেকগুলি গাছ কাটা পড়বে। গাছগুলি যে ভাবে মৃত্যুর প্রহর গুনছে, তা দেখে খুবই কষ্ট হয় বহু নিত্যযাত্রীর। রেল ও বন দফতরকে বিষয়টি দেখার অনুরোধ জানাই।
— লক্ষ্মণ সাঁতরা। দাদপুর, হুগলি।
|
মাঠের দেখভাল |
হাওড়া জেলার অন্তগর্ত ঘোলা গ্রামের ঐতিহ্যমণ্ডিত একটি ফুটবল মাঠ আছে। মাঠটি দামোদর নদের পশ্চিম পাড়ে। প্রায় প্রতি বছরই বিধ্বংসী বন্যায় এই মাঠের বিশেষ ক্ষতি হয়। অবিলম্বে একে রক্ষা না করলে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
সুনীল ঘোষ। ঘোলা, হাওড়া।
|
রেলযাত্রীদের স্বার্থে সরানো হোক গ্যারাজ |
ভদ্রেশ্বর স্টেশনের পূর্ব দিকের স্টেশন রোড থেকে রেলের টিকিট ঘর পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তাটির দু’ধারে সাইকেল ও মোটর বাইক গ্যারাজ আছে। এর ফলে ওই রাস্তা দিয়ে একটি রিকশা গেলেও হাঁটা মুশকিল হয়ে পড়ে। ট্রেনের টিকিট কেটে ট্রেন ধরেত গিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। শুধু তা-ই নয়, যত দিন যাচ্ছে সাইকেল, বাইক রাখার জন্য আরও বেশি জায়গা নিজেদের দখলে নিয়ে নিচ্ছেন গ্যারাজ মালিকেরা। রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, যাত্রীদের অসুবিধার কথা ভেবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিন।
— কালীশঙ্কর মিত্র। জগদ্ধাত্রীতলা রোড, ভদ্রেশ্বর।
|
জল, আলোর ব্যবস্থা হোক |
আশির দশকে গঠিত হয়েছিল উলুবেড়িয়া পুরসভা। প্রথমে ২৯টি এবং পরে ২৯টি ওয়ার্ড তৈরি হয়। দীর্ঘ দিন বামফ্রন্টের দখলে থাকার পরে এ বার তৃণমূল এর পরিচালন ভার পেয়েছে। পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গঙ্গারামপুর এলাকায় বহু মানুষের বসবাস। কিন্তু পুর পরিষেবা উপযুক্ত নয়। টাইমকল নেই। পাড়ায় হাতে গোনা কয়েকটি টিউবয়েল। কিন্তু গ্রীষ্মকালে তীব্র জলকষ্ট দেখা যায়। পুকুরেরও জল শুকিয়ে যায়। রাস্তায় আলোর ব্যবস্থাও পর্যাপ্ত নয়। পুর কর্তৃপক্ষ নাগরিক পরিষেবার দিকে নজর দিন।
অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ গঙ্গারামপুর, উলুবেড়িয়া।
|
উবড়োর পোল সংস্কার হোক |
জগৎবল্লভপুরের হাঁটাল পঞ্চায়েতের উবড়োর পোল চরম ভগ্নদশায় পড়ে। বহরিয়া ও হাঁটাল অঞ্চলের যোগাযোগ রক্ষাকারী এটিই একমাত্র সেতু। তার দু’পাশের রেলিং ভাঙা। এক পাশে একটি বোর্ডে লেখা, ‘ভারি যান চলাচল নিষিদ্ধ।’ কেন্দ্রীয় গ্রাম সড়ক যোজনায় জালালসি থেকে হাঁটাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত পাকা রাস্তা হয়েছে। অথচ, এই রাস্তার উপরেই উবড়োর পোল। সেটি জীর্ণ অবস্থাতেই থেকে গিয়েছে। এটির সংস্কার প্রয়োজন।
শ্রীমম্ত পাঁজা। গঙ্গাধরপুর, পাঁচলা।
|
রাস্তা সারাই হোক |
হাওড়ার সাঁকরাইলের চাঁপাতলা থেকে থানা পর্যন্ত থানা রোড বেহাল। এই রাস্তার পাশেই বড় বাজার। বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত। তা ছাড়া, রাস্তা-সংলগ্ন স্কুল, ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, থানা। তা সত্ত্বেও ভাঙাচোরা রাস্তাটি বহু দিন সংস্কার হয়নি। মাঝে মধ্যে তালিতাপ্পি দেওয়া হলেও বার বারই তা ভেঙে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে উদ্যোগী হোন কর্তৃপক্ষ।
শঙ্কর মল্লিক। শরৎপল্লি, সাঁইকরাইল।
|
শৌচালয় চাই |
হাওড়ার সাঁকরাইলের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত অংশ হল ধুলাগড় মোড়। এখান দিয়ে বাগনান, গড়চুমুক, গাদিয়াড়া, দিঘা, মেচেদা, শ্যামপুর প্রভৃতি রুটের দূরপাল্লার বাস চলাচল করে। অটো ও ট্রেকারও চলে। ধুলাগড় মোড়ে একটি শৌচালয় তৈরি হলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন।
রবীন্দ্রনাথ নাথ। আন্দুল-মৌড়ি, হাওড়া। |
|